ei raat tomar amar
()
About this ebook
A married lawer illicitly falls in love with a writer, who has a very bad childhood and she is very lonely, now her love become obsessive..
Swagatam Sengupta
Swagatam Sengupta is a fiction writer. His novels are published 200+ countries all over the world. A Kolkata based writer has given us so many thrillers like Rik, The Chastisement, The Chastisement2, Feral Funeral and many more. His every thrillers are unique and based on our daily life. He is too much related with our practical and daily life and he plays his words with our emotions and feelings.
Related categories
Reviews for ei raat tomar amar
0 ratings0 reviews
Book preview
ei raat tomar amar - Swagatam Sengupta
লেখক পরিচিতি
স্বাগতম সেনগুপ্ত সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই , উনি আমাদের অনেকরকম উপন্যাসই উপহার দিয়েছেন, ইংরেজি এবং বাংলাতে | তার বাংলা উপন্যাসগুলোর মধ্যে অধরা তৃতীয় সত্য, বিদায় উপহার, রাবন এবং আমাতে তুমি বিশেষ উল্লেখ্য | মানুষের মন এবং সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করেই ওনার সমস্ত রচনা | আশা করি এই কাহিনীটিও সবার ভালো লাগবে |
১.
আকাশ আজ সকাল থেকেই মেঘলা। সূর্য যেন লুকোচুরি খেলছে মেঘের আড়াল থেকে। গতকাল সারারাত বৃষ্টি হয়েছে, কিন্তু তবুও যেন বিষাদগ্রস্ত আকাশের দুঃখের শেষ নেই, কোনো এক অজানা অভিমানে বারবার গর্জে উঠছে, চোখ রাঙাচ্ছে। কিন্তু ব্যস্ত শহর কলকাতার তাতে কিছু এসে যায় না। রেইনকোট আর ছাতা মাথায় মানুষজন নেমে পড়েছে রাস্তায়, ঠিক যেমন আর দশটা দিন থাকে, ঠিক সেরকমভাবেই। বৃষ্টির ধারার সাথে কবিতা যে তাদের আসে না, কারণ ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবীটা তাদের গদ্যময়, তাই পূর্ণিমার চাঁদও তাদের কাছে ঝলসানো রুটির মতো। আপন ক্ষুধার নিবারণ করতে ঘরে বসে থাকলে চলবে কি করে, তাই কলকাতার রাস্তার এই হাঁটু জল ঠেঙিয়ে সবাই ছুটে চলেছে ঘড়ির কাঁটার সাথে নিজেদের পা মিলিয়ে।
কলকাতার এক সম্ভ্রান্ত অঞ্চল, ডোভার লেন। শহরের উচ্চবিত্তদের বাস এখানে,, সকালের প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে শুধু প্রতিবেশীদের সাথে দেখা হয়, তারপর সারাদিন কেউ কারো খোঁজও নেয় না। যেকোনো সম্ভ্রান্ত অঞ্চলগুলোর হয়তো এটাই বিশেষত্ব, কোনো অনুষ্ঠান বা দুর্গাপুজো ছাড়া কেউ কারো দেখা পায় না, ধনবানদের সমাজ এটা, যেখানে মনের কোনো জায়গা নেই, আর সম্পর্ক ভিত্তিহীন।
চিরাগ সকাল থেকেই নিজের ঘরের জানালা দিয়ে আকাশকে দেখছে, স্যুট বুট পড়ে বসে আছে, কিন্তু ঘর থেকে বেরোবার আগে দশবার ভাবছে। রাস্তার জল যদি খুব বেড়ে যায়, তখন গাড়িটাও সমস্যা তৈরি করবে, তারমধ্যে আবার বৈশালীকেও ট্রেনে তুলে দিতে হাওড়া যেতে হবে। চিরাগ চ্যাটার্জী , একজন কর্পোরেট উকিল,এই শহরের বুকে তার যথেষ্ট নামডাক , প্রচুর প্রতিপত্তির মালিক, যদিও তার কিছুটা পৈতৃক আর বাকিটা নিজের তৈরি করা। ডোভার লেনের মতো জায়গাতে নিজের দোতলা বাড়ি, যার দাম আজকের দিনে ছয় সাত কোটি টাকার কম না। আজ থেকে ঠিক সাত বছর আগে সিরাজের সাথে বিয়ে হয় বৈশালীর, প্রেম করেই বিয়ে। কলকাতার একটা গার্মেন্ট কোম্পানিতে যাওয়া আসা ছিল চিরাগের, বৈশালীও সেখানে ওর ফ্যাশন ডিজানিংয়ের কোর্স শেষ করে চাকরি পেয়েছিলো। ব্যস, আর কি, দুজনের প্রথম পরিচয়, তারপর প্রণয় আর সেই প্রণয়কে সম্পূর্ণ পরিণতি দিতে কেউই খুব একটা দেরি koren। বিয়ের ঠিক একবছর বাদেই পিঙ্কি চলে আসে দুজনের মাঝে , এরেজ্ঞ অতিথিও আসে, লোমে ভর্তি একটা মিষ্টি চার পেয়ে গোগো। ছোট্ট গোগো ঘুরে বেড়ায় বারোর চারপাশে, পিঙ্কির সবচাইতে কাছের বন্ধু আর বাড়ির সবার আদরের। গোগোকে নিয়ে পিঙ্কির পৃথিবী, পিঙ্কির মুখের হাসির কারণ। পঞ্চবর্ষীয়া পিঙ্কি গোগোকে নিয়ে তার মায়ের সাথে মামার বাড়ি যাবে, বাবা পৌঁছে দেবে স্টেশন পর্যন্ত গাড়ি নিয়ে, কিন্তু কি বৃষ্টি, না বাবা বেরোতে পারছে নিজে না তাদেরকে নিয়ে বেরোতে পারছে। বৈশালীও ব্যাগ গুছিয়ে সামনের সোফার ওপর একরাশ বিরক্তি মুখে নিয়ে বসে আছে, আর বারবার জানালা দিয়ে আকাশকে দেখছে। পিঙ্কি গোগোকে কোলে নিয়ে মায়ের পাশেই বসে ছিল, তারপর বাবার দিকে তাকিয়ে গোগোকে রেখে দৌড়ে এসে বাবার কোলে বসে পড়ে।চিরাগ মেয়েকে জড়িয়ে ধরে বললো আমার পিঙ্কি কতদিন থাকবে না আমার কাছে, আমি কার সাথে কথা বলবো ?
পিঙ্কি চিরাগের গলা জড়িয়ে ধরে বললো আমি রোজ রাতে তোমাকে ভিডিও কল করবো, ঠিক আছে।
চিরাগ হেসে বললো প্রমিস ?
পিঙ্কি হাত তুলে বললো ডাবল,ট্রিপল তার থেকেও বেশি প্রমিস।
চিরাগ হেসে মেয়ের কপালে একটা চুমু খেয়ে বললো কিন্তু সোনা, এই বৃষ্টি না থামলে যে তোমার আমার দুজনেরই সব প্রোগ্রাম শেষ।
বৈশালী এবার সোফা থেকে উঠে জানালার কাছে এসে একবার বাইরেটা দেখলো, তারপর বললো চিরাগ, চলো এবার বেরোনো যাক, এরপর আরো জোরে নামলে আজ আর বেরোনোই যাবে না, তোমারও তো মিটিং আছে, আমাদের ছেড়ে তোমাকেও তো যেতে হবে।
চিরাগ একবার বসে বসেই বাইরেটা দেখার চেষ্টা করলো, ঠিকই বলেছো চলো। তোমরা দরজার কাছে এসো, আমি গাড়িটাকে সামনে নিয়ে আসছি।
চিরাগ বাইরে বেরিয়ে এসে গাড়িটাকে শেডের ভেতর থেকে বের করে একেবারে দরজার কাছে এনে দাঁড় করলো, যাতে তার মেয়ে বৌ কেউ যেন বৃষ্টিতে ভিজে না যায়।
গাড়ি এগিয়ে চললো হাওড়া স্টেশনের দিকে, চারিদিকে বৃষ্টির জন্য জমে আছে জল, আর তারফলে হয়ে রয়েছে অসম্ভব জ্যাম। ডোভার লেন থেকে হাওড়া স্টেশন আসতে যে সময় লাগে, তার থেকে একটু বেশি সময় লাগলেও অবশেষে চিরাগের গাড়ি এসে পৌঁছলো হাওড়া স্টেশন। বৈশালী আর পিঙ্কি গোগোকে কোলে নিয়ে দৌড়ে গিয়ে একটা ছাউনিতে গিয়ে দাঁড়ালো, চিরাগ গাড়ির পেছন থেকে ওদের ব্যাগটা নামিয়ে নিয়ে এলো সেই ছাউনিতে। বৈশালী বললো তোমাকে আর ভেতর পর্যন্ত যেতে হবে না, আমি ঠিক চলে যাবো, তুমি যায়, তোমার আবার দেরি হয়ে যাবে।
চিরাগ বললো are you sure ?
বৈশালী হেসে বললো your wife is capable এনাফ, so not to worry।
তারপর চিরাগের গালে হাত রেখে বললো নিজের খেয়াল রাখবে প্লিজ। আমি রোজ ফোন করে খবর নেবো, আর হ্যাঁ, বৌ নেই বলে বেশি ড্রিংক করবে না কিন্তু।
চিরাগ হেসে বললো তুমি নিশ্চিন্তে যায়, আর তাড়াতাড়ি ফিরে এসো, you know , I cant stay long time without you and pinky।
বৈশালী হেসে উত্তর দিলো বাপের বাড়ি যাচ্ছি, তাও এতদিন বাদে, একেবারে না ছাড়লে লোকে কি বলবে? কথা দিচ্ছি, তাড়াতাড়ি চলে আসবো।
আচমকা স্টেশনে ট্রেনের ঘোষণা শোনা গেলো, বৈশালী আর পিঙ্কিকে ছেড়ে দিলো চিরাগ। ওরা ভেতরে চলে যেতেই চিরাগ দৌড়ে ফিরে এলো নিজের গাড়িতে, সুটের পকেট থেকে মোবাইল বের করতেই দেখলো চারটে মিসকল হয়ে আছে, রাজেশ ফোন করেছিল। রাজেশ অনেকদিনের পুরোনো বন্ধু চিরাগের, ও নিজেও একজন উকিল, তাই চিরাগ আর রাজেশ একসাথেই তাদের এই ফার্মটা চালায়। চিরাগ ঘুরিয়ে রাজেশকে কল করতেই অপরদিকে থেকে রাজেশের আওয়াজ ভেসে আসে কি রে, কোথায় থাকিস বলতো ? কখন থেকে কল করছি।
আর বলিস না, আজ বৈশালী বাপের বাড়ি গেলো, তাই হাওড়া এসেছিলাম ওদের ট্রেনে তুলে দিতে। আর সকাল থেকে যা বৃষ্টি, বেরোতেও দেরি হয়ে গেলো।
সে ভালো করেছিস, কিন্তু তোর যে আজ রয়্যাল পাবলিশার্সের সাথে মিটিং আছে, সেটা মনে আছে তো ?
আরে আমি পৌঁচ্ছচ্ছি, তুই গিয়ে একটু ম্যানেজ কর, within half an hour , আমি পৌঁছে যাবো।
রাজেশ হেসে বললো আমি এখানেই বসে আছি, রয়্যাল পাবলিশার্সের অফিসে, তুই আয় তাড়াতাড়ি।
রয়্যাল পাবলিশার্সের অফিসে পার্ক স্ট্রিট, সাধারণত হাওড়া থেকে কুড়ি মিনিটের মধ্যে পৌঁছে যাওয়া উচিত, কিন্তু আবহাওয়া আর রাস্তার কথা মাথাতে রেখেই চিরাগ দশ মিনিট হাতে নিয়ে বললো, সময় নেই সময় নষ্ট করার মতো, তাই গাড়ি ঘুরিয়ে সে এগিয়ে চললো রয়্যাল পাবলিশার্সের উদেশ্যে।
২.
পার্ক স্ট্রিটের ওপর রয়্যাল পাবলিশার্সের অফিস। অনেক পাবলিশার্স এরা, অনেক দেশি বিদেশী বই এখন থেকে পাবলিশ হয়, গোটা ভারতবর্ষ জুড়েই এদের আধিপত্য। চিরাগ আর রাজেশের বেশ কিছু বড়ো ক্লায়েন্টদের মধ্যে এরাও একজন। চিরাগ একরকম হন্তদন্ত হয়ে অফিসের ভেতর ঢুকতেই সামনের ডেস্কে বসে থাকা একজন মোটা মতো মহিলা একগাল হেসে বললো তাড়াতাড়ি ভেতরে যান, মিস্টার বানশালী অনেকক্ষন ধরে অপেক্ষা করছেন আপনার জন্য।
চিরাগ তাড়াতাড়ি করে এগিয়ে গেলো বানশালির ঘরের দিকে। ঘরের দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকতেই দেখলো বানশালী তার চেয়ারে অধিষ্ঠিত আর ঠিক তার পাশে থাকা একটা সোফার ওপর বসে আছে রাজেশ। চিরাগ ঢুকতেই বানশালী একগাল হেসে বলে উঠলো Talk of the devil , and devil is here।
চিরাগ হেসে প্রত্যুত্তরে বললো এক মাথা বৃষ্টি নিয়ে আপনার আইনি সমস্যা মেটাতে এলাম, আর আমাকেই ডেভিল বলছেন !
বানশালী হেসে বললো সব আইনের লোকজনই ডেভিল, ওই কথায় বলে না যে পুলিশ আর উকিল ঘরে ঢুকলেই শেষ।
রাজেশ এবার হেসে বললো সেটা হয়তো আপনার মতো ব্যবসাদাররাই ভালোভাবে বলতে পারবে।
বানশালী এবার বললো যাই হোক, এনার সাথে বোধহয় এখনো পরিচয় হয়নি, মিস দেবযানী সান্যাল, নাম শুনেছো হয়তো।
ঘরের আরেক কোণেতে আরেকটা সোফাতে যে আরেকজন বসে আছে সেটা চিরাগ এতক্ষন খেয়াল করেনি। চিরাগ ঘুরে তাকাতেই দেখলো একজন ফর্সা, টিকোলো নাক, মাথায় কোঁকড়ানো চুল, বয়স বত্রিশ থেকে পঁয়ত্রিশের মধ্যে , পরনে স্যুট আর প্যান্ট পড়ে একজন মহিলা বসে আছে। মহিলা যে প্রকৃত অর্থে সুন্দরী সেটা অস্বীকার করার না, তবে তার থেকেও বেশি হলো মহিলার চোখের মধ্যে একটা ভয়ঙ্কর আবেদন আছে, একটা অদ্ভুত আকর্ষণ আছে যেটাকে এড়ানো সম্ভব না। চিরাগ একটু লজ্জিত হয়েই বললো I am extremely sorry , I didnt notice you।
দেবযানী হেসে বললো no problem , যখন এসে দেখলাম যে আপনার জন্যে একটা দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হচ্ছে, তখন বুঝেই গেছিলাম যে আপনি আমাকে নোটিশ করবেন না।
চিরাগ হেসে বললো এবার কিন্তু আপনি আমাকে মাপের বেশি লজ্জিত করছেন, আসলে আপনি আমার আড়াল হয়ে গেছিলেন, তাই আমি ঠিক বুঝতে পারিনি।
দেবযানী এবার চিরাগের দিকে তাকিয়ে থেকে একটা অদ্ভুত হাসি হেসে বলে আড়ালে থাকা মানুষদের চিনে নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ানোটাই তো আপনাদের কাজ, তাই না ?
চিরাগ ঠিক বুঝতে পারে না যে কি উত্তর দেবে, শুধু তাকিয়ে থাকে দেবযানীর চোখের দিকে, যেন সম্মোহিত হয়ে পড়ছে ধীরে ধীরে সে। কিন্তু সেই মৌনতা ভঙ্গ হয় বানশালির কথাতে, দেবযানী সান্যাল একজন বিখ্যাত লেখিকা, ওনার বেশির ভাগ বইই আমরা পাবলিশ করেছি, একজন থ্রিলার লেখিকা হিসেবে ওনার যথেষ্ট নাম আছে, আমাদের হাউস থেকেই তো ওনার প্রায় ছাড়তে উপন্যাস বেস্ট সেলার হয়েছে।
চিরাগ হেসে বললো হ্যাঁ জানি, আমি ওনার যথেষ্ট নাম শুনেছি, তবে আজ প্রথমবার দেখা হলো।
দেবযানী হেসে বললো আশা করি আপনি আমার কোনো উপন্যাসই পড়েননি।
চিরাগ বললো মিথ্যা বলবো না, পড়িনি। আসলে গল্পের বই পড়ার সময় হয় না, তাই অভ্যাসটাও হয়নি।
এবার রাজেশ একটু ব্যস্ত হয়েই বললো আমরা কি এইবার স্ট্রেইট পয়েন্টে আসতে পারি ?
বানশালী বললো আসলে ওনার বর্তমান উপন্যাসটা নিয়েই এই আলোচনা। ভূপালের যে মধুচক্র কেলেঙ্কারিতে হয়েছিল, সেটা নিয়ে ওনার এই লেখা, সেটাতে প্রচুর নেতা এবং যেসব রাজনৈতিক দল এই কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত ছিল, তারা এখনো ক্ষমতাতে আছে। তাই যাতে কোনো সমস্যা ভবিষ্যতে না দাঁড়ায়, তার জন্যে একটা prior precaution নেওয়া দরকার , কারণ আমি বা উনি, আমরা কেউই কোনো ঝামেলাতে জড়াতে চাই না।
চিরাগ হেসে বললো যদি ঝামেলা পছন্দ না হয় তবে এইসব বিতর্কিত লেখা লেখার দরকার কি ?
দেবযানী হেসে বললো আপনি কি সবকিছুর পরিণতি ভেবে কাজ করেন ?
চিরাগ কিছুক্ষন তাকিয়ে রইলো দেবযানীর দিকে, ডিজনি যেন তার পাতলা ঠোঁটের কোনে রাখা হাসি আর চাউনি দিয়ে কেমন যেন একটা সম্মোহন করে চলেছে অনবরত , চিরাগ যেন লোরে চলেছে নিজের সাথে। নিজের সঙ্গে লড়াই করে দেবযানীর চোখের থেকে নিজের নজর সরিয়ে নিয়ে বানশালীকে বললো "একটা ডিসক্লেইমার দিয়ে দিলেই তো হয়, তবে আমার একবার মানুস্ক্রিপ্টটা দেখা দরকার