Discover millions of ebooks, audiobooks, and so much more with a free trial

Only $11.99/month after trial. Cancel anytime.

Odhora Trityo Satya
Odhora Trityo Satya
Odhora Trityo Satya
Ebook228 pages1 hour

Odhora Trityo Satya

Rating: 0 out of 5 stars

()

Read preview

About this ebook

When money and wealth take the place of love and affection in any relationship, then a third one enters their life in form of a beautiful feeling, but it destroys the life and kills the emotion. A very mischevious truth, which you can never deny, this truth is untouchable, this is called Odhora Tritiyo Satya.

LanguageEnglish
Release dateApr 14, 2021
ISBN9798201056452
Odhora Trityo Satya
Author

Swagatam Sengupta

Swagatam Sengupta is a fiction writer. His novels are published 200+ countries all over the world. A Kolkata based writer has given us so many thrillers like Rik, The Chastisement, The Chastisement2, Feral Funeral and many more. His every thrillers are unique and based on our daily life. He is too much related with our practical and daily life and he plays his words with our emotions and feelings.

Read more from Swagatam Sengupta

Related to Odhora Trityo Satya

Related ebooks

Police Procedural For You

View More

Related articles

Related categories

Reviews for Odhora Trityo Satya

Rating: 0 out of 5 stars
0 ratings

0 ratings0 reviews

What did you think?

Tap to rate

Review must be at least 10 words

    Book preview

    Odhora Trityo Satya - Swagatam Sengupta

    ১.

    অসম্ভব বৃষ্টিতে পুরো শহর আজ ভাসছে, রাস্তা জনমানবহীন | কলকাতা শহর, সবাই বলে এই শহর জুড়ে রয়েছে সাহিত্য, সংস্কৃতির এক অদ্ভুত পীঠস্থান | অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থাকা শহর, আজ একেবারে থমথমে | দক্ষিণ কলকাতার এক সম্ভ্রান্ত এলাকা, ডোভার লেন, বহুতল আকাশচুম্বী বাড়ি আর বাংলো | একটু দূরে একটা পুলিশ পেট্রোলিং গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে | ভেতর থেকে আওয়াজ আসছে রেডিও ট্রান্সমিশনের | গাড়িটা জানলার কাঁচটা তোলা, খুলেই বা রাখবে কি করে | একটু দূরে একটা বাড়ির মজার আড়ালে একটা কুকুর বসে আছে, নিজেকে বৃষ্টি থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে | কলকাতার সব সম্ভ্রান্ত এলাকারই একটা বৈশিষ্ট আছে , সেটা হলো, একটু বেশি বৃষ্টি হলেই রাস্তাতে জল জমে যায় ভীষণ |

    রাত প্রায় দেড়টা বাজে, সেই বারোটা থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি, থামার নামই নিচ্ছে না | একটা বিরক্তি নিয়ে পান্ডে বললো কতক্ষন যে টানবে আর, কে জানে তারপর জীপের মধ্যে থাকা রেডিওটার দিকে তাকিয়ে বললো আর এই এক উপদ্রপ, সারাক্ষন ভূতের মতো বক বক করে চলে সারাদিন | তারপর পাশে বসা তার সিনিয়রের দিকে তাকালো, ইন্সপেক্টর বোস ঘুমোচ্ছিলো | পাণ্ডে বোসকে ধাক্কা দিয়ে বললো আরে স্যার, কি ঘুমোচ্ছেন, উঠুন না

    বোস খুব বিরক্তির সাথে চোখটা খুলে বললো কি হয়েছে, তোর অসুবিধাটা কি হচ্ছে, একটু ঘুমোচ্ছি, ঘুমোতে দে না

    আরে স্যার, কখন ডাক পড়বে, চাপ খেয়ে যাবেন

    বাইরে বৃষ্টিটা দেখ, সবাই ঘুমোচ্ছে, আর তা নয়তো আবহাওয়ার মজা নিচ্ছে, আমাদের মতো ফাটা কপালের লোকেরা রাস্তাতে ঘুরছি | তো আমি বলি, তুইও ঘুমিয়ে নে |

    পাণ্ডে আরো বিরক্ত হয়ে মনে মনে বিড় বিড় করতে থাকলো | খুব বিরক্ত সে তার সিনিয়রের ওপর, কারণ যে কোনো জায়গাতে তার ঘুম হয়না | সে রেডিও ট্রান্সমিশনের আওয়াজটা কম করে এমনি রেডিও চালালো | রাতে খুব ভালো ভালো গান দেয় রেডিওতে | রেডিওর চ্যানেলটা ঠিক করতেই গান বাজতে শুরু করলো রাত কে হুমসফর... , গানটা পাণ্ডের খুব পছন্দের গান, নিজের শরীরটা গাড়ির সিটে নিজের শরীর তা হেলিয়ে দিয়ে শুনতে থাকলো, আর ভেতরথেকে কালো কাঁচ দিয়ে দেখতে থাকলো বৃষ্টির সৌন্দর্য | এমনিতে বৃষ্টি খুব রোমান্টিক, যদিও সে বিশ্বাস করে প্রেমটেম তার সেদিনই শেষ হয়ে গেছে, যেদিন বিয়ে হয়েছিল তার | এখন একটাই কাজ, কে কোন পার্কে বসে প্রেম করছে , আর একটু এদিক ওদিক দেখলেই চেপে ধরো তাদের | যায় হোক, আজকের বৃষ্টি যেন প্রেমের কথা মনে করাচ্ছে না, বরং একে দুর্যোগ বলে |

    নিশ্চুপ আর নিঝঝুম রাতে বৃষ্টির আওয়াজ আর রেডিওর গান ছাড়া আর কিছু ছিল না, কিন্তু সেই নৈশব্দ ভঙ্গ হলো, আচমকা গাড়ির সামনে কে যেন এসে দাঁড়ালো, আর তার হাতটা এসে পড়লো খুব জোরে গাড়ির সামনের বোনেটটার ওপর | চমকে উঠলো গাড়ির ভেতরে দুজনেই, তাড়াতাড়ি গাড়ির সামনের হেডলাইটটা জ্বালাতেই দেখা গেল এক মহিলাকে | গোলগাল গড়ন, মাথার চুলগুলো এলোপাথাড়ি হয়ে আছে সামনে বৃষ্টির জলে ভিজে | পরনে একটা গোল গলা টি শার্ট আর একটা জিন্স , আলোতে বোঝা গেলো মহিলা প্রকৃতই সুন্দরী কিন্তু প্রচন্ড ভীত আর সন্ত্রস্ত | তারপর গাড়ির সামনে থেকে  এসে সোজা জানলার কাছে এসে জোরে জোরে জানালার কাঁচে ধাক্কা মারতে থাকে বার বার | বোস তাড়াহুড়ো করে জানলার কাঁচটা নামালো | নামাতেই মহিলা চিৎকার করে বলতে থাকে স্যার, প্লিজ , হেল্প করুন, স্যার, প্লিজ

    বোস ভেতর থেকেই বলতে থাকে কি হয়েছে বলুন, এতো রাতে , কি হয়েছে

    মহিলা বললো স্যার, খুন হয়ে গেছে আমার ফ্ল্যাটে, ও আমাকেও মারতে চাইছে, আমি নিচে পালিয়ে এসেছি

    এবার বোস বললো কি বলছেন, কোথায় ফ্ল্যাট আপনার?

    মহিলা হাত দিয়ে দেখিয়ে দিলো সামনের বহুতল বাড়িটাকে, তারপর বললো নাইন্থ ফ্লোর, তাড়াতাড়ি চলুন না প্লিজ

    বোস আর পাণ্ডে বেরিয়ে আসে গাড়ি থেকে , তারপর একরকম ভিজতে ভিজতেই সেই মহিলার সাথে ফ্ল্যাটের দিকে এগিয়ে যায় , নিচে লিফটটা সামনেই ছিল, তাই অপেক্ষা করতে হলো না | লিফটে করে তারা পৌঁছলো নাইন্থ ফ্লোরে | মহিলা আগে আগে গিয়ে নিজের ফ্ল্যাটটা দেখিয়ে দিলো | ফ্ল্যাটের মধ্যে প্রবেশ করতেই দেখলো চারিদিকে ছড়িয়ে আছে অজস্র কাঁচের টুকরো, সব এলোপাথাড়ি হয়ে ছড়িয়ে আছে | কোনোরকমে নিজেদের কাঁচ থেকে বাঁচিয়ে একটু এগোতেই মহিলা বললো এদিকে স্যার , একটু এদিকটা আসুন

    এগোতেই দেখলো তারা ডাইনিং টেবিলের কাছে মুখ থুবড়ে পরে আছে একজন , সাদা শার্ট আর খাকি রঙের প্যান্ট, পায়ে সু | মাথা দিয়ে প্রচুর রক্ত বেরিয়ে মেঝে পর্যন্ত চলে এসেছে | পাণ্ডে উপুড় হয়ে থাকা শরীরটার কাছে এসে হাটুর ওপর ভর দিয়ে বসে হাতটা নাকের কাছে দিয়ে দেখলো শ্বাস চলছে কিনা | বোস পাণ্ডের দিকে তাকিয়েছিলো তার উত্তরের অপেক্ষাতে | পাণ্ডে ঘর নেড়ে বুঝিয়ে দিলো, মাটিতে পরে থাকে ব্যক্তি বেঁচে নেই | মহিলা শরীরটার কাছে বসে বার বার তাকে ধাক্কা দিতে থাকে আর কাঁদতে কাঁদতে ডাকতে থাকে, দীপক, ওঠো , দীপক

    বোস মহিলাকে বললো ইনি কি আপনার ...?

    মহিলা বললো আমার স্বামী, ও মেরে দিয়েছে , খুন করে পালিয়েছে, আমার সামনে মেরেছে ওকে, আমি যতক্ষণে আপনাদের এখানে ডেকে আনবো, ততক্ষনে, দীপক আর নিজেকে বাঁচাতে পারেনি, মেরে ফেলেছে ওকে

    বস মহিলাকে বললো আপনি শান্ত হোন, আমরা দেখছি, আপনার স্টেটমেন্ট লাগবে আমাদের তারপর পাণ্ডেকে বললো পাণ্ডে ফোর্সকে খবর দাও 

    ২.

    তাড়াতাড়ি খবর পেতেই এসে হাজির হয়েছে প্রতাপ রায়, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অফ পুলিশ | সাধারণত যখন কোনো কেস খুব জটিল হয় বা একটু উঁচু স্তরের কেস হয়, তখনি তার ঘাড়ে এসে পড়ে সেইসব ঘটনা| প্রতাপ জীপ্ থেকে নামতেই দেখলো, এপার্টমেন্টের বাইরে মিডিয়া আর খবরের কাগজের লোকজন দাঁড়িয়ে আছে | প্রতাপ নামতেই সবাই ঘিরে ধরলে, প্রতাপ সবাইকে এড়িয়ে এগিয়ে গেল লিফটের দিকে | লিফ্ট গিয়ে পৌঁছলো নাইন্থ ফ্লোরে, লিফ্ট থেকে নামতেই বোস তাড়াতাড়ি এগিয়ে এলো প্রতাপের দিকে, তারপর স্যালুট করে বললো গুড মর্নিং স্যার,

    প্রতাপকে পথ দেখিয়ে নিয়ে গেলো বোস ফ্ল্যাটের ভেতর|  প্রতাপ মৃতদেহের কাছে গিয়ে দাঁড়ালো, পুরো দেহটা ভালো করে লক্ষ্য করার পর, তারপর আস্তে আস্তে ঘরের চারপাশ দেখতে থাকলো, ইতিমধ্যে বোস এসে দাঁড়িয়েছে প্রতাপের পাশে | বোস আস্তে আস্তে প্রতাপকে বললো স্যার, মৃতব্যক্তি অনেক বড়ো চার্টার্ড একাউন্টেন্ট ছিলো, আর প্রচুর বড়ো বড়ো কর্পোরেটের সাথে যোগাযোগ ছিলো | শোনা যাচ্ছে যে কদিন ধরে রাজনাথ সিঙ্ঘানিয়ার সাথে কিছু ব্যাপার নিয়ে গন্ডগোল চলছিল | কাল রাতে সিঙ্ঘানিয়ার লোক এসেছিলো এখানে তাকে কিছু ব্যাপারে সতর্ক করতে, তারপর তাদের মধ্যে তর্ক বিতর্ক হয় এবং সেটা হাতাহাতির পর্যায় চলে যায়|

    প্রতাপ হাত দেখিয়ে থামিয়ে দিলো বোসকে, তারপর বললো সবকিছু শুরু থেকে বলতে শেখো

    বোস একটু আশ্চর্য হয়ে প্রতাপের দিকে তাকাতেই প্রতাপ বললো যিনি খুন হয়েছেন, ওনার নাম কি?

    বোস জিভ বের করে লজ্জাজনকভাবে হেসে বললো সরি স্যার, রাহুল চ্যাটার্জী আর ওনার স্ত্রী মোনালিসা চ্যাটার্জী

    প্রতাপ ঘরের চারিদিকটা ভালো করে তাকাতে তাকাতে বললো মাথার পেছন দিক থেকে ভারী কিছু দিয়ে তাকে মারা হয়েছে, মাথার পেছন দিকের আঘাতটা তো তাই বলছে

    বোস বললো হ্যাঁ স্যার,

    প্রতাপ এদিক ওদিক মেঝের দিকে তাকিয়ে কিছু যেন একটা খুঁজতে থাকে, তারপর বললো ঘরের থেকে কোনো ভারী জিনিস পেয়েছো? ভালো করে দেখেছো ঘরটা?

    বোস খুব আত্মবিশ্বাসের সাথে বললো হ্যাঁ, স্যার, আমরা পুরো ঘর ভালো করে দেখেছি, ঘরের কোথাও তেমন কিছু পাইনি

    প্রতাপ আস্তে আস্তে মাটিতে পড়ে থাকা একটা কাঁচের টুকরোর দিকে নজর গেল, তাতে রক্ত লেগেছিলো, সেটা নিচু হয়ে তুলে বোসের হাতে দিয়ে বললো এটা ফরেনসিক ডিপার্টমেন্ট এ পাঠিয়ে দাও তারপর প্রতাপের আচমকা কিছু একটা মনে পড়াতে সে আবার নিচু হলো, এবার তার নজর পড়লো সোফার নিচের দিকে | সোফার নিচে একটু কষ্ট করে হাত ঢুকিয়ে সে বের করে নিয়ে এলো একটা তামার ফুলদানি | তারপর সেটা বোসের দিকে তাকিয়ে বললো রাস্তার জমাদার হবার যোগ্যতা নেই, পুলিশ হতে এসেছে

    বোস এবার একটু লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে বললো সরি স্যার, আসলে ঐদিকটা ঠিক নজর পড়েনি|

    প্রতাপ  ফুলদানিটা  বোসের হাতে দিয়ে বললো সে যেন এটাও ফরেনসিক ডিপার্টমেন্টের কাছে পাঠায়, তারপর জানতে চাইলো মিসেস চ্যাটার্জী কোথায়?

    বোস জানালো যে উনি ভেতরের ঘরে বসে আছেন, খুব কান্নাকাটি করেছেন সারারাত | প্রতাপ ধীরে ধীরে ভেতরের ঘরের দিকে গেলো| ঘরে ঢুকতেই দেখলো যে মোনালিসা চ্যাটার্জী বসে আছে আর সঙ্গে এক বয়স্ক ভদ্রলোক আর একজন বয়স্ক মহিলা বসে আছেন তার সাথে | দরজাতে দুবার টোকা মেরে ঘরে ঢুকলো প্রতাপ | মোনালিসা চ্যাটার্জী ঘুরে তাকাতেই প্রতাপ বললো আমি প্রতাপ রায় , এসিপি ক্রাইম ব্রাঞ্চ

    তার কথা শুনেই বয়স্ক ভদ্রলোকটি উঠে দাঁড়িয়ে তাকে ভেতরে এসে বসতে বললো | প্রতাপ ঘরের ঠিক মাঝখানে রাখা সোফাতে বসে বললো আপনারা ?

    বয়স্ক ভদ্রলোকটি বললো আমি রবিন ঘোষ, মোনালিসার বাবা, আর উনি সর্বানী চ্যাটার্জী, রাহুলের মা

    প্রতাপ বললো আচ্ছা, আমি একটু মোনালিসা চ্যাটার্জীর সাথে একটু এক কথা বলতে চাই,

    রবিন আর সর্বানী দুজনেই বেরিয়ে চলে গেলে, প্রতাপ বললো আপনি একটু বিস্তারিত ভাবে বলবেন, কি হয়েছিল?

    মোনালিসা বলা শুরু করলো রাহুলের এমনিতে বাড়ি ফিরতে একটু রাতই হতো, আমি কাল বাড়িতে বসে যেমন আমার টুকিটাকি কাজ সেরে বসে টিভি দেখছিলাম, আচমকা কলিং বেলের আওয়াজে দরজা খুলতেই দেখলাম একটা মাঝবয়সী লোক এসে আমাকে জিজ্ঞাসা করলো রাহুল ফিরেছে কিনা, আমি তাকে জানালাম যে, না এখনো ফেরেনি রাহুল | তো লোকটা আমাকে বললো যে সে একটা বিশেষ দরকারে এসেছে, রাহুলের সাথে নাকি আগেই ফোনে কথা হয়ে গেছে, তো রাহুল নাকি তাকে অপেক্ষা করতে বলেছে | আমি তাকে ঘরে বসতে বললাম, বলে রাহুলকে জানাবো বলে ফোন করতে গিয়ে দেখলাম রাহুলের ফোন বন্ধ | আমি ওনাকে চা বা কফি জিজ্ঞাসা করতে সে বললো চা খাবে, আমি চা করতে ভেতরে গেলাম|

    এবার প্রতাপ কথা কেটে বললো এক মিনিট মিসেস চ্যাটার্জী, আপনি লোকটার নাম জিজ্ঞাসা করেননি ?

    হ্যাঁ, আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম, কারণ আমার দরকার ছিল রাহুলকে ফোনে বলার জন্য, তো ওনার নাম বলেছিলো পিন্টু বর্ধন, উনি ওনার মালিকের কাজ নিয়ে এসেছেন

    আপনি জিজ্ঞাসা করেননি, কে মালিক ?

    মোনালিসা খুব স্বাভাবিক হয়েই বললো "না, কারণ

    Enjoying the preview?
    Page 1 of 1