যুদ্ধ, সংগ্রাম ও কৌশল
()
About this ebook
আর্ট অফ ওয়ার (The Art of War) বইটি (যাকে বাংলায় বলা হয় ‘রণকৌশল’) লিখেছেন ‘সান তজু’ যাকে মাস্টার সান ও সানজি বলা হয়। (Sun Tzu, Master Sun, also spelled Sunzi) এই বইটিতে প্রাচীন চীনা সামরিক কৌশল লেখা রয়েছে ১৩ টি অধ্যায়ে। সানজি বলেছেন - লড়াইয়ের পূর্বে উভয়পক্ষ জয়ী থাকে (আধুনিক যুগে এটি যে কোন লড়াই হতে পারে)
আমরা একটু ভিন্নভাবে আলোচনা ও গবেষণা করেছি। আমরা মুসলিম ও অমুসলিমদের কিছু লড়াই, কারণ, কৌশল ইত্যাদি বিষয় এই বইতে উল্লেখ করেছি।
Md Assadujjaman (Jewel)
Md Assadujjaman (Jewel) bengali - মোঃ আসাদুজ্জামান (জুয়েল)I was born on a warm, sunny day in 1982 April in Khulna, Bangladesh. I still live in Khulna. Bangladesh is the strikingly beautiful Country. I reflect a varied personality including the qualities of generosity and thoughtfulness. I am also a well determined and vigorous individual, yet pleasantly calm.SSC: Science - Jalma Chakrakhali Secondary School. HSC: Science - Govt. Sundarban Adarsha College, Khulna.Electrical and Electronics: Dhaka Technical Training Center. studying philosophy for some time. Islamic study in Islamic education center (IEC).like to research and study book, Islamic book, science fiction book.philosophy - education crime.
Read more from Md Assadujjaman (Jewel)
Sciencelam Supernatural 2 Jinn Rating: 0 out of 5 stars0 ratingsক্ষমতাহীনদের শক্তি Rating: 5 out of 5 stars5/5মেয়েরা কোনটির জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করছে? Rating: 0 out of 5 stars0 ratingsঐতিহাসিক পুনরুদ্ধার: বাঙালি এবং পাল সাম্রাজ্যর Rating: 0 out of 5 stars0 ratingsMoney Matters Rating: 0 out of 5 stars0 ratingsSciencelam: Religion, Philosophy, Science Rating: 0 out of 5 stars0 ratings
Related to যুদ্ধ, সংগ্রাম ও কৌশল
Reviews for যুদ্ধ, সংগ্রাম ও কৌশল
0 ratings0 reviews
Book preview
যুদ্ধ, সংগ্রাম ও কৌশল - Md Assadujjaman (Jewel)
War, struggle and strategy
যুদ্ধ, সংগ্রাম ও কৌশল - (Kings and Generals)
Writer and researcher - Md Assadujjaman (Jewel)
লেখক ও গবেষকঃ মোঃ আসাদুজ্জামান (জুয়েল)
Smashword Edition
copyright © Md Assadujjaman (Jewel) 2019
Smashwords Edition License Notes:
This free ebook may be copied, distributed, reposted, reprinted and shared, provided it appears in its entirety without alteration, and the reader is not charged to access it.
Mail - sciencelam2020@gmail.com (Primary)
Mail - jekhbd@gmail.com
Contents
১। আলোচনার পূর্বে আমাদেরকে কিছু বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে।
২। অমুসলিমদের কৌশল ও আমাদের শিক্ষণীয় বিষয়।
৩। আর্ট অফ ওয়ার (The Art of War)
৪। গ্রিকো-পার্সিয়ান যুদ্ধসমূহ
৫। দ্য গ্রেট আলেকজান্ডার (Alexander the Great)
৬। অশোক দ্য গ্রেট (Ashoka the Great) (ভারত)
৭। রোমান সাম্রাজ্য (Roman Empire)
৮। Presia - পারস্য (আধুনিক যুগে ইরান)
৯। মুহাম্মাদ (সাঃ) এর লড়াই ও অভিযান গুলো
১০। সেলজুক (Seljuk Empire) (সুন্নী ১০০০-১৪০০)
১১। ক্রুসেড crusaders (জেরুজালেম)
১২। সালাহউদ্দিন (Saladin) (রাজত্বকাল ১১৭৪-১১৯৩)
১৩। মঙ্গোলিয়ান (Mongolian) চেঙ্গিস খান (Genghis Khan)
১৪। ভারতে মুসলিম।
১৫। মঙ্গোলদের ইসলাম ধর্ম গ্রহণ
১৬। দীন-ই-ইলাহি (ধর্ম নিরপেক্ষ)
১৭। উসমানীয় সাম্রাজ্য (ottoman empire) (১২৯৯–১৯২৪)
১৮। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ (১৯১৪)
১৯। বাংলার যুদ্ধ সুমহ
২০। নেপোলিয়নের (Napoleon Bonaparte)
২১। জোসেফ স্টালিন (Joseph Stalin)
২২। প্রথম আরব ও ইসরায়েল যুদ্ধ ১৯৪৮ (COLD WAR)
২৩। ইরানের অন্য যুদ্ধগুলি
২৪। গুপ্তহত্যা (Order of Assassins)
২৫। জৈবিক যুদ্ধবিগ্রহ (Biological warfare)
২৬। বাণিজ্য যুদ্ধ (Economic warfare)
২৭। মুসলমানদের উপর নিপীড়ন।
২৮। হিন্দুদের উপর নিপীড়ন
২৯। গোপন সংগঠন
৩০। বাধ্যতামূলক সামরিক কৌশল
১। আলোচনার পূর্বে আমাদেরকে কিছু বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে
কুর’আন ২:৩০ - আর তোমার পালনকর্তা যখন ফেরেশতাদিগকে বললেনঃ আমি পৃথিবীতে একজন প্রতিনিধি বানাতে যাচ্ছি, তখন ফেরেশতাগণ বলল, তুমি কি পৃথিবীতে এমন কাউকে সৃষ্টি করবে যে অশান্তি ঘটাইবে ও রক্তপাত করিবে?
কুরআনের কিছু আয়াত রয়েছে যেগুলোকে অমুসলিমরা সমালোচনা করে থাকে মুসলিমদের বিরধিতার জন্য। এই আয়াতগুলি সমালোচনার সাথে কীভাবে যুক্ত? যদি জিজ্ঞাসা করা হয়, আপনি কি প্রমাণ করতে পারবেন যে এই লড়াই বা ঘটনাগুলি ঘটেনি? তখন অমুসলিমরা প্রমাণ করতে পারে না। যদি একই ঘটনা বা শব্দগুলি কোনও ইতিহাসের বইতে থাকলে - আপনি কি বলতেন? কেউ হয়ত বলতে পারে অমুসলিমরা এইগুলি পরিবর্তন করতে সক্ষম। অমুসলিমরা মুসলমানদের বিরোধিতা করার জন্য যে কৌশলগুলি (tactics) ব্যবহার করে
আপনি যদি মুসলিম হন তবে তারা আপনাকে কুরআনের কিছু আয়াত দেখিয়ে দেবে যা খ্রিস্টান ও ইহুদী বা অমুসলিমদের সাথে সম্পর্কিত, যা তারা কুরআনে অমুসলিমদের সম্পর্কে সমালোচনা বলে অভিহিত করে থাকে। এই আয়াতগুলি অমুসলিমদের মূল চাবিকাঠি। তারা এই আয়াতগুলিকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে প্রহারের লাঠি (beaten stick) হিসাবে ব্যবহার করে। তারা এই আয়াতগুলিকে একাধিকবার ব্যবহার করেছে যেমন, ইসলামের বিরুদ্ধে বই লেখার জন্য, লড়াই বা যুদ্ধ করা বা অন্য যে কোন বিষয়ের জন্য। দুঃখজনক বিষয়, তারা এই আয়াতগুলিকে কেবল বিরোধিতার সময় আংশিকভাবে ব্যবহার করে। ব্যাপারটি হল তারা যখন, যেখানে, যেভাবে প্রয়োজন তখন তারা এই আয়াতগুলি ব্যবহার করে থাকে। মুসলিমরা জানে যে এই আয়াতগুলি কেন বা এই আয়াতগুলির প্রসঙ্গ সম্পর্কে। এই আয়াতগুলির বিষয়টি মুসলমানদের মধ্যে বোধগম্য কারণ তারা আয়াতগুলির প্রসঙ্গ সম্পর্কে অবগত। তবে এই আয়াতগুলি অমুসলিদের বোধগম্য নয়।
আধুনিক বিশ্ব মুসলিমদের সাথে কেমন আচরণ করছে সেটি সকলেরই জানা। এখন প্রশ্ন হল অমুসলিমদের ধর্ম কি মুসলিমদের ঘৃণা করতে শেখায়? (নাস্তিকতা একটি অমুসলিম ধর্ম)
বর্তমান মুসলিমদের সাথে হওয়া ঘটনাগুলির প্রক্রিয়া থেকে আমাদের শিক্ষণীয় বিষয় রয়েছে।
২। অমুসলিমদের কৌশল ও আমাদের শিক্ষণীয় বিষয়
তারা কুর’আনের কিছু আয়াত ব্যবহার করে যেগুলো অমুসলিমদের সাথে সম্পর্কিত। আমরা দেখেছি প্রথমে অমুসলিমরা কুরআনের কিছু আয়াত বিতর্কিত করেছে- মুসলিম ও অমুসলিমদের মাঝে। তখন মুসলিমরা বুঝতে পারেনি মুসলিমরা নিপীড়নের শিকার হবে এবং পরবর্তীতে মুসলিমরা নিপীড়নের শিকার হয়েছে।
বিতর্কিত কেন করেছে? বিতর্কিত করেছে তারা মুসলিমদের দৃষ্টিগোচর করার জন্য, যাতে মুসলিমরা মূল ষড়যন্ত্রের দিকে লক্ষ্য না করতে পারে এবং বিতর্কিত বিষয় নিয়ে ব্যস্ত থাকে। মুসলিমদের অবশ্যই দুই দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে (বিতর্কিত বিষয় ও ষড়যন্ত্র)। বর্তমানে আমরা দেখে থাকি (খৃষ্টান ও ইহুদীরা ছাড়াও) নাস্তিক ও হিন্দুরা ইসলামের অনেক বিষয়কে বিতর্কিত করে থাকে।
শিক্ষণীয় বিষয় – যখনই এমন ঘটনা ঘটবে তখনই বুঝতে হবে মুসলিমদের নিপীড়নের বা ইসলামের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে ষড়যন্ত্র তৈরি হয়েছে। তারা কোন দীর্ঘ মেয়াদী কিছু করতে চলেছে মুসলিমদের বিরুদ্ধে।
বিভিন্ন প্রক্রিয়ার কিছু প্রক্রিয়া - মুসলিমদের বিরুদ্ধে বই লিখে তারা গোপনে নিজেদের মধ্যে প্রকাশ করছে। তাদের যে কোন ইসলাম বিরোধী কৌশল, বই, ষড়যন্ত্রগুলিকে তারা কার্যকর করেছে ধীরস্থিরতা ও সাবধনতার সাথে। এটি এক বা দুই প্রজন্ম সময়ও নিতে পারে। এইগুলিতে তারা সফল হয়েছে কারণ মুসলিমরা সজাগ নয়। তাদের প্রক্রিয়ার অন্য মাধ্যম মিডিয়া ও মিথ্যাচার। (মিথ্যাচার গুলো সত্যর চেয়ে সুন্দর (sophisticated)
কুরআন ৬:১০৮ (অন্যদের অবমাননা করা নিষেধ - মিথ্যা দেবতা বা ঈশ্বরদেরকে)
তোমরা তাদেরকে মন্দ বলো না, যাদের তারা আরাধনা করে আল্লাহকে ছেড়ে। তাহলে তারা ধৃষ্টতা করে অজ্ঞতাবশতঃ আল্লাহকে মন্দ বলবে। এমনিভাবে আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের দৃষ্টিতে তাদের কাজ কর্ম সুশোভিত করে দিয়েছি। অতঃপর স্বীয় পালনকর্তার কাছে তাদেরকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। তখন তিনি তাদেরকে বলে দেবেন যা কিছু তারা করত
।
কুরআন ৪:১৪০ (যারা ইসলামকে অপমান করে তাদের সাথে বসো না )
"আর কোরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারি করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহ তা’ আলার আয়াতসমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রুপ হতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গান্তরে চলে যায়। তা না হলে তোমরাও - তাদেরই মত হয়ে যাবে।
কুরআন ২৪:২২ (অন্যকে ক্ষমা করুন যাতে আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করে।)
তোমাদের মধ্যে যারা উচ্চমর্যাদা ও আর্থিক প্রাচুর্যের অধিকারী, তারা যেন কসম না খায় যে, তারা আত্নীয়-স্বজনকে, অভাবগ্রস্তকে এবং আল্লাহর পথে হিজরতকারীদেরকে কিছুই দেবে না। তাদের ক্ষমা করা উচিত এবং দোষক্রটি উপেক্ষা করা উচিত। তোমরা কি কামনা কর না যে, আল্লাহ তোমাদেরকে ক্ষমা করেন? আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম করুণাময়
।
অমুসলিমদের যে আচরণ মুসলিমদের প্রতি, এটি একটি প্রমাণ তাদের ধর্মে
উপরের আলোচিত কোন বিষয় নেই। (এমনকি নাস্তিকতায়ও)
কুরা’আন ৩:১১০ - "তোমরাই হলে সর্বোত্তম উম্মত, মানবজাতির কল্যানের জন্যেই তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে। তোমরা সৎকাজের নির্দেশ দান করবে ও অন্যায় কাজে বাধা দেবে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে।
রাসুল (সাঃ) বলেছেন: তোমাদের কেউ যখন অন্যায়কাজ হতে দেখে সে যেন তার হাত দিয়ে তাকে প্রতিহত করে। যদি তাতে সক্ষম না হয় তাহলে তার মুখের কথা দিয়ে তা প্রতিহত করার চেষ্টা করবে। তাতেও যদি সক্ষম না হয় তাহলে অন্তর দিয়ে তা প্রতিহত করার চেষ্টা করবে। [অন্তর দিয়ে কাজটিকে ঘৃণা করার পাশাপাশি সেটা প্রতিহত করার জন্য চিন্তাভাবনা করবে] আর এটাই ঈমানের সর্বনিম্ন স্তর।
(মুসলিম-৭৮, নাসায়ী-৫০০৮)
সাধারণত যেকোন অন্যায় কাজকে যেকোন এক প্রক্রিয়ায় আমরা মুসলিমরা প্রতিহত করে থাকি। আমাদের অন্যায়কে প্রতিহত করার অন্য আরেকটি প্রক্রিয়া হল দোয়া করা ও আল্লাহর আযাবের জন্য অপেক্ষা করা। ফলাফল এতে আমরা মুসলিমরা আংশিক হলেও এই আযাবের ভুক্তভোগী হচ্ছি। আধুনিক যুগে পৃথিবী চলে বিশ্বায়ন বা আন্তর্জাতিকভাবে। আমরা দেখেছি আল্লাহর আযাবও আন্তর্জাতিক রুপ নিয়েছে। যেমন – করোনা ভাইরাস।
করোনা (মহামারী) থেকে শিক্ষণীয় – লেকচার থেকে নেওয়া
আমরা দেখেছি করোনার ফলে সারা দুনিয়ার আচরণ পরিবর্তন হয়েছে এমনকি অমুসলিমদের মধ্যে। মুসলিমরা একে অপরের কাছে ক্ষমা চাচ্ছে, তারা নিজেদের মধ্যে বিনয়ী হয়েছে। মুসলিমরা সুদ সহ বিভিন্ন ছোট গুনাহ থেকে নিজেদের বিরত রেখেছে। আমরা জানি অচিরেই করোনা থেমে যাবে। আল্লাহর ওয়াস্তে আপনাদের নিকট আবদার আপনারা এখন যেমন রয়েছেন এর উপরই স্থায়ী থাকুন। আমরা মসজিদগুলো বন্ধ হওয়ায় মুসলিমদের ক্রন্দন