Discover millions of ebooks, audiobooks, and so much more with a free trial

Only $11.99/month after trial. Cancel anytime.

Grahan
Grahan
Grahan
Ebook176 pages1 hour

Grahan

Rating: 0 out of 5 stars

()

Read preview

About this ebook

This story is about a Defence investigator, who came to a defence asylum to investigate a missing patient who is a prisoner of defence jail. But when he arrived, he found that a huge conspiracy is going on in that place. During the time of investigation, someone tried to victimized him, but at the mid night someone came to him, and alerted him. That investigator didn't understand who was she? Now, where is this missing prisoner ? what is the conspiracy ? who is this well wisher old lady ?

LanguageEnglish
Release dateSep 22, 2021
ISBN9798201575380
Grahan
Author

Swagatam Sengupta

Swagatam Sengupta is a fiction writer. His novels are published 200+ countries all over the world. A Kolkata based writer has given us so many thrillers like Rik, The Chastisement, The Chastisement2, Feral Funeral and many more. His every thrillers are unique and based on our daily life. He is too much related with our practical and daily life and he plays his words with our emotions and feelings.

Read more from Swagatam Sengupta

Related to Grahan

Related ebooks

Mystery For You

View More

Related articles

Reviews for Grahan

Rating: 0 out of 5 stars
0 ratings

0 ratings0 reviews

What did you think?

Tap to rate

Review must be at least 10 words

    Book preview

    Grahan - Swagatam Sengupta

    স্বাগতম সেনগুপ্ত

    কিছু কথা

    স্বাগতম সেনগুপ্ত সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই | কলকাতা নিবাসী এই লেখক আমাদের আগেও অনেক কাহিনী উপহার দিয়েছেন, যদিও সেগুলো সবই ইংরেজি ভাষাতে, আর সেগুলো আন্তর্জাতিক ভাবে প্রকাশিত হয়েছে, যেমন তারমধ্যে রয়েছে , রিক- এ কন্ফিনেড লিটল হার্ট, দা চেস্টিসমেন্ট , সাউন্ডলেস সাউন্ড | এই প্রথমবার তার বাংলা গল্প প্রকাশিত হলো, কারণ স্বাগতম সেনগুপ্ত মনে প্রাণে বাঙালি, আর তার নিজের ভাষার প্রতি ভালোবাসা তাকে অনুপ্রেণীত করেছে এই কাহিনী তৈরির জন্য | আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে | 

    ১.

    চারিদিকে সবুজ প্রান্তর | বহুদিন বাদে বাড়ি ফেরার মজাটাই আলাদা | এই পথ যেন আর শেষ ই হতে চাইছে না| জীপের পেছনে গা এলিয়ে শুয়েছিল সে | চোখদুটো বন্ধ করে মনে করছিলো তার ভরা পরিবারের কথা | তার স্ত্রী আর সন্তানের কথা| ফোন এ যদিও আসার আগে একবার তাকে বলে দিয়েছিলো সে , আজ বিকেলের মধ্যেই সে আসছ, কিন্তু বারবার করে বলে দিয়েছে ভুল করেও যেন তার মেয়ে কে না জানায়, আচমকা দেখলে তার চোখের যে খুশি,যে আনন্দ,তা সে হারাতে চায়না | দুইদিকে সবুজের সমারোহ,সূর্য প্রায় অস্ত যাবার মুখে, আর কিছুক্ষন | একটা অদ্ভুত ঠান্ডা হিমেল পরশ যেন তার শরীরকে মাতোয়ারা করে তুলছে | এ এক অদ্ভুত খুশি,এক অদ্ভুত অনুভূতি যা হয়তো আর কাউকেই বোঝানো সম্ভব নয় |

    3rd মে, ১৯৯৯ , আচমকা ডাক পড়েছিল তার|ভারতবর্ষের এই সৈনিকের,কার্গিল পৌঁছতে হবে,ইমার্জেন্সি ডিউটি|ঘর ছিল সাজানো,মনের মতো করে সাজিয়েছিল ঘর কে, আর নিয়ে এসেছিলো তার মেয়ের পছন্দের চকলেট কেক | জন্মদিন ছিল যে তার দুষ্টু মিষ্টি মেয়েটার|এইবার তার ৫ বছর বয়স হতো | কিন্তু হলো না আর জন্মদিন পালন | কাঁধে ব্যাগটা তুলে বেরিয়ে পড়তে হয়েছিল দেশরক্ষা করতে, অশ্রুসজল দৃষ্টিতে তাকিয়েছিল সদ্য পাঁচ বছরে পড়া মেয়েটা আর তার সাথে তার মা | বিদায় জানিয়েছিল তাকে বুকে  পাথর রেখে , জানিনা আর দেখা হবে কিনা | সে ও হাত নেড়ে বিদায় নেবার আগে এই প্রতিশ্রুতি করেছিল , ফিরে আসি একবার , তখন পালন করবো জন্মদিন, আবার সাজাবো ঘর , নতুন করে|হয়তো তার মতো সব সৈনিকদের পরিবারের চেহারাটা এক | দেশরক্ষার যে প্রতিশ্রুতি তারা নিয়েছে , আর তাদের জন্যই সারা দেশ নিশ্চিন্ত হয়ে ঘুমোচ্ছে|

