Discover millions of ebooks, audiobooks, and so much more with a free trial

Only $11.99/month after trial. Cancel anytime.

রসিক ডাক্তার এর ডায়েরি
রসিক ডাক্তার এর ডায়েরি
রসিক ডাক্তার এর ডায়েরি
Ebook116 pages45 minutes

রসিক ডাক্তার এর ডায়েরি

Rating: 0 out of 5 stars

()

Read preview

About this ebook

একজন ডাক্তার এর ডায়েরি। এশিয়ার উন্নয়নশীল একটি দেশ বাংলাদেশ এর প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে কর্মরত একজন ডাক্তার এর ডায়েরি। যেখানে অশিক্ষা অসচেতনতা অপ্রতুলতা কুসংস্কার অপচিকিৎসা আর অসাধু ক্ষমতাবানদের দৌরাত্মে জনগণকে আদর্শ চিকিৎসা দিতে পদে পদে বাধার শিকার হতে হয়, সেখানে মাথা ঠাণ্ডা রেখে হাসিমুখে এবং পরিস্থিতি উপভোগ করে মানুষকে সুচিকিৎসা দেয়ার প্রয়াস ফুটে উঠেছে এই বইতে। গ্রামাঞ্চলে কঠিন বিভিন্ন পরিস্থিতির উদ্ভব ও তা মোকাবেলার উদাহরণ, উপস্থিত বুদ্ধির প্রয়োগ, রসিকতা, সীমিত সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার এর মধ্য দিয়ে মানুষ কে সেবা ও স্বাস্থ্য শিক্ষা দেয়ার মজার মজার ঘটনায় ভরপুর বইটি।

LanguageBengali
Release dateSep 25, 2021
ISBN9781005056957
রসিক ডাক্তার এর ডায়েরি
Author

সৈয়দ শওকত আলী

doctorwriter blogger & columnist

Related categories

Reviews for রসিক ডাক্তার এর ডায়েরি

Rating: 0 out of 5 stars
0 ratings

0 ratings0 reviews

What did you think?

Tap to rate

Review must be at least 10 words

    Book preview

    রসিক ডাক্তার এর ডায়েরি - সৈয়দ শওকত আলী

    মাঝে মাঝেই অমনটা ঘটে- রোগী হেলথ কমপ্লেক্সে এসে 'কম্যুনিটি মেডিক্যাল অফিসারের সহকারীর উপ'কে বলে- আপনে?

    সহকারীর উপ বলে- আমি উসক মেডিক্যাল অফিসার।

    রোগী বলে- খালি মেডিক্যাল অফিসার স্যররে ডাক দেন। উনারে দেখামু।

    সহকারীর উপ তখন বেজায় মন ভার কোরে ফোন দেয় আমাদের। মজাক চলে আসে।

    সেদিন এভাবে হঠাৎ সহকারীর উপ জগলু দুঃখ ভারাক্রান্ত কণ্ঠে ফোন দেয়- ১জন রোগী আইছে, আপনেরেই দেখাইতে হইব তার।

    গেলেম। মুখ কালা কোরে জগলু বোসে আছে। আর দুজন রিপ্রেজেন্টেটিভ তার পাশে বোসে হাত কচলাচ্ছে, কিন্তু আমায় দেখে তাদের কোনো নড়চড় হয় না।

    এতে অবশ্যি আমি কিছু মনে করি নে। ঘৃণা জোর কোরে পাওয়া যায়, শ্রদ্ধা না। শ্রদ্ধা পেতে হোলে নিজেকে প্রমাণ কত্তে হয়, অথবা কারো স্বার্থ কুক্ষিগত কোরে রাখতে হয়। আমি নিশ্চয় তাদের কাছে কোনোটাই পারি নি।

    আমি আমার রোগী দেখতে লেগে যাই। এসল্টের রোগী। কিন্তু জগলু যেন পণ কোরেছে আমায় শান্তিতে থাকতে দেবে না, আমার অস্তিত্বের কারণে এটেন্ড্যান্ট আর এমআরদের কাছে সে ছোট হোয়েছে কিনা!

    নিজেকে আবার বড় বানাতে সব্বাইকে শুনিয়ে আমার উদ্দেশ্যে সে প্রায় চিৎকার কত্তে থাকে- ইনজুরি নোট লেখেন বলে দিতেছি: ইনছাইজড ঔন্ড অফ ১০ছেমি ছাইজ...

    কান না দিয়ে ঔন্ডটা ভালোভাবে দেখি ও তাকে থামিয়ে দিয়ে বলি- এইটারে ইনসাইজড বলতে নেই জগলু সাব, এইটারে কয় লিনিয়ার এব্রেসন। আমি এইটাই লেখুম।

    থতমত খেয়ে অফ যায় জগলু। রোগী ম্যানেজ কোরে ছেড়ে দিই। মুখ কালো কোরে থমথমে হোয়ে থাকে জগলু, ঠিক যেন ঝড়ের পূর্বাভাস। বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো, সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিকভাবে হঠাৎ আমায় শুধায়- আইচ্ছা সেপট্রাল ভেজাইনা কী?

    বুঝে পাই নে ঔন্ড থেকে সে হঠাৎ ভেজাইনাতে চলে গেল কী মনে করে। মনে পড়ে যায় ১ভায়ার কাছে শুনেছিলেম যে জগলুর ফেভরিট হবি হোল ডাঃদের হেনস্তার ট্রায়াল নেয়া। এদিকে আরো রোগী দাঁড়িয়ে। কিন্তু জবাব না দিলে আমিই আজ পাংচার হোয়ে যাব।

    আমিও সবাইকে শুনিয়ে বলি- উচ্চারণটা সেপট্রাল না, সেপটেট। ১টা পর্দা দিয়া ভেজাইনা ২ভাগ করা থাকে।

    জগলুর হৃদয় ভেঙে যায়। জোড়া লাগাতে বলে- এন্ড দিছ ইজ এ টাইফ অফ মূলা...এঁ...মূলা...উঁ...মূলা...

    বেচারাকে আর সুযোগ দিতে পারি নে।

    বলি- মূলা ছোলা না, মুলারিয়ান এনোমালি।

    বেচারা বিদ্ধস্ত হোয়ে যায়।

    বলি- হঠাৎ এই প্রশ্ন?

    বলে- এঁএঁ না ঐদিন গুগলে চার্জ দিছিলাম, ঐখানে পাইলাম...

    - কী লেইখা চার্জ দিলেন? মূলা?

    বিড়বিড় কত্তে কত্তে বেরিয়ে আসি।

    (একুরিয়মের মাছ সমুদ্রের মাছকে শুধাইল- হ্যাভ উ এভার হার্ড দ্য নেম অফ প্র...প্র...প্র...

    সমুদ্রের মাছ কহিল- বা...ল!

    একু মাছ কহিল - ইয়েহ ইয়েহ, মনে পরছে, প্রবাল।)

    যেই না বারান্দায় পা রেখেছি, অমনি পিছু পিছু ঐ এমআর দুজন ছুটে এল- ছার, ছার গো, আপনের নাম? বাড়ি? চেম্বার? কার্ড? হেন? তেন?

    আমি ততক্ষণে হারিয়ে গেছি ক্ষুধার গদ্যময় রাজ্যে।

    আজ আমি নতুন ১ উপসর্গ শিখলেম, যদিও এটা আমার ডাক্তারি জীবনের বৃহত্তম ব্যর্থতা যে আমি ১জন রোগীর কমপ্লেইন বুঝতে ব্যর্থ হোয়েছি।

    ইউনিয়ন সেন্টারে রোগী এসে বলে- ডাঃ সাব আমি মুখো পানি লইলেউ ছতরবতর করে।

    - ছতরবতর মানি!?

    - মানি আমি মুখো পানি লইলে নানি, বেজান ছতরবতর করে।

    আমি খুবই লজ্জিত হলেম যে রোগীর কমপ্লেইন বুঝতে পারছি নে। তাও সিলটি হোয়ে। এবং ১জন উদীয়মান সাহিত্যরত্ন হোয়ে। তার দিকে ২মিনিট যাবত তাকিয়ে চিন্তা কত্তে থাকি মুখে পানি নেয়ার পর কী কী অঘটন ঘটতে পারে।

    শুধাই- মুখো পানি লইলে পানি পড়ি যায় নি?

    - না!

    - মাথাত উঠি যায় নি?

    - না!

    - নাকে দি বার অই যায় নি?

    - না!

    - কাশি উঠি যায় নি?

    - না? :@

    - গিলতে কষ্ট অয় নি?

    - না!

    - তাইলে কিতা অয় রে বাই? মুখোর ভিতরে ছতরবতর শব্দ অয়?

    - না রে বো ডাঃ সাব, বুঝরা না আফনে। ছতরবতর রে বা, ছতরবতর!

    আমার জ্ঞানস্বল্পতায় বড় হতাশ হয় বেচারা, এঙ্গল অফ মাউথ নেমে যায় তার, কপাল কুঁচকে থাকে।

    বলি- খালি পানি খাইলেউ অয় নি? না অইন্য সময়ও অয়?

    - কেউ ঝগড়া করলে, কি মোরে গালি দিলেও অয়।

    - হটা কও। ছতরবতরটা অয় কই?

    - বুকো!

    - মানি, জানে মারে? বুকো ধড়ফড় করে?

    - অয় অয় অয় অয়!

    - ঔ অত বৈলে লেংথো আইলায় রে বা চাচ্চু।

    - পারবা নি ডাঃসাব চিকিৎসা খরতা?

    - এ কিতা খও চাচ্চু কত ছতরবতর রে ছবর খরাইলাম তুমারটা পারতাম নায় নি?

    - আফনে কিতা নিউরোলজি নি? না নরমেল এমবিবিএস?

    - না

    Enjoying the preview?
    Page 1 of 1