মিলন বেলা: 1

By Prad Kc

গল্প মানুষকে ভাবায়। গল্প মানুষকে জ্ঞান দেয়। গল্প থেকে মানুষ অনেক কিছু স্বপ্ন দেখতে পারে। অনেক কিছু শিখতে পারে। আবার গল্প মানুষের ভাবাবেগে আঘাত করে। মানুষের স্বপ্নকে ভেঙে চুরমার করে দেয়। কিন্তু তবুও গল্প সকলের ভালো লাগে। "মিলন বেলা" গল্পে বাস্তবতার থেকে আধুনিককালের একটি চিত্র ধরে রাখার চেষ্টা করেছি। যেখানে প্রেম ভালোবাসার মূল্য কতটা বা শারীরিক কিনা! ভালবাসা না শরীর কোনটা? সেই প্রশ্নের জোয়ারে ভেসে যায় সবাই। গল্পের শুরু শুভঙ্করের অফিস থেকে। গল্পের প্রথম দিকটা শুরু হয়েছে ঢিমি তালে। সেখানে প্রথম দেখা হবে চন্দ্রিমার সঙ্গে। প্রথম দেখা থেকেই প্রেমের সূচনা। তারপর মন দেওয়া-নেওয়া। তারপর যেমনটা হয় সবই হয়েছে । তারপরে হঠাৎ করে কিভাবে সেই প্রেমটা তাদের ব্রেকআপ হয়ে যায় একটা বিশ্বাসঘাতকতার জন্য এবং তারপর এই দুটো পথ আলাদা হয়ে যায় যে যার মত করে বাঁচতে থাকে এবং দিন চলে যাই তারপর হঠাতই একদিন যা হয় সেটা এমন কিছু আবিষ্কার করে শুভঙ্কর যেখানে চন্দ্রিমা যে তাকে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল সে বিশ্বাস ঘাতকতার ফল হিসেবে অনেক কিছু পেয়ে যায়। এরকম একটি গল্প। গল্পটি খুব সাদামাটা একটি প্রেমের গল্প । এটি পড়ার পরে যদি আপনাদের মনে একটুকু দুঃখ লাগে তাহলে আমার মনে করব এ লেখাটা আমার সার্থক হয়েছে আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

• Language: Bengali
• Publisher: Prad Kc
• Release date: Jun 27, 2020
• ISBN: 9781393977131

Book preview

প্রচ্ছদ এবং ছবিঃ লেখক

ছবি এবং ফটোগ্রাফি কপিরাইটঃ লেখক

গ্রন্থসত্তঃ লেখক

প্রথম  প্রকাশঃ10 May, 2019

স্থানঃ কলকাতা,  পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।

উৎসর্গ:

বাবা এবং মা কে

লেখকের অন্যন্য বই

শ্রেষ্ট কবিতা

কবিতা সংগ্ৰহ

প্রেমের কবিতা

প্রাপ্তবয়স্কদের কবিতা

ছোটদের ছড়া

কি ভাবে ভাল প্রেমপত্র লিখবেন

কি ভাবে ভাল শিক্ষক হবেন

বাস্তবজ্ঞান

উৎসাহবর্ধক ও প্রেরনাদায়ক উদ্ধৃতি

নাটক: সৃষ্টি সুখের উল্লাসে

নাটক: একটি আলোর ডানা

নাটক: ঝড়ের দিনের বন্ধু

লেখক পরিচিতি

প্রাড কেসি একজন ইন্টারন্যাশনাল অথর, মোটিভেশনাল স্পিকার,জীবন সংহঠক, শিক্ষক এবং চিন্তাবিদ।

লেখক ১৯৮০সালে ৪ই আগস্ট ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে, হাওড়া জেলার  পানিত্রাস গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা হারাধন চক্রবর্তী পেশায় সরকারি চাকুরীজীবী ছিলেন ।  মাতা লক্ষ্মীরানী চক্রবর্তী । ছ’ভাইবনেদের মধ্যে ইনি ছিলেন দ্বিতীয় সান্তান ।  দেড় বছর বয়সে পাশের গ্রামে  মাতুলালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয় ভালো ভাবে মানুষ  হবার জন্য এবং পড়ালেখা করার জন্য। গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়েই প্রথম পড়াশোনা শুরু, তারপর কমার্স বিভাগে স্নাতক। এবং পরবর্তী  কালে এম বি এ পড়েন। কম্পিউটার হার্ডওয়্যার –নেটওয়ার্ক প্রশিক্ষণ নিয়ে এখন একটি কোম্পানিতে চাকুরীরত। ১৩ বছর বয়সে প্রথম কবিতা লেখা শুরু। ওই দূরে দেখা যায় অম্বর... মিশেছে সবুজ ধান ক্ষেতের পর  তারপর একটার  পর একটা কবিতা, গল্প, নাটক লিখে যান। কিন্তু তিনি বড়ই আত্মনিমগ্ন, লাজুক, এবং কম কথা বলা মানুষ ছিলেন, তাই তেমন  ভাবে প্রকাশের আলোয় আসতে পারেন নি। ছোট বয়স থেকেই তিনি খুব ভালো ছবি আঁকতেন, নাটক করতেন, কবিতা আবৃতি করতেন, এবং নানা শিল্প কর্মে তাঁর পারদর্শিতা দেখা যায়। কিন্তু নিম্ন মধ্যবিত্ত ঘরে জন্ম বলে তেমন কোন কিছুই ভাল ভাবে শিখতে  পারেন নি। শুধু লেখা লেখি টা চালিয়ে গছেন। কারন তাতে পেন খাতা ছাড়া বিশেষ কিছু খরছা লাগে না। লেখক  বরাবর একা থেকেছেন, একাকিত্তকে আনুভব করেছেন। স্বপ্ন  দেখেছেন স্বপ্ন ভেঙে গেছে। আবার নতুন করে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছেন। লড়াই করেছেন। অনেক ঠকেছেন। এবং শিখেছেন।  ভালবাসেন বই পড়তে, গান শুনতে, ফটোগ্রাফি করতে।সময় পেলে ছবি আঁকেন । দিনের বেশির ভাগ সময় কাটান কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট নিয়ে ।

লেখক এর সাথে যোগসুত্র

Visit the website:

www.pradkc.com

You can follow me on social media.

https://m.facebook.com/Prad-Kc-112629310113406/?ref=bookmarks

You can visit my youtube channel.

https://www.youtube.com/pradculture

You can buy and read the rest of my books. Check out my store on Instamojo:

https://www.instamojo.com/pradkc

Search Prad Kc in Amazon and Google Book

CAN MAIL ME:

[e-mail]

CLICK ON THE LINK BELOW.  You can join my WhatsApp group:

https://chat.whatsapp.com/C0KzqUWHuBoKjDbeRFk53R

লেখকের  কথা

গল্প মানুষকে ভাবায়। গল্প মানুষকে জ্ঞান দেয়। গল্প থেকে মানুষ অনেক কিছু স্বপ্ন দেখতে পারে। অনেক কিছু শিখতে পারে। আবার গল্প মানুষের ভাবাবেগে আঘাত করে। মানুষের স্বপ্নকে ভেঙে চুরমার করে দেয়। কিন্তু তবুও গল্প সকলের ভালো লাগে। মিলন বেলা  গল্পে বাস্তবতার থেকে আধুনিককালের একটি চিত্র ধরে রাখার চেষ্টা করেছি। যেখানে প্রেম ভালোবাসার মূল্য কতটা বা শারীরিক কিনা! ভালবাসা  না শরীর কোনটা? সেই প্রশ্নের জোয়ারে ভেসে যায় সবাই। গল্পের শুরু শুভঙ্করের অফিস থেকে। গল্পের প্রথম দিকটা শুরু হয়েছে ঢিমি তালে। সেখানে প্রথম দেখা হবে চন্দ্রিমার সঙ্গে। প্রথম দেখা থেকেই প্রেমের সূচনা। তারপর মন দেওয়া-নেওয়া। তারপর যেমনটা হয় সবই হয়েছে । তারপরে হঠাৎ করে কিভাবে সেই প্রেমটা তাদের ব্রেকআপ হয়ে যায় একটা বিশ্বাসঘাতকতার জন্য এবং তারপর এই দুটো পথ আলাদা হয়ে যায় যে যার মত করে বাঁচতে থাকে এবং দিন চলে যাই তারপর হঠাতই একদিন যা হয় সেটা এমন কিছু আবিষ্কার করে শুভঙ্কর যেখানে চন্দ্রিমা যে তাকে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল সে বিশ্বাস ঘাতকতার ফল হিসেবে অনেক কিছু পেয়ে যায়। এরকম একটি গল্প। গল্পটি খুব সাদামাটা একটি প্রেমের গল্প । এটি পড়ার পরে যদি আপনাদের মনে একটুকু দুঃখ লাগে তাহলে আমার মনে করব এ লেখাটা আমার সার্থক হয়েছে  আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। পরবর্তী গল্পের জন্য তৈরি হচ্ছি তার জন্য আমাকে আশীর্বাদ করবেন।

প্রাড কেসি

কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত

ঘটনাক্রম

CHAPTER - 1: প্রেম হবার আগে

Chapter - 2: প্রেম হব হব

Chapter - 3: প্রেম হওয়া ও কাছে যাওয়া

Chapter - 4: ধোঁকা, যৌনতা ও দূরে চলে যাওয়া,

Chapter - 5: ব্রেক আপ

Chapter - 6: পুনঃ প্রেম

Chapter - 7: বিবাহ

Chapter - 8: বিদায় বেলা।

Chapter -১, প্রেম হবার আগে

আমি শুভঙ্কর চ্যাটার্জি । আর্টস নিয়ে গ্রাজুয়েশন করে ছোট্ট একটা কম্পিউটার  কোর্স করেছিলাম কিন্তু তাতে চাকরি হয় না। তাই মার্কেটিংয়ের একটা চাকরী নিতে হয়েছে। সরকারি চাকরী আর পাওয়া যাবে না। তাই বেসরকারী বেচেঁ থাক।

আমাদের অফিস ছোট্ট খাট্ট, হালকা বিস্কুট রঙের সানমাইকা ও স্বচ্ছ কাঁচে  ঘেরা সকলের চেম্বার। সাদা ফলস সিলিং। রুফ লাইটে সবদিক ঝলমল করছে। জায়গায় জায়গায় কয়েকটি ইনডোর প্লান্ট  সৌখিন প্লাস্টিকের টবে মাটির টব সমেত রাখা। দুফুট বাই দু ফুটের নেন টেকনোলজির তেলতেলে ব্রিটানিয়া মারী বিস্কুটের উল্টো দিকের রঙে ফ্লোরিং। আমরা হাতে গোনা কজন কর্মচারী। পাঁচজন মেয়ে আর আট জন ছেলে। মেয়ে গুল কারো বিয়ে হয়নি কিন্তু একটা ছেলের বিয়ে হয়ে গেছে।

আজই অফিসে একটা নতুন