    26th জুলাই ,১৯৯৯, যুদ্ধের অবসান ঘটে , কিন্তু বাড়ি ফিরতে পারেনি সে |  এক অজানা আর এক ডিউটি তে চলে যেতে হয়েছিল তাকে|আজ সব যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে প্রায় দেড় বছর পর বাড়ি ফিরছে সে|মনের মধ্যে এক অদ্ভুত আনন্দ,নিজের লোকেদের কাছে পাবার এক উদ্দাম আনন্দ তার চোখে এনে দিয়েছিলো এক নতুন দিনের স্বপ্ন| এবার লম্বা ছুটি,ভাবছিলো মেয়েকে নিয়ে ঘুরে আসবে দূরে কোথাও,আর তার স্ত্রী, সেই বিয়ের পরে সাতদিনের জন্য দার্জিলিং,তারপর থেকে তো কোথাও যাওয়াই হয়নি আর|মনস্থির করে নিয়েছে এবার, আর কোনো ক্ষোভ রাখবে না সে,তাদের মনে |

    আর্মি জীপ্ তাকে নিয়ে পোঁছালো তার বাড়ির সামনে | খুব সুন্দর তার বাড়ির পরিবেশ , শহর থেকে বেশ খানিকটা দূরে| সুন্দর বাগানে ঘেরা একটা বাংলো, আর ভেতরদিকে একটা বিশাল বড়ো পুকুর , ছুটিতে সেখানে বসে মাছ ধরা ছিল তার সবচেয়ে বড়ো নেশা | চারিদিকে সবুজ আর সুন্দর ফুলের সুবাস ভুলিয়ে দিতো তাকে বিষাক্ত বারুদের গন্ধ|জীপ্ থেকে নেমে কাঁধে ব্যাগটা তুলে নিলো সে , ড্রাইভার তাকে স্যালুট জানিয়ে জীপটা নিয়ে সোজা বেরিয়ে গেল|সামান্য উঁচুনিচু পথ পার করে সে এসে পৌছালো তার বাড়ির দরজার কাছে|

    বাড়ির কাছে এসে সে অবাক হয়ে গেল, এতো ভিড় কোনো তার বাড়ির সামনে? সে বুঝতে পারলো যে হৃদপিন্ডটা এতক্ষন ধরে এক আনন্দ উত্তেজনাতে দ্রুতগতিতে চলছিল সে  এখন আচমকা তার ভাষা বদলেছে | এক অজানা ভয়ে তাকে গ্রাস করলো কয়েক মুহূর্তের মধ্যে | সে ধীরে ধীরে তার বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করলো , একটা বাগান পেরিয়ে তারপর তার ঘর, সে দেখলো চারিদিকে সারিবেঁধে দাঁড়িয়ে আছে তার সব প্রতিবেশী, তাদের মুখগুলো কেমন যেন বিষন্নতাতে ভরা, কেমন একটা বোবাদৃষ্টি নিয়ে তাকে দেখছিলো | সে আর বেশিক্ষন নিজেকে ধরে রাখতে পারলো না, ব্যাগটা কাঁধ থেকে নামিয়ে ছুটতে ছুটতে ডরোলো ঘরের দিকে | ঘরেতে ঢুকে দেখলো প্রচুর লোকের ভিড় | সে এক প্রতিবেশীকে জিজ্ঞাসাও করলো কি হয়েছে, কোনো তার ঘরে সবাই ভিড় করে দাঁড়িয়ে আছে, কিন্তু সমস্ত নিরুত্তর জবাব তাকে আরো বিচলিত করে তুললো | ঘরের ভিতর ঢুকে সমস্ত ভিড় ঠেলে সে যা দেখলো তা সে কখনো স্বপ্নেও ভাবেনি | সাদা কাপড় দিয়ে ঢাকা দুটো দেহ, রক্তে মাখা দুটো চেহারা চিরকালের জন্য ঘুমিয়ে আছে | সে কান্নাতে ভেঙে পড়লো তাদের কাছে এসে | সে পাগলের মতো প্রশ্ন করলো সবার কাছে , কখন হলো, কিভাবে হলো ? কিন্তু সবাই তখন নিরুত্তর | কেউ একজন এলো না তার পিঠে হাত রেখে কোনো স্বান্তনা দিতে | বুকের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসা বেদনা চোখের জলের রূপ নিয়ে তাকে বারবার একটাই প্রশ্ন করছিলো , কেন করলো এরকম আর কেই বা করলো | একমুহূর্তের মধ্যে পুরো জীবনটা যেন কেমন বদলে গেল |

    (২)

    ঝোড়ো হওয়াতে লঞ্চটা ভীষণ দুলছিল, আর গায়ে ভীষণ জ্বর, মাথাটাও মারাত্মক যন্ত্রনা করছিলো রুদ্রের, ভিতরে শুয়ে বিশ্রাম করছিলো, আসলে ওষুধ নিয়ে ঘুমোচ্ছিলো| কতক্ষন সে ঘুমিয়েছে সে জানেওনা , ট্রেন থেকে নেমে লঞ্চ ধরে তারপর প্রায় তিন ঘন্টার পথ, ইটা সে শুনেছিলো, তাই সময় নষ্ট না করে ওষুধ নিয়ে সে লঞ্চার ভেতরের ঘরে একটু বিশ্রাম নেবে ঠিক করতেই কখন যে চোখ তা লেগে গেছিলো সে বোঝেইনি|

    রুদ্র সেন, একজন এক্স কমান্ড্যান্ট অফিসার ইন্ডিয়ান আর্মির, বর্তমানে একজন এজেন্ট ডিফেন্স ইন্টেলেজেন্সের | বয়স ৩৮,উচ্চতা ৫ ফুট ১০ ইনচেস , গায়ের রং ফর্সা তবে হালকা তামাটে ছাপ রয়েছে| ডিফেন্স ইন্টেলেজেন্সে থেকে পাওয়া একটা ইনফরমেশন যেটার জন্য তার আসা এই সুদূর প্রান্তরে, এই অসুস্থ শরীর নিয়ে |

    জর্জ স্ট্যানলি'স মেন্টাল হাসপাতাল , যেটা প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৪২ সালে | এখানে সমস্ত ডিফেন্সের মানসিক রোগগ্রস্ত আর্মিদের চিকিৎসা করা হয়| যারা ডিফেন্সের কোনো না কোনো ভাবে অপরাধী , র ডিফেন্স কোর্ট যাকে মানসিক রোগী হিসেবে সাব্যস্ত করেছে , তাদের মানসিক চিকিৎসার জন্য এই কেন্দ্র| গভীর জঙ্গল র নদী, তার মাঝে এই এই জর্জ স্ট্যানলি'স মেন্টাল হাসপাতাল, যেখানে আছে কিছু ভয়কর রকমের মানসিক রোগী, হয়তো সুস্থ হবার পরই তাদের জুন অপেক্ষা করছে যাবৎজীবন কারাবাস বা ফাঁসি| এমনি এক মানসিক রোগী, যার ওপর ক্ষণের অভিযোগ আছে তার পরিবার কে, কোর্ট জানায় যে সে মানসিকভাবে ভারসাম্য হারিয়েছে, এবং আজকের তারিখে সে একজন বিপদজনক খুনি| তার মানসিক চিকিৎসার প্রয়োজন| কিন্তু শেষ প্রায় ১৫ দিন ধরে সে নিখোঁজ সেই হাসপাতাল থেকে| কোথায় সে? সে কি সত্যিই পালিয়ে গেছে সেখান থেকে নাকি আত্মহত্যা করেছে? কোনো জবাব পায়নি ডিফেন্স ইন্টেলেজেন্সে | তাই সেই কেস এর সুরাহা করতে ডাক পরে রুদ্র সেনের , র বেরিয়ে পরে রুদ্র তার ব্যাগ গুছিয়ে| কিন্তু যেদিন বেরোয় , সেদিন থেকেই তার ভীষণ জ্বর গায়ে , আর মাথাটার ওজন যেন দ্বিগুন হয়ে গেছে| কোনোরকমে সারারাস্তা ওষুধ নিতে নিতে এসেছে, শুনেছিলো সে নাকি একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট ও পাবে, কিন্তু কোথায় সে? এতটা রাস্তা পার হয়ে গেছে , কেউ তো আসেনি |

    ভেতরে দম আটকে আসছিলো রুদ্রের, তাই কোনোরকমে বাইরে এসে দাঁড়ালো| ভেতর থেকে বাইরে আসতেই দেখলো আকাশে ঘন মেঘ, বৃষ্টি হয়েছে বোধহয় একটু আগে | নদীর ওপর ভীষণ জোর হাওয়া দিছিলো, আর কম একটা সিক্ত হাওয়া আচমকা তার গোটা শরীর জুড়ে একটা কাঁপুনি সৃষ্টি করলো| কোনোরকমে বাইরে এলো কাঁপতে কাঁপতে, বেরিয়ে আসতেই তার নজরে পড়লো,একজন দাঁড়িয়ে আছে বাইরে,লঞ্চ এর রেলিং এ ভর দিয়ে, পেছন ফিরে দাঁড়িয়েছিল, তাই রুদ্র তার চেহারাটা দেখতে পেলো না| যাই হোক কোনোক্রমে সে রেলিঙের কাছে গিয়ে তার পাশে গিয়ে দাঁড়ালো| ছেলেটা তাকে দেখেই ব্যস্ত হয়ে পড়লো, তারদিকে হাত বাড়িয়ে বললো গুড ইভনিং, আমি রাজেশ, রাজেশ শর্মা,

    রুদ্র ঘর নেড়ে গুড ইভনিং এর জবাব দিলো, খুব একটা কথা বলার ইচ্ছে না থাকলেও সে জিজ্ঞাসা করলো আমি আপনাকে চিনি?

    Enjoying the preview?
    Page 1 of 1