প্রত্যাশিত বিষয় সম্পর্কে সুনিশ্চয়তা(Bengali Edition)
By Jaerock Lee
()
About this ebook
যে সময়ে আদম ঈশ্বরের অবাধ্য হয়েছিলেন সেই সময় থেকে শুরু করে মানুষের পাপের প্রায়শ্চিত্তের বলিদান হিসাবে প্রেমময় ঈশ্বর তাঁর একমাত্র পুত্র যীশুখ্রীষ্টকে মর্ত্যে প্রেরণ করে আমাদের পরিত্রাণের পথ সুগম করে দিয়েছিলেন| এই ঘটনায় আস্থাস্থাপন করে যে কেউই তার হৃদয় উন্মুক্ত করে যীশুখ্রীষ্টকে তার ত্রাণকর্তা রূপে স্বীকার করে নেবেন তিনিই পাপের ক্ষমা লাভ করে পবিত্র
Read more from Jaerock Lee
জেগে থাক আর প্রার্থনা কর(Bengali Edition) Rating: 0 out of 5 stars0 ratingsআমার নামে পিতার কাছে চাইলে তিনি দেবেন (Bengali Edition) Rating: 0 out of 5 stars0 ratings
Related to প্রত্যাশিত বিষয় সম্পর্কে সুনিশ্চয়তা(Bengali Edition)
Reviews for প্রত্যাশিত বিষয় সম্পর্কে সুনিশ্চয়তা(Bengali Edition)
0 ratings0 reviews
Book preview
প্রত্যাশিত বিষয় সম্পর্কে সুনিশ্চয়তা(Bengali Edition) - Jaerock Lee
বিশ্বাস দ্বারাই প্রত্যাশিত বিষয় সম্পর্কে আমরা সুনিশ্চিত হই, অদৃশ্য বিষয় সম্পর্কে প্রত্যয় লাভ করি| বিশ্বাসের জন্যই পুরাকালের লোকেরা স্মরণীয় হয়েছেন| বিশ্বাসেই আমরা বুঝতে পারি যে এই বিশ্বভুবন ঈশ্বরের বাক্য দ্বারা সৃষ্টি হয়েছিল, কোন প্রত্যক্ষ বস্তু থেকে এই সব দৃশ্য বস্তুর উৎপত্তি হয়নি|
(হিব্রু ১১:১-৩)
বিশ্বাস ডাঃ জ্যেরক লী
ইউরিম বুকস কর্তৃক প্রকাশিত (প্রতিনিধি: Johnny H. Kim)
২৩৫-৩, গুরো-ডং ৩, গুরো-গু, সিওল, কোরিয়া
ডব্লিউডব্লিউডব্লিউ.ইউরিমবুকস.কম
উপশীর্ষক: প্রত্যাশিত বিষয় সম্পর্কে সুনিশ্চয়তা
সর্বস্বত্ব সুরক্ষিত| এই বই বা এর কোন অংশ প্রকাশকের অগ্রিম লিখিত অনুমতি ব্যতীত কোন আকারে, কোন পদ্ধতিতে সংরক্ষণ, প্রেরণ অথবা ইলেকট্রনিক, যান্ত্রিক, প্রতিলিপি, রেকর্ড বা অন্য কোন প্রকারে প্রকাশ করা যাবে না|
অন্য কোন উল্লেখ না করা থাকলে, সমস্ত বাইবেল উদ্ধৃতি পবিত্র বাইবেল, নূতন আমেরিকান বাইবেল থেকে নেওয়া হয়েছে, ®, সর্বস্বত্ব @ ১৯৬০, ১৯৬২, ১৯৬৩, ১৯৬৮, ১৯৭১, ১৯৭২, ১৯৭৩, ১৯৭৫, ১৯৭৭, ১৯৯৫ লকম্যান ফাউন্ডেশন| অনুমতিপ্রাপ্ত
গ্রন্থস্বত্ব © ২০০৯ ডা: জ্যেরক লী
ISBN: 979-11-263-0682-4 05230(ebook)(2021.2.3)
অনুবাদ স্বত্ব © ২০০৮ ডা: এসথার কে চুং| অনুমতিপ্রাপ্ত|
পূর্বে ১৯৯০ সনে কোরিয়ান ভাষায় ইউরিম বুকস কর্তৃক প্রকাশিত
গিউমসুন ভিন কর্তৃক সম্পাদিত
এডিটরিয়াল বিউরো অফ ইউরিম বুকস কর্তৃক পরিকল্পিত
ইবন প্রিন্টিং কোম্পানি কর্তৃক মুদ্রিত
বিশদ বিবরণের জন্য যোগাযোগ করুন: ইউরিমবুক@হটমেইল.কম
ভূমিকা
img11বিশ্বাস দ্বারাই প্রত্যাশিত বিষয় সম্পর্কে আমরা সুনিশ্চিত হই, অদৃশ্য বিষয় সম্পর্কে প্রত্যয় লাভ করি| বিশ্বাসের জন্যই পুরাকালের লোকেরা স্মরণীয় হয়েছেন| বিশ্বাসেই আমরা বুঝতে পারি যে এই বিশ্বভুবন ঈশ্বরের বাক্য দ্বারা সৃষ্টি হয়েছিল, কোন প্রত্যক্ষ বস্তু থেকে এই সব দৃশ্য বস্তুর উৎপত্তি হয়নি| (হিব্রু ১১:১-৩)
এই গ্রন্থ প্রকাশ করতে পারায় সবকিছুর ঊর্দ্ধে পিতা পরমেশ্বরের উদ্দেশে আমি গৌরব ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করি|
যে সময়ে আদম ঈশ্বরের অবাধ্য হয়েছিলেন সেই সময় থেকে শুরু করে মানুষের পাপের প্রায়শ্চিত্তের বলিদান হিসাবে প্রেমময় ঈশ্বর তাঁর একমাত্র পুত্র যীশুখ্রীষ্টকে মর্ত্যে প্রেরণ করে আমাদের পরিত্রাণের পথ সুগম করে দিয়েছিলেন| এই ঘটনায় আস্থাস্থাপন করে যে কেউই তার হৃদয় উন্মুক্ত করে যীশুখ্রীষ্টকে তার ত্রাণকর্তা রূপে স্বীকার করে নেবেন তিনিই পাপের ক্ষমা লাভ করে পবিত্র আত্মাকে লাভ করতে সক্ষম হবেন আর ঈশ্বরের সন্তান রূপে গণ্য হবেন| অধিকন্তু, ঈশ্বরের সন্তান হওয়ার সুবাদে বিশ্বাসের মাধ্যমে যা কিছুই তিনি যাচনা করবেন তাই-ই লাভ করতে সক্ষম হবেন| আর ফলস্বরুপ, তার প্রাপ্তি হবে কোনোপ্রকার অপ্রতুলতা বিহীন অফুরন্ত জীবনের প্রাচুর্য এবং বিজয়ীর ন্যায় তিনি এই জগৎকে অতিক্রম করার যোগ্যতাও অর্জন করবেন|
বাইবেলে এইভাবে কথিত আছে যে বিশ্বাসের পিতাগণ ঈশ্বরের শূন্য থেকে সৃষ্টির ক্ষমতায় আস্থা রেখেছিলেন| তাঁরা ঈশ্বরের অত্যাশ্চর্য কাজের অভিজ্ঞতা লাভ করতে সক্ষম হয়েছিলেন| অতীত বর্তমান বা ভবিষ্যতের ঈশ্বর সর্বদা একইরূপে বিদ্যমান এবং বাইবেলে সংরক্ষিত বাণীতে আস্থাশীল হয়ে যারা সেইমত জীবন যাপন করেন, সর্বশক্তিমান রূপে তিনি আজকের দিনেও তাদের মধ্যে তাঁর কাজ করে চলেছেন|
আগের দশকে অর্থাৎ আমার যাজকত্বের সময়কালে অসংখ্য মানমিন সদস্যদের, শুধুমাত্র সত্যের বাণীতে বিশ্বস্ত থেকে বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্ত হতে দেখেছি এবং উচ্ছাসের সঙ্গে ঈশ্বরের গৌরব করতে দেখেছি| স্বর্গরাজ্য প্রবল আক্রমণের সম্মুখীন হচ্ছে এবং পরাক্রমীরা সবলে তা অধিকার করছে
(মথি ১১:১২), এই বলে তারা যখন ঈশ্বরের উদ্দেশে তাদের বিশ্বাস প্রদর্শন করতেন এবং আরও গভীরভাবে বিশ্বাস অর্জনের নিমিত্তে তারা যখন অধ্যবসায় ও প্রার্থনার মাধ্যমে ঈশ্বরের বাণীর মধ্যে দিয়েই নিজেদের জীবন নির্বাহ করতেন, তখন অন্য সমস্ত কিছুর থেকে তাদেরকেই আমার বেশী মূল্যবান বলে মনে হত|
এই গ্রন্থ তাদের জন্যেই রচিত হয়েছে যারা ঈশ্বরের গৌরবার্থে প্রকৃত বিশ্বাস অর্জন করে, ঈশ্বরের ভালবাসা বিস্তার করে এবং প্রভু পরমেশ্বরের মঙ্গল সমাচার বিনিময় করে আগ্রহের সঙ্গে বিজয়ীর জীবন যাপন করতে চান| বিগত দুই দশক ধরে বিশ্বাস
এই শিরোনামের উপরে আমি অসংখ্য বার্তা দান করেছি এবং সেই সমস্ত বার্তাসমূহ থেকে নির্বাচন করে এবং অনুক্রম অনুসারে সেগুলিকে সম্পাদন করেই এই গ্রন্থটিকে প্রকাশ করা সম্ভব হয়েছে| আমি আশা করি যে বিশ্বাস – প্রত্যাশিত বিষয় সম্পর্কে সুনিশ্চয়তা নামক এই গ্রন্থটি যেন একটি বাতিঘরের ভূমিকা গ্রহণ করে, যার মাধ্যমে অসংখ্য আত্মা যথার্থ বিশ্বাসের উদ্দেশ্যে পরিচালিত হতে সক্ষম হবে|
বায়ু তার ইচ্ছানুসারেই প্রবাহিত হয় এবং তা আমাদের দৃষ্টির অগোচরে থাকে| তথাপি, যখন আমরা গাছের পাতাগুলিকে দুলতে দেখি কেবলমাত্র তখনই আমরা সেই বায়ুর অস্ত্বিত্ব সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল হই| ঠিক একইভাবে, যদিও আপনারা খালি চোখে ঈশ্বরকে প্রত্যক্ষ করতে পারেন না তথাপি, ঈশ্বর জীবিত এবং তিনি উপস্থিত আছেন| আর সেইজন্যেই, তাঁর উপরে আপনাদের বিশ্বাসের পরিমাণ অনুসারে, যতটাই আপনারা কামনা করেন সেই পরিমাপেই আপনারা তাঁকে প্রত্যক্ষ করতে পারবেন, তাঁর কন্ঠস্বর শ্রবণ করতে পারবেন এবং তাঁর উপস্থিতি অনুভব করতে সক্ষম হবেন|
signima01সূচীপত্র
ভূমিকা
ভূমিকা
১ অধ্যায়
শারীরিক বিশ্বাস এবং আধ্যাত্মিক বিশ্বাস
২ অধ্যায়
জৈব প্রবৃত্তিতে আসক্ত মানুষ ঈশ্বরের শত্রু
৩ অধ্যায়
সমস্ত প্রকার তত্ত্ব ও ধ্যানধারণাগুলি ধ্বংস করে ফেল
৪ অধ্যায়
বিশ্বাসের বীজ বপন কর
৫ অধ্যায়
‘যদি পারেন’ কেন? যে বিশ্বাস করে তার জন্য সবই করা সম্ভব"
৬ অধ্যায়
ড্যানিয়েল শুধুমাত্র ঈশ্বরের উপরেই আস্থাস্থাপন করেছিলেন
৭ অধ্যায়
ঈশ্বর অগ্রিম সংস্থান করেন
১ অধ্যায়
img12শারীরিক বিশ্বাস এবং আধ্যাত্মিক বিশ্বাস
বিশ্বাস দ্বারাই প্রত্যাশিত বিষয় সম্পর্কে আমরা সুনিশ্চিত হই, অদৃশ্য বিষয় সম্পর্কে প্রত্যয় লাভ করি| বিশ্বাসের জন্যই পুরাকালের লোকেরা স্মরণীয় হয়েছেন| বিশ্বাসেই আমরা বুঝতে পারি যে এই বিশ্বভুবন ঈশ্বরের বাক্য দ্বারা সৃষ্টি হয়েছিল, কোন প্রত্যক্ষ বস্তু থেকে এই সব দৃশ্য বস্তুর উৎপত্তি হয়নি|
img11হিব্রু ১১:১-৩
যথার্থ বিশ্বাসকে সম্বল করে যাজক যখন ভক্তগণকে ঈশ্বরের গৌরব করতে দেখেন তখন তিনি কতই না আনন্দিত হয়ে ওঠেন| একদিকে যেমন, খ্রীষ্ট বিশ্বাসীরা নিজেদের জীবন যাপনের মধ্যে দিয়ে যখন সেই জীবিত ঈশ্বরের স্বাক্ষ্য দিতে ব্যস্ত হয়ে ওঠে তখন যাজক অতি উল্লসিত হয়ে ঈশ্বর প্রদত্ত কাজে নিজেকে আরও নিবিড়ভাবে উৎসর্গ করতে পারেন| আবার অন্যদিকে, যখন তাদের মধ্যে কেউ কেউ নিজেদের বিশ্বাস বৃদ্ধিতে অপারগ হয়ে বিভিন্ন সমস্যা ও পরীক্ষার সম্মুখীন হয় তখন যাজকের হৃদয় যন্ত্রণাকাতর হয়|
বিশ্বাস ব্যতীত আমাদের পক্ষে ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করা অথবা তাঁর কাছ থেকে প্রার্থনার উত্তর লাভ করা শুধু অসম্ভবই নয়, এমনকি, যথার্থ বিশ্বাসীর জীবন যাপন করা বা স্বর্গরাজ্য অর্জন করাও দুঃসাধ্য ব্যাপার হয়ে ওঠে|
খ্রিষ্টীয় জীবনে বিশ্বাসই হল সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি| এটাই হল পরিত্রাণ লাভের সবচেয়ে সহজ ও সংক্ষিপ্ততম পথ এবং পরমেশ্বরের কাছ থেকে প্রার্থনার উত্তর লাভ করার মূলত অপরিহার্য পন্থাও বটে| আমাদের আজকের দিনে যেহেতু মানুষের কাছে বিশ্বাসের সঠিক সংজ্ঞা সম্বন্ধে কোনো ধারণা নেই, তাই বহু মানুষই প্রকৃত বিশ্বাস অর্জন করতে অসফল হয়| তারা পরিত্রাণের নিশ্চয়তাও লাভ করতে অক্ষম হয়| আর যদি তারা ঈশ্বরের কাছে তাদের বিশ্বাস ব্যক্ত করেও থাকে তথাপি তারা আলোকের পথে চলতে অসমর্থ হয় এবং ঈশ্বরের উত্তর লাভ করতে অসমর্থ হয়|
বিশ্বাসকে দুই শ্রেণীতে ভাগ করা যায়: শারীরিক বিশ্বাস ও আধ্যাত্মিক বিশ্বাস| এই প্রথম অধ্যায়ে আপনাদের কাছে প্রকৃত বিশ্বাস সম্বন্ধে ব্যাখ্যা