Krishnachura
()
About this ebook
“মায়ের শাড়ির কুচি ঠিক করে দিচ্ছিলাম, কেউ ছবি তুলে পোস্ট করেছে প্রেম কোনো বয়স মানেনা।” কিছু অনুভূতি প্রকাশ করা যায় না। এক ঘন্টা ধরে আফরা ভিজছে। ছাদের একটা কোণায় তার একটা ঘর আছে। নাম দিয়েছে বৃষ্টি বিলাস। অনেক সখের ঘর।"
"কাল কলেজের ফেয়ারওয়েল। দেখতে দেখতে কলেজ লাইফ টা শেষ হয়ে গেলো সাথে জাংকুক ও! আচ্ছা কলেজে উঠলে কী জাংকুক এভাবে ই আমার পিছনে ঘুরবে? ওকে না দেখে আমি থাকবো কী করে?"
"প্রানের এ শহর কে ঘিরে থাকা ভয়ংকর কিছু মানুষেরা ছিনিয়ে নেন মেয়েদের শৈশব, কাটা বিছিয়ে দেন তাদের সাভাবিক চলার পথে ।"
Related categories
Reviews for Krishnachura
0 ratings0 reviews
Book preview
Krishnachura - Sayeda Subha Ashrafi Shifa
কৃষ্ণচূড়া
সৈয়দা সুবহা আশরাফী শিফা
Ukiyoto Publishing
All global publishing rights are held by
Ukiyoto Publishing
Published in 2021
Content Copyright © Sayeda Subha Ashrafi Shifa
ISBN 9789354905612
All rights reserved.
No part of this publication may be reproduced, transmitted, or stored in a retrieval system, in any form by any means, electronic, mechanical, photocopying, recording or otherwise, without the prior permission of the publisher.
The moral rights of the author have been asserted.
This is a work of fiction. Names, characters, businesses, places, events, locales, and incidents are either the products of the author’s imagination or used in a fictitious manner. Any resemblance to actual persons, living or dead, or actual events is purely coincidental.
This book is sold subject to the condition that it shall not by way of trade or otherwise, be lent, resold, hired out or otherwise circulated, without the publisher’s prior consent, in any form of binding or cover other than that in which it is published.
www.ukiyoto.com
উৎসর্গে - আমার আদরের ছোঁয়াপি
আরশির বাবা
মায়ের শাড়ির কুচি ঠিক করে দিচ্ছিলাম, কেউ ছবি তুলে পোস্ট করেছে প্রেম কোনো বয়স মানেনা।
এই ধরণের ফানি পোস্ট গুলো আরশির জীবনে এরকম ভাবে সত্যি হয়ে যাবে সেটা সে ভাবতে পারেনি। বাবার বয়সের সাথে তার বয়সের পার্থক্য ২৪ বছরের। বয়সের তুলনায় এখনো অনেকটা ইয়াং দেখায় মানুষটাকে।
গতদিনের বৃষ্টির পানি জমে ছিলো রাস্তায়। বাবা হাত ধরে সেই পানি জমে থাকা রাস্তাটা পার করে দিয়েছিলেন।
আরশি ফটোটার দিকে একমনে তাকিয়ে আছে। তার পরনে নীল রঙের শাড়ি। বাবার পরনে সাদা পাঞ্জাবি। সেদিন বাবার এক বন্ধুর মেয়ের বিয়েতে যাচ্ছিলো তারা। বাবা হাত ধরে রাস্তা পার করে দিচ্ছেন, আরশি বাবার দিকে হাসি মুখে তাকিয়ে আছে। ঠিক ওই মুহূর্তের ফটো কেউ তুলেছে।
দেয়ালে বাধিয়ে রাখার মত সুন্দর হয়েছে ফটোটা। কিন্তু আরশির চোখ বেয়ে অশ্রু ঝরছে।
মিতালি ওকে শক্ত করে ধরে রেখে শান্তনা দিয়ে বলল,
কাঁদিস না প্লিজ। এখন ভাইরালের যুগ। কয়দিন পর সবাই সবকিছু ভুলে যাবে।
আরশি কাঁদতে কাঁদতে বলল,
- আমার বাবা কে ওরা আমার প্রেমিক বা স্বামী বানিয়ে দিয়েছে। ছিঃ!
ফটোটা অনেক বেশি ভাইরাল হয়েছে। ক্যাপশন গুলো ছিলো অনেকটা এরকম,
জিতে যায় সরকারি চাকরিওয়ালা চাচারা, আর হেরে যায় ভাতিজা রা।
মেয়েরা টাকা পেলে বানররেও বিয়ে করবে।
প্রেম কোনো বয়স মানে না।
কেউ কেউ প্রতিবাদ জানিয়ে লিখছে,
বিবাহিত জীবন সুখের হোক। তাদের লাইফ নিয়ে ইন্টারফেয়ার করার অধিকার কারোর নেই।
তারা সুখে থাকলে আমাদের এটা নিয়ে মাতামাতি করার কিছু নেই।
আর কমেন্ট গুলো তো আরো বেশি জঘন্য। কেউ কেউ আরশির চরিত্র নিয়ে কথা বলছে। একজন অতি বিজ্ঞ মানুষ এটা ধারণা করেছে হয়ত মেয়েটার অন্য কারোর সাথে সম্পর্ক ছিলো তাই বাবা মা জোর করে বুড়া কাকুর সাথে বিয়ে দিয়েছে।
ঠিক কোত্থেকে এটার উৎপত্তি সেটার খবর আরশি জানেনা। আরশির ইনবক্সে অনেক মেসেজ জমা হচ্ছে। ফলোয়ারের সংখ্যা এই কয়দিনে অনেক বেড়ে গেছে। একটা মেসেজ ছিলো, চাচা সুখ দিতে পারে তো? না পারলে ভাতিজারা আছে কিন্তু।
কয়েকটা মেসেজ পড়ার পর আর কোনো মেসেজ চেক করার সাহস হচ্ছে না তার।
মিতালি ওকে জড়িয়ে ধরেই বসে আছে। হাত দিয়ে চোখের পানি মুছে দিলো সে। কিন্তু নতুন করে আবার চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়লো।
সে জিজ্ঞেস করলো,
- আঙ্কেলের চোখে পড়েছে এগুলো?
- আমি জানিনা। বাবা এগুলা দেখলে আমি লজ্জায় মরেই যাবো একেবারে।
- তুই লাইভে যা। লাইভে গিয়ে বল উনি তোর বাবা হয়। একটা ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে।