এট মাই মাস্টার'স মারচি - একটি যৌন উত্তেজক ছোট গল্প

By – রাইনার লারসেন উইজ

"এখন আমি আমার কামের উত্তেজনাযখনই আমার সময় হয়ে ওঠে, যখনই আমার কামের ইচ্ছা প্রকাশ পায় এবং আমার কাছে টাকা থাকে। আমাকে চিন্তা করতে হয় না। আমার মাস্টার (প্রভু) জানে আমি কি পছন্দ করি। তিনি তা সবকিছু করেন যার জন্য আমি এতদিন ধরে তৃষ্ণার্ত ছিলাম। সে আমাকে সংশোধন করে, আমাকে বেঁধে রাখে এবং আমাকে মারে, তিনি আমাকে বাধ্য করেন। সে নিজের কাজ পছন্দ করে। আমি জানি সে করে। গত কয়েবার সেও উত্তেজনা উপভোগ করেছে যখন আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম। ক্লিনিেরক প্যাম্ফলেটে তার উল্লেখ নেই।
প্রথম প্রথম যখন আমি আসতাম তখন তার হয়নি। ওনার অতো গ্রাহকