উপাসনা কর আত্মায় ও সত্যে(Bengali Edition)
By Jaerock Lee
()
About this ebook
আর জেরেমিয়া ১৭:৮-এ ঠিক যেমনটি বলা হয়েছে, "সে হবে নদীতীরে বৃক্ষের মত, জলের কাছে যে মূল বিস্তার করে| রুক্ষ্ম দিন এলেও ভয় নেই তার, কারণ তার পত্র-পল্লব থাকে চিরসবুজ| বর্ষণ যখন নামে, তখনও ভীত হয় না সে, ধারণ করে চলে অজস্র ফল সম্ভার|" এখানে, "জল" ঈ
Read more from Jaerock Lee
জেগে থাক আর প্রার্থনা কর(Bengali Edition) Rating: 0 out of 5 stars0 ratingsআমার নামে পিতার কাছে চাইলে তিনি দেবেন (Bengali Edition) Rating: 0 out of 5 stars0 ratings
Related to উপাসনা কর আত্মায় ও সত্যে(Bengali Edition)
Reviews for উপাসনা কর আত্মায় ও সত্যে(Bengali Edition)
0 ratings0 reviews
Book preview
উপাসনা কর আত্মায় ও সত্যে(Bengali Edition) - Jaerock Lee
কিন্তু এমন সময় আসছে, এমন কি এখনই সেই সময়, যখন প্রকৃত উপাসকেরা আত্মায় ও সত্যে পিতার উপাসনা করবে| পিতা এমন উপাসকেরই সন্ধান করেন| ঈশ্বর আত্মাস্বরূপ| তাঁর উপাসনা যারা করবে, আত্মায় ও সত্যেই তাদের উপাসনা করতে হবে|
(যোহন রচিত মঙ্গল সমাচার ৪:২৩-২৪)
উপাসনা কর আত্মায় ও সত্যে ডাঃ জ্যেরক লী
ইউরিম বুকস কর্তৃক প্রকাশিত (প্রতিনিধি: Johnny. H. kIM)
২৩৫-৩, গুরো-ডং ৩, গুরো-গু, সিওল, কোরিয়া
www.urimbooks.com
সর্বস্বত্ব সুরক্ষিত| এই বই বা এর কোন অংশ প্রকাশকের অগ্রিম লিখিত অনুমতি ব্যতীত কোন আকারে, কোন পদ্ধতিতে সংরক্ষণ, প্রেরণ অথবা ইলেকট্রনিক, যান্ত্রিক, প্রতিলিপি, রেকর্ড বা অন্য কোন প্রকারে প্রকাশ করা যাবে না|
অন্য কোন উল্লেখ না করা থাকলে, সমস্ত বাইবেল উদ্ধৃতি পবিত্র বাইবেল, নূতন আমেরিকান বাইবেল থেকে নেওয়া হয়েছে, ®, সর্বস্বত্ব @ ১৯৬০, ১৯৬২, ১৯৬৩, ১৯৬৮, ১৯৭১, ১৯৭২, ১৯৭৩, ১৯৭৫, ১৯৭৭, ১৯৯৫ লকম্যান ফাউন্ডেশন| অনুমতিপ্রাপ্ত
গ্রন্থস্বত্ব © ২০১২ ডা: জ্যেরক লী
ISBN 979-11-263-1107-1 05230 (e-book)
অনুবাদ স্বত্ব © ২০১২ ডা: এসথার কে চুং| অনুমতিপ্রাপ্ত|
প্রথম প্রকাশনা: নভেম্বর ২০১২
পূর্বে ১৯৯২ সনে কোরিয়ান ভাষায় ইউরিম বুকস কর্তৃক প্রকাশিত
গিউমসুন ভিন কর্তৃক সম্পাদিত
এডিটরিয়াল বিউরো অফ ইউরিম বুকস কর্তৃক পরিকল্পিত
বিশদ বিবরণের জন্য যোগাযোগ করুন: ইউরিমবুক@হটমেইল.কম
ভূমিকা
img11ইস্রায়েলের রুক্ষ্ম মরুভূমিতে বাবলা গাছ চোখে পড়াটা খুবই স্বাভাবিক একটি ব্যাপার| জীবনধারণের জন্যে সেই গাছগুলি মাটির গভীরে প্রায় একশ ফুট পর্যন্ত তাদের শিকড় চালিয়ে জলের সন্ধান করে থাকে| আপাতদৃষ্টিতে সেই গাছগুলিকে দেখলে মনে হয় যে সেগুলি বুঝি কেবলই জ্বালানি হিসাবে ব্যবহৃত হয় কিন্তু সেই গাছের কাঠ একেবারে নিরেট এবং অন্য যে কোনো গাছের তুলনায় তা খুবই শক্তপোক্ত|
ঈশ্বর আদেশ করেছিলেন যে চুক্তি সিন্দুক যেন সেই বাবলা গাছের কাঠ দিয়েই নির্মাণ করা হয় এবং আগাগোড়া সোনা দিয়ে মুড়ে তাকে যেন রাখা হয় মহাপবিত্র স্থানে| মহাপবিত্র স্থান হল সেই বিশুদ্ধ স্থান যেখানে স্বয়ং ঈশ্বর বাস করেন| একমাত্র প্রধান পুরোহিতই সেই স্থানে যাওয়ার অনুমতি লাভ করতেন| ঠিক সেইভাবেই, কেবলমাত্র সেই ব্যক্তি যিনি জীবনরুপী ঈশ্বরের সেই বাণীর গভীরে শিকড় চালাতে সক্ষম হয়েছেন তিনি শুধু ঈশ্বরের মূল্যবান উপকরণ হিসাবেই কাজ করবেন না বরং তিনি জীবনে অফুরন্ত আশীর্বাদও লাভ করতে সক্ষম হবেন|
আর জেরেমিয়া ১৭:৮-এ ঠিক যেমনটি বলা হয়েছে, সে হবে নদীতীরে বৃক্ষের মত, জলের কাছে যে মূল বিস্তার করে| রুক্ষ্ম দিন এলেও ভয় নেই তার, কারণ তার পত্র-পল্লব থাকে চিরসবুজ| বর্ষণ যখন নামে, তখনও ভীত হয় না সে, ধারণ করে চলে অজস্র ফল সম্ভার|
এখানে, জল
ঈশ্বরের বাণীর প্রতীক হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে এবং যে ব্যক্তি সেই আশীর্বাদ লাভ করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি ঈশ্বরের বাণী যেখানে ঘোষিত হবে সেখানে উপাসনা করবেন|
উপাসনা হল সেই অনুষ্ঠান যেখানে দেবতার উদ্দেশ্যে সম্মান ও ভক্তি প্রদর্শন করা হয়| মুলতঃ, খ্রিষ্টীয় উপাসনা অনুষ্ঠানে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে সম্মান প্রদর্শন সহকারে আমরা তাঁর প্রশংসা ও মহিমা বন্দনা করি| প্রাক্তন সন্ধির সময়ে এমন কি বর্তমান কালেও ঈশ্বর অনবরতই সেই সকল ব্যক্তিদের অনুসন্ধান করে চলেছেন যারা আত্মায় ও সত্যে অবিচল থেকে তাঁর উপাসনা করেন|
প্রাক্তন সন্ধির লেবীয় পুস্তকে উপাসনার সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্মতম বিবরণগুলি সংরক্ষিত হয়েছে| কিছু ব্যক্তি দাবী করেন যে, যেহেতু লেবীয় পুস্তকে প্রাক্তন সন্ধির সময়কালীন ঈশ্বরের প্রতি নৈবেদ্য উৎসর্গের ব্যাপারগুলির সম্বন্ধেই বর্ণিত হয়েছে, তাই এখনকার দিনে তা অপ্রাসঙ্গিক| কিন্তু তা কোনক্রমেই অযথার্থ নয়, কেননা উপাসনার ব্যাপারে প্রাক্তন সন্ধির বিধানগুলির তাৎপর্য আমাদের আজকের দিনের উপাসনার পদ্ধতিগুলির মধ্যেই নিহিত রয়েছে| প্রাক্তন সন্ধির সময়কালের ন্যায়ই আজকের নব সন্ধির উপাসনাও হল ঈশ্বরের সঙ্গে সাক্ষাতের পথস্বরূপ| নৈবেদ্য উৎসর্গের সময় আমরা প্রাক্তন সন্ধির আধ্যাত্মিক তাৎপর্যগুলি অনুসরণ করি যা ছিল একেবারেই নিষ্কলুষ, আর আজকের নব সন্ধির সময়েও আমরা সেইভাবেই ঈশ্বরের উপাসনা করতে পারি|
এই গ্রন্থটি বিভিন্ন ক্ষেত্র অনুযায়ী ব্যক্তি বিশেষের হোমবলি, ভক্ষ্য নৈবেদ্য, শান্তি স্বস্ত্যয়ন নৈবেদ্য, পাপের প্রায়শ্চিত্তের নৈবেদ্য, এবং অপরাধ মোচনের উদ্দেশ্যে নৈবেদ্য ইত্যাদি বিভিন্ন প্রকার উপাসনা পদ্ধতি ও তাৎপর্যগুলিকে কেন্দ্র করেই রচিত হয়েছে, যা আজকের যুগের নব সন্ধিতে প্রযোজ্য| ঠিক কিভাবে আমাদের ঈশ্বরের উপাসনা করা উচিত, এই গ্রন্থ তা আমাদের যথাযথভাবে জানতে সাহায্য করবে| পাঠকেরা যাতে নৈবেদ্য উৎসর্গের বিধানগুলি সম্বন্ধে অবগত হতে পারেন তার জন্যে এই গ্রন্থে সম্মিলন শিবিরের মনোরম রঙ্গিন চিত্র, পুন্যস্থানের অভ্যন্তরীণ দৃশ্য, মহাপবিত্র স্থান এবং উপাসনায় ব্যবহৃত উপযোগী দ্রব্য-সামগ্রীর চিত্রগুলি সংযোজন করা হয়েছে|
ঈশ্বর আমাদের বলেছেন যে, তোমরা পবিত্র হও কারণ আমি পবিত্র
(লেবীয় পুস্তক ১১:৪৫; ১ পিটার ১:১৬), এবং তিনি আমাদের কাছে এও প্রত্যাশা করেন যে, আমরা যেন লেবীয় পুস্তকে সংরক্ষিত নৈবেদ্য উৎসর্গের বিধানগুলি সম্পূর্ণরূপে অনুধাবন করি এবং নিষ্পাপ জীবন যাপন করি| আমি আশা করি যে আপনারা প্রাক্তন সন্ধির সময়কালীন নৈবেদ্য উৎসর্গের প্রতিটি বিষয় পুংখানুপুংখরূপে অবগত হয়ে আজকের দিনের নব সন্ধিতে যথার্থভাবে উপাসনা করতে সক্ষম হবেন| আমি এও আশা করি যে আপনারা যে পন্থায় উপাসনা করেন তা পরখ করে নিয়ে এমনভাবেই ঈশ্বরের উপাসনা করুন যাতে তিনি আপনাদের উপর প্রসন্ন হন|
সলোমন যেমনভাবে তাঁর সহস্র হোমবলির মাধ্যমে ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করতে সমর্থ হয়েছিলেন সেইভাবেই এই পুস্তকের প্রতিটি পাঠকই যেন ঈশ্বরের মূল্যবান উপকরণ হয়ে উঠতে পারেন এবং আত্মায় ও সত্যে অবিচল থেকে তাঁর উপাসনা করে এবং ঈশ্বরকে প্রেম ও কৃতজ্ঞতায় ভরিয়ে দিয়ে জলের কাছে বেড়ে ওঠা গাছের ন্যায় আপনারাও যেন উপছে পড়া আশীর্বাদ লাভ করতে পারেন আমাদের প্রভু যীশুখ্রীষ্টের নামে আমি এই প্রার্থনা করি!
ফেব্রুয়ারী ২০১০
signima01সূচীপত্র
ভূমিকা
১ অধ্যায়
আধ্যাত্মিক উপাসনা যা ঈশ্বর স্বীকার করেন
২ অধ্যায়
লেবীয় পুস্তকে বর্ণিত প্রাক্তন সন্ধির নৈবেদ্য উৎসর্গ
৩ অধ্যায়
হোমবলি
৪ অধ্যায়
ভক্ষ্য নৈবেদ্য
৫ অধ্যায়
শান্তি স্বস্ত্যয়ন নৈবেদ্য
৬ অধ্যায়
পাপের প্রায়শ্চিত্তের নৈবেদ্য
৭ অধ্যায়
অপরাধ মোচনের উদ্দেশ্যে নৈবেদ্য
৮ অধ্যায়
তোমাদের দেহকে জীবন্ত ও ঈশ্বরের গ্রাহ্য বলিরূপে উৎসর্গ কর
১ অধ্যায়
img12আধ্যাত্মিক উপাসনা যা ঈশ্বর স্বীকার করেন
ঈশ্বর আত্মাস্বরূপ| তাঁর উপাসনা যারা করবে আত্মায় ও সত্যেই তাদের উপাসনা করতে হবে|
(যোহন রচিত মঙ্গল সমাচার ৪:২৪)
১. প্রাক্তন সন্ধিতে নৈবেদ্য উৎসর্গ এবং নব সন্ধিতে উপাসনা
বাস্তবিকই প্রথম সৃষ্ট মানুষ আদম ছিলেন এমনই এক জীব যিনি প্রত্যক্ষভাবে ঈশ্বরের সঙ্গ লাভ করতে পারতেন| কিন্তু শয়তান দ্বারা প্রলোভিত হয়ে এবং পাপ কাজ সংঘটিত করে প্রত্যক্ষভাবে তিনি ঈশ্বরের সেই সঙ্গ লাভ থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন| আর সেই কারণেই আদম ও তাঁর বংশধরদের পাপের ক্ষমা আর পরিত্রাণ লাভের রাস্তা সুগম করতে ঈশ্বর একটি পন্থা অবলম্বন করেছিলেন যাতে তারা পুনরায় ঈশ্বরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে পারেন| প্রাক্তন সন্ধির সময়কালে নৈবেদ্য উৎসর্গের পদ্ধতিগুলির মধ্যেই সেই পন্থাটি খুঁজে পাওয়া যায়, যে বিধান ঈশ্বর স্বয়ং দান করেছিলেন|
প্রাক্তন সন্ধির কালে মানুষ নিজে থেকে সেই নৈবেদ্য উৎসর্গের বিধানগুলি তৈরী করে নি| লেবীয় পুস্তকের ১:১ থেকে শুরু করে আমরা সেই সম্বন্ধে জানতে পারি, সম্মিলন শিবির থেকে প্রভু পরমেশ্বর মোশীকে ডেকে বললেন ...
আদমের পুত্রদ্বয় কেইন ও আবেল ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে যে নৈবেদ্য উৎসর্গ করেছিলেন তার থেকেও আমরা এই অনুমান করতে পারি (আদিপুস্তক ৪:২-৪)|
সেই নৈবেদ্যগুলির প্রত্যেকটিই তাৎপর্যপূর্ণভাবে নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করে| সেগুলি হোমবলি, ভক্ষ্য নৈবেদ্য, শান্তি স্বস্ত্যয়ন নৈবেদ্য, পাপের প্রায়শ্চিত্তের নৈবেদ্য, এবং অপরাধ মোচনের উদ্দেশ্যে নৈবেদ্য ইত্যাদি রূপে শ্রেণীবদ্ধ করা হত| সংঘটিত পাপের পরিমাণ ও যে ব্যক্তি নৈবেদ্য উৎসর্গ করত তার অবস্থার পরিপ্রেক্ষিত অনুসারেই বৃষ, মেষ, ছাগ, ঘুঘু ও ময়দা নৈবেদ্য হিসাবে উৎসর্গ করা হত| যে পুরোহিতগণ সেই যজ্ঞ অনুষ্ঠান পরিচালনা করতেন তাঁদেরকে খুবই আত্মসংযমী ও বিচক্ষণ হতে হত, তাঁদেরকে এফোদ নামক পুরোহিতের পোশাক পরিধান করতে হত এবং অতি সাবধানতা অবলম্বন করে এবং নির্দিষ্ট রীতিনীতি মেনেই সেই নৈবেদ্য উৎসর্গ করতে হত| সেই সকল নৈবেদ্য উৎসর্গ বাহ্যিক আচার আচরণবিধি সম্মত এবং খুবই জটিল ও কঠোরভাবে মেনে চলা হত|
প্রাক্তন সন্ধির সময়কালে কোনো ব্যক্তি পাপ করে ফেললে, সেই পাপের প্রায়শ্চিত্ত স্বরূপ একটি পশু নিধন করে সেই পশুরক্তের মাধ্যমেই পাপের ক্ষমা লাভ করতে পারত| যাইহোক, বছরের পর বছর এইভাবে পশুর সেই রক্তের নৈবেদ্য মানুষকে পাপ করা থেকে সম্পূর্ণরূপে বিরত করতে পারত না| সেইপ্রকার নৈবেদ্য ছিল সাময়িকভাবে পাপ মুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়া মাত্র, যা যথার্থ নয়| এর কারণ হল যে, মানুষের পাপ থেকে সম্পূর্ণভাবে পরিত্রাণ পেতে হলে একমাত্র কোনো ব্যক্তির জীবনের মাধ্যমেই তা পাওয়া সম্ভব|
১ করিন্থীয় ১৫:২১-এ আমাদের বলা হয়েছে যে, একজন মানুষের মধ্যে দিয়ে যেমন মৃত্যু এসেছিল তেমনই আর একজন মানুষের দ্বারাই মৃতদের পুনরুত্থান সম্ভব হয়েছে|
আর সেই কারণেই, ঈশ্বরপুত্র যীশু দেহধারণ করে এই পৃথিবীতে এসেছিলেন এবং সম্পূর্ণরূপে নিষ্পাপ হয়েও ক্রুশের উপরে রক্ত ঝরিয়ে প্রাণ ত্যাগ করেছিলেন| যেহেতু যীশু একবার নিজেকে বলিরূপে উৎসর্গ করেছিলেন (হিব্রু ৯:২৮) তাই এখন আর কোনো রক্তের বলির প্রয়োজন নেই যা অতি জটিল ও কঠিন অনুশাসনে বদ্ধ|
হিব্রু ৯:১১-১২-তে যেমন আমরা পড়ে দেখতে পারি যে, এখন খ্রীষ্টের আবির্ভাব হয়েছে এবং যে সমস্ত উৎকৃষ্ট ফল লাভ হয়েছে তিনি তারই প্রধান পুরোহিত| যে মহত্তর ও উৎকৃষ্টতর শিবির মানুষের হাতে গড়া নয় অর্থাৎ, এই সৃষ্টির অন্তর্ভুক্ত নয়, তিনি সেই শিবিরের মহাপবিত্র স্থানে একবারই প্রবেশ করলেন|
অর্থাৎ, যীশু সেই শাশ্বতকালীন পরিত্রাণ সম্পাদন করেছিলেন|
যীশুখ্রীষ্টের কারণে আমাদের এখন আর ঈশ্বরের কাছে রক্তের বলি উৎসর্গ করতে হয় না বরং এখন আমরা তাঁর কাছে এক জীবন্ত এবং পবিত্র নৈবেদ্য উৎসর্গ করতে পারি| নব সন্ধির সময়ে এটাকেই বলা হয় উপাসনা সেবা| কিন্তু যীশু একবার মাত্র ক্রুশের উপরে বিদ্ধ হয়ে ও রক্ত ঝরিয়ে চিরতরে নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন| আর আমরা যখন অন্তর থেকে এটা বিশ্বাস করতে পারি যে আমরা পরিত্রাণ প্রাপ্ত হয়েছি আর যীশুখ্রীষ্টকে স্বীকার করে নিই, তখনই আমরা আমাদের পাপের ক্ষমা লাভ করি| এটা কিন্তু আমাদের কাজকে প্রাধান্য দেওয়ার কোনো অনুষ্ঠান নয়, বরং এটা হল আমাদের বিশ্বাসের প্রকাশ, যা আমাদের অন্তর থেকেই পল্লবিত হয়| এটা হল জীবন্ত এবং অতি পবিত্র বলিদান এবং এটাই হল ঈশ্বরের সঙ্গত উপাসনা (রোমীয় ১২:১)|
কিন্তু এর অর্থ এইও নয় যে প্রাক্তন সন্ধির সময়কালের বলিদান একেবারেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে| অর্থাৎ, প্রাক্তন সন্ধিকে যদি আমরা ছায়া হিসাবে গণ্য করি তাহলে নব সন্ধি হল তার প্রকৃত অবয়ব| বিধান মতে, প্রাক্তন সন্ধির সময়কালীন বলিদানের রীতিনীতি নব সন্ধির কালে যীশুর দ্বারাই যথার্থ রূপ প্রাপ্ত হয়েছে| নব সন্ধির কালের উপাসনা করার রীতিনীতিগুলি পরিবর্তিত হয়েছে মাত্র| প্রাক্তন সন্ধির সময়কালে ঈশ্বর যেমন নিষ্কলুষ ও স্বচ্ছ বলিদানকেই গ্রাহ্য করতেন, ঠিক তেমনভাবেই, নব সন্ধির কালেও আত্মায় ও সত্যের মাধ্যমে আমাদের উপাসনা অনুষ্ঠানেও তিনি একই ভাবেই প্রসন্ন হবেন| বলিদানের সেই অতি কঠিন ও কঠোর প্রণালীগুলি শুধুমাত্র বাহ্যিক অনুষ্ঠানের উপরেই প্রবল চাপ সৃষ্টি করত তা নয় বরং, সেই সঙ্গে গভীরভাবে তা আধ্যাত্মিক তাৎপর্যও বহন করতে সক্ষম হত|| উপাসনা করার প্রতি আমাদের মনোভাবের সঠিক মাপকাঠি হিসাবেও তা