চন্দ্রগ্রস্থ/Chondrogrostho
5/5
()
About this ebook
বাংলাদেশেরই কোন এক গ্রাম নীমতলি। প্রকৃতির কোন এক খেয়ালে এক সাইকোপ্যাথের জন্ম এখানে। চাঁদের আলোয়ে উবু হয়ে বসে তাকিয়ে আছে নিজের কৃতকর্ম এর দিকে। একজন চিত্রকর যেভাবে তাকিয়ে থাকে নিজের সদ্য শেষ হওয়া চিত্রকর্মের দিকে। অসুস্থ চন্দ্রগ্রস্ত একজন চিত্রকর। আসুন আপনাদেরকে নিয়ে যাই এই অসুস্থ চন্দ্রগ্রস্ত চিত্রকরের ভয়াবহ জটিল এক জগতে।
Read more from Minhaj Rahman
Related to চন্দ্রগ্রস্থ/Chondrogrostho
Reviews for চন্দ্রগ্রস্থ/Chondrogrostho
1 rating0 reviews
Book preview
চন্দ্রগ্রস্থ/Chondrogrostho - Minhaj Rahman
চন্দ্রগ্রস্ত
ঊনবই | থ্রিলার
মিনহাজ রহমান
বইদ্বীপ
ঊনবই ০২ | থ্রিলার
প্রথম প্রকাশঃ মার্চ ২০২০
প্রকাশকঃ বইদ্বীপ
www.boidweep.com
*
স্বত্বঃ লেখক
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লিখিত অনুমতি ছাড়া এই বই বা বইয়ের যে কোন অংশ যে কোন উপায়ে পুনরুৎপাদন করা যাবে না।
*
সব চরিত্র কাল্পনিক।
বেআইনি উপায়ে না ছড়িয়ে বই এবং ইবই কিনে পড়ুন, লেখক ও প্রকাশককে নতুন বই প্রকাশে উৎসাহিত করুন।
ঊনবই
অনধিক পঞ্চাশ পৃষ্ঠার বাংলা ইবুক। অর্থ্যাৎ এক বসায় ঘন্টাখানেকের মধ্যেই পড়ে শেষ করে ফেলা যাবে, খুব বেশি হলে ঘণ্টা দুই।
অফিসে যাওয়ার পথে বাস, ট্রেন কিংবা ট্রামে, ডাক্তারখানায় গিয়ে নিজের সিরিয়ালের জন্যে বসে থাকার সময়ে, এয়ারপোর্ট লাউঞ্জে বসে কানেক্টিং ফ্লাইট ধরার আগের যাত্রাবিরতিতে, এরকম মুহুর্তগুলোয় আপনার সুযোগ্য সঙ্গী হতে পারে আমাদের ঊনবই।
আশা করছি বইদ্বীপ থেকে নিয়মিত ( অথবা অনিয়মিত) হাজির হবো আমরা নানারকম ঊনবই নিয়ে।
বইদ্বীপ প্রকাশিত অন্যান্য ইবুকের জন্যে ক্লিক করুনঃ
www.boidweep.com
উৎসর্গ
আব্বা ও আম্মা
ভূমিকা
এই গল্পটি লেখার পেছনে একমাত্র কারণ হলো একঘেয়েমি।
আমি তখন University of District of Columbia তে MBA নামক হুজুগে এক Degree এর পেছনে দৌঁড়চ্ছি। এক বছরের মাথায় আমি টের পেলাম MBA একধরণের ফালতু branding আর ডলার অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়। কিন্তু ততদিনে নিতান্তই দেরি হয়ে গেছে। শেষ করা ছাড়া উপায় নেই। ক্লাসে প্রফেসরের লেকচার প্রচণ্ড বিরক্ত লাগত। বিরক্ত হয়েই একদিন ক্লাস নোটের উপর লেখা শুরু করলাম চন্দ্রগ্রস্ত। একদিন গভীর মনোযোগ দিয়ে লিখছি। আমার রাশভারি প্রফেসর Dr. Vermillion (ব্যাটা দেখতে বাঘের মতো) এসে জিজ্ঞেস করল-
- Son, what are you writing?
আমি খুব বিনয়ের সাথে বললাম, 'ক্লাস নোট। তোমার লেকচার নোট করছি'।
- What Language is that?
- বাংলা। আমার নিজের ভাষায় আমি খুব তাড়াতাড়ি নোট নিতে পারি।
Dr. Vermillion কিছুক্ষণ মুগ্ধ দৃষ্টিতে আমার 'ক্লাস নোটের' দিকে তাকিয়ে বললেন,
- Son, I am impressed with your method and effort. Keep it up.
পুরো সেমিস্টার 'I Kept it Up'.
মজার ব্যাপার পুরো সেমিস্টার আমার ভাষায় ক্লাস নোট নিয়ে আমি সসম্মানে Business Communication subject- এ A নিয়ে বের হই।
- মিনহাজ রহমান
You feel the last bit of breath leaving their body.
You’re looking into their eyes.
A person in that situation is God!
- Ted Bundy ,
one of the most notorious serial killers during 70s.
১
হাওয়া ম্যা উড়তা যায়ে
মোরা লাল দোপাট্টা মল মল
আজি মোরা লাল দোপাট্টা মল মল কা…
গানটা তখন থেকে রমিজ আলীর মাথায় ঘুরঘুর করছে। তার অতি প্রিয় একটি গান। বসির চাচার চায়ের স্টলে অনেকবার শুনেছে সে এই গান। কিন্ত এই মুহূর্তে এই গান মাথায় কেন বাজছে সে বুঝতে পারছে না।
একটু আগে সে একটা খুন করেছে।
ঘোরের মধ্যে করেছে।
অসুস্থ ভাবে করেছে।
আজি মোরা লাল দোপাট্টা মল মল কা ...
অসুস্থ একটা কাজ করেছে। এর আগেও সে এই কাজ করেছে। প্রতিবারই তার মনে একটা চাপ থাকে। কাজটা করে ফেললে চাপটা কেটে যায়। হাল্কা বোধ হয়। রমিজ আলীর মা ডুকরে উঠে, এইটা কি করলি রে বাপ?
রমিজ আলী বিরক্ত হয়। তুই আবার এই কাম করছস???
রমিজ আলীর মা মারা গেছে আজ চৌদ্দ বছর। কিন্ত মাথার ভেতর মগজটাতে রয়ে গেছে। মাথার ভেতর থেকে খালি কথা বলে।
ও জী...ও জী... বাপ রে ...ও বাপ...
মাকে এখন পাত্তা দিলে চলবে না। দ্রুত চিন্তা করতে হবে। এবারের কাজটা আনাড়ির মত হয়ে গিয়েছে। মেয়েটার লাশটার খুব দ্রুত একটা ব্যবস্থা নিতে হবে। সুন্দর একটা ব্যবস্থা। এবার সবাই যাতে তার হাতের কাজ দেখে। রাত অবশ্য বেশি হয় নাই। ফকফক্কা জ্যোৎস্না।
চাঁদটা না উঠলে এমন হত না। চান্দের জন্যই রক্তে টান দিছে। করিম চাচার এই মেয়েটির উপর তার অনেকদিনের নজর। অনেকদিনের।
ও সার সার সার সার হাওয়া চালে হায়
জীয়া ডাগ মাগ ডোলে...
....বাপ রে ..ও বাপ...
রমিজ আলী বিষণ্ণ বোধ করে।
বাংলাদেশেরই কোন এক গ্রাম নিমতলি। প্রকৃতির কোন এক অদ্ভুত খেয়ালে এক সাইকোপ্যাথের জন্ম এখানে। চাঁদের আলোয়ে উবু হয়ে বসে তাকিয়ে আছে নিজের কৃতকর্ম এর দিকে। একজন চিত্রকর যেভাবে তাকিয়ে থাকে নিজের সদ্য শেষ হওয়া চিত্রকর্মের দিকে।
অসুস্থ চন্দ্রগ্রস্ত এক চিত্রকর।
আসুন আপনাদেরকে নিয়ে যাই এই অসুস্থ চন্দ্রগ্রস্ত চিত্রকরের ভয়াবহ জটিল এক জগতে।
২
নিমতলি থানার ওসি বদিউল আলমের মেজাজ প্রচণ্ড খারাপ। সামনের টেবিলটাতে জোরে একটা লাথি দেওয়ার ইচ্ছে মনে অনেকক্ষণ ধরে ঘুরঘুর করছে। বদিউল আলম টেবিল থেকে চায়ের কাপ তুলে চুমুক দিলেন। দিয়েই বিরক্তিতে তিনি মুখ বিকৃত করে ফেললেন। এই অঞ্চলে আসার পর এই প্রথম তিনি দেখলেন গুড়