Money Matters
()
About this ebook
উন্নত করতে হলে আপনাকে বিদেশী ঋণ এনে ফেক (Fake) ডেভেলপ বন্ধ করতে হবে। কারণ ঋণ মানে ফাঁদ- debt trap এবং ঋণ এমন একটি জিনিস যার সাথে লড়াই করতে হয়। এইসব ঋণের জন্য কে দায়ী? অর্থনীতিবিদরা ও রাজনীতিবিদরা? নাকি জনগণ? নাকি উভয়ই দোষী? জনগণের কি দোষ? ঋণ খেলাপি জনগণের মাধ্যমে সংগঠিত হয়ে থাকে। বড় বড় ঋণ খেলাপি যারা করে তাদেরকে আমরা আসলে স্যার বলে সম্বেধন করে থাকি। আসলে উন্নত বা ডেভেলপ মানে কি অধিকাংশ রাজনীতিবিদরা ও জনগণ জানেই না এবং তাদেরকে এই সব সম্পর্কে ভালো ও সুস্ঠ জ্ঞান অর্জন করতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে বিদেশী ঋণ এবং অধিক হারে অর্থ ছাপিয়ে এর পূর্বে অনেক দেশ ধ্বংস হয়েছে। এবং আমরা জানি বর্তমানে মেগা প্রজেক্ট করতে গিয়ে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি ধ্বংস হয়েছে (২০২২) ।
Md Assadujjaman (Jewel)
Md Assadujjaman (Jewel) bengali - মোঃ আসাদুজ্জামান (জুয়েল)I was born on a warm, sunny day in 1982 April in Khulna, Bangladesh. I still live in Khulna. Bangladesh is the strikingly beautiful Country. I reflect a varied personality including the qualities of generosity and thoughtfulness. I am also a well determined and vigorous individual, yet pleasantly calm.SSC: Science - Jalma Chakrakhali Secondary School. HSC: Science - Govt. Sundarban Adarsha College, Khulna.Electrical and Electronics: Dhaka Technical Training Center. studying philosophy for some time. Islamic study in Islamic education center (IEC).like to research and study book, Islamic book, science fiction book.philosophy - education crime.
Read more from Md Assadujjaman (Jewel)
Sciencelam Supernatural 2 Jinn Rating: 0 out of 5 stars0 ratingsযুদ্ধ, সংগ্রাম ও কৌশল Rating: 0 out of 5 stars0 ratingsমেয়েরা কোনটির জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করছে? Rating: 0 out of 5 stars0 ratingsঐতিহাসিক পুনরুদ্ধার: বাঙালি এবং পাল সাম্রাজ্যর Rating: 0 out of 5 stars0 ratingsSciencelam: Religion, Philosophy, Science Rating: 0 out of 5 stars0 ratingsক্ষমতাহীনদের শক্তি Rating: 5 out of 5 stars5/5
Related to Money Matters
Reviews for Money Matters
0 ratings0 reviews
Book preview
Money Matters - Md Assadujjaman (Jewel)
Money Matters (1st edition)
By Md Assadujjaman (Jewel)
Smashword Edition
copyright © Md Assadujjaman (Jewel) 2019
Smashwords Edition License Notes:
This free ebook may be copied, distributed, reposted, reprinted and shared, provided it appears in its entirety without alteration, and the reader is not charged to access it.
Mail - sciencelam2020@gmail.com (Primary)
Mail - jekhbd@gmail.com
Inbox for errors
https://www.facebook.com/assadujjaman.jewel.737
https://www.facebook.com/asad.jewel.73/
Table of Contents
১। শুরু একটি গল্প দিয়ে।
২। অর্থ (টাকা) কি?
৩। বিনিময়ের ইতিহাস
৪। Digital কি?
৫। টাকার মানের যুদ্ধ (war)
৬। বিশ্বের প্রথম ব্যাংক।
৭। অর্থনৈতিক মেশিন সংক্ষেপে (Economic Machine)
৮। মানুষের প্রকৃতি অর্থ (টাকা) খরচের ক্ষেত্রে।
৯। বাংলাদেশের-মুদ্রাব্যবসা।
১০। অর্থের (টাকা) গেম ও খরচের পরিমান।
১১। বিদেশীরা কেন তারা ঋণ দিয়ে থাকে?
১২। বিদেশী ঋণ কিভাবে শোধ হবে?
১৩। আমাদের বাঙালিদের বুদ্ধিমত্তার গল্প।
১৪। অর্থের সাথে সম্পর্কিত গরীব দেশগুলোর প্রচলিত সমস্যা।
১৫। দ্রব্যাদির দাম নির্ধারণ ও বাড়ে কেন? (Basic)
১৬। গরীব দেশ গুলোতে প্রচলিত রাজনীতির কালো পিঠ (Basic)
১৭। মানুষ যেভাবে তাদের অর্থনৈতিক ভালো অবস্থা প্রকাশ করে (status)
১৮। ন্যায্যতা পরিমাপের ক্ষেত্রে মানুষের শূন্যজ্ঞান।
১৯। রবার্ট কিয়োসাকির ধনী বাবা গরীব বাবা বই থেকে শিক্ষণীয় বিষয়।
২০। কোটিপতি ফাস্টলেন, আনস্ক্রিপ্টড বই থেকে শিক্ষণীয় বিষয়।
২১। ইসলামে অর্থনৈতিক ও মনস্তাত্ত্বিক বিষয়।
২২। পৃথিবীব্যাপী ইসলামের আর্থিক প্রাচুর্যতার পরিসমাপ্তি
২৩। উপরের হাত ও নিচের হাত।
২৪। অবশেষে।
১। শুরু একটি গল্প দিয়ে।
আমার একজন পরিচিত চাচা অনেক দিন পর তার সাথে দেখা হলো। কুশল বিনিময়ের পর বিভিন্ন বিষয়ে তার সাথে কথা বলতে বলতে এক পর্যায়ে, তাকে আমি জিজ্ঞাসা করলাম আপনার আর্থিক অবস্থার কেমন? সে উত্তরে বললো – লকডাউনের পর পূর্বের থেকে খারাপ অবস্থা। সে বলতে থাকলো – পূর্বে যখন ৫০০ টাকা বেতন ছিল তখন গরুর গোস্ত, দেশি মুরগী, ইলিশ মাছ খেয়ে দেয়ে ভালো মত সারা মাস চলে যেত এবং মাস শেষে দেখতাম কিছু অর্থ অবশিষ্ট রয়েছে। আর এখন ৫০,০০০ (পঞ্চাশ হাজার) টাকা বেতন পায় তাতে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয় তাছাড়া ছেলে মেয়ের খরচ। অফিস হতে অর্থ বাড়ি নিতে নিতে সব শেষ। এখন আবার তোমার চাচী বাড়িতে বসে কিছু স্টুডেন্ট পড়ানো শুরু করেছে।
চাচার ও অধিকাংশ মধ্যবিত্তদের বর্তমান অবস্থা
বাড়ি ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার পরে যা ঘটে
প্রথমে বাজার করলে = লেখাপড়া, ঔষধের খরচে ঘাটতি।
প্রথমে লেখাপড়ার খরচ দিলে = ঔষধ, বাজার খরচে ঘাটতি।
এখানে ঘাটতি একটি বৃত্ত আকারে কাজ করে।
আরেক শ্রেণী –
প্রথমে বাড়ি ভাড়া দিলে = বাজার ও লেখাপড়ার খরচে ঘাটতি।
এটির অন্য কারণ - মানুষের আয় বাড়েনি কিন্তু ব্যয় বেড়েছে। লক্ষণীয় বিষয় গরীব, মধ্যবিত্ত, কোটিপতি বা যাদের আয় বেড়েছে এবং যাদের আয় বাড়েনি এরা সকলেই একই স্থান থেকে বাজার করে। আসলে এরা সকলেই পরিবার চালানোর জন্য যে কোনভাবে বৃত্ত আকৃতি ঘাটতির সাথে একটি ভারসাম্য নীতি অনুসরণ করছে নিজেকে বাচিয়ে রাখা জন্য।
গল্পে ফেরত - চাচার কথা শুনে আমি তাকে বললাম পূর্বে কেউ যদি জমি বেচতে চাইতো তাহলে সে বলতো এখন কিছু টাকা দাও জমি লিখে দিচ্ছি বাকি টাকা পরে দিও। সেই দিন আর আসবে না কাকা এবং তাকে আমি একটি হাদিস শুনালাম - রাসূল (সা) বলেন, "কেয়ামতের পূর্বমুহূর্তে ব্যক্তি বিশেষে সালাম দেয়া হবে, বাণিজ্য ব্যাপক হয়ে যাবে এমনকি ব্যবসায় স্ত্রী স্বামীকে সহযোগিতা করবে , আত্নীয়তার বন্ধন ছিন্ন করা হবে (তাদের খোঁজখবর নেয়ার সময় থাকবে না), মিথ্যা সাক্ষ্য-মহামারির আকার ধারণ করবে, সত্য সাক্ষ্য গুম করা হবে, এবং লেখালেখি বেশি হতে থাকবে" (মুসনাদে আহমদ- ৩৮৭০)
তিনি হাদিস শুনে আমাকে জানালো সে এটি জানে – সে বললো - ভাইপো এক কাজ করলে কেমন হয় – আল্লাহ আমাদের চারটি বিয়ে করার অনুমতি দিয়েছে। তোমার চাচী রয়েছে, আর দুইটি বিয়ে করবো বন্ধ্যাত্ব নারী দেখে এবং আরেকটি বিয়ে এমনি করবো। তিন চার জন মিলে উপার্জন করলে সংসার ভালো করে চলবে।
আমি হাসি দিয়ে বললাম তা হয়তো চলতে পারে। কিন্তু চাচা পূর্বে একজনের ইনকাম দিয়ে গুষ্টি চলতো। এখন একজনের ইনকাম দিয়ে- একটি তিন জনের পরিবার টেনে টুনে চলে এবং অনেক পরিবার এমন আছে যাদের দুইজন উপার্জন করে কিন্তু ঘাটতি থাকে। মানে আমি বলতে চাচ্ছি যতজনই উপার্জন করেন আপনার পরিবারে পূর্বের (দাদার আমলের) ন্যায় সুখ শান্তি (গোলা ভরা ধান) আসবে না। কারণ মানুষের চাহিদা এবং প্রচলিত মুদ্রা (currency) যেভাবে ডিজাইন করা। চাচা বললো- আমাকে বুঝিয়ে বলো। ব্যাপারটা আসলে কি!! – নিচে যে হিসাব করা হয়েছে সেখানে EMI + Credit কার্ড ধরা হয়নি।
ধরেন কেউ পঞ্চাশ হাজার টাকা বেতন পায় – তার হিসাবটা একটু দেখে আসি-
একজন বেতন পায় প্রতি মাসে পঞ্চাশ হাজার টাকা- এখন প্রশ্ন সে কি একটি বাড়ি বানাতে পারবে কিংবা সে নিজেকে সুরক্ষিত করতে পারবে?
যদি সে 10,000 (১০,০০০ হাজার) টাকার একটি ডি পি এস চালায় দশ বছরে সে টাকা পাবে 1,766,600 (১৭ লক্ষ)। (অনেকেই এমন আছে যাদের ১০ হাজার টাকার ডি পি এস চালালে তাদের পরিবার চলবে না)
পড়ালেখা (অনার্স) শেষ হবে ২২ থেকে ২৫ বছরে – চাকরি করবে ২৫ বছর পর্যন্ত – তাহলে চাকরির সময় পাওয়া যাবে ২৫+ বছর।
২৫ বছরে তার টাকা জমা হবে ১৭ লক্ষ্য x ২.৫ (২৫ বছর) = ৪২.৫ লক্ষ টাকা। লক্ষণীয় বিষয় এই সময়ের মধ্য অর্থের (টাকা) ক্রয় ক্ষমতা কমেছে।
এখন এই অর্থ (টাকা) দিয়ে সে- কি করতে পারবে?
১। সে জমি কিনবে? (বাপের কেনা থাকলে সমস্যা কম)
২। ছেলে মেয়ে মানুষ করবে? (ছেলে মেয়ে যদি কোন ভালো চাকুরী না পায়?)
৩। নিজে চলবে, নিজেদের অসুস্থতা নিয়ে ভাববে?।
নিজেদের অসুস্থতা নিয়ে ভাববে - অসুস্থতার সময়ে মানুষের মধ্য ভয় কাজ করে। আমরা জানি ভয় (fear) হলো আবেগ (emotion)। আধুনিক যুগে ভয় বা আবেগ (emotion) ব্যবসায় পরিণত হয়েছে।
ধরেন এই ব্যক্তি তার অর্থকে minimize এর মাধ্যমে সব বিষয় চালিয়ে নিল এবং মনকে সান্ত্বনা দিল সে সফল হয়েছে।
নোট – তার জমাকৃত অর্থতে ইসলামিক সমস্যা রয়েছে এবং সাথেই কিছু মানুষ সে গুলোকে জায়েজ করে নিয়েছে। কিছু মানুষ বলে থাকে সুদ না থাকলে মানুষ অর্থ বাড়াবে কিভাবে? জাপানে সুদ বাদে অর্থের প্রচলন রয়েছে এবং তারা বিভিন্ন উপায়ে অর্থকে বাড়িয়ে থাকে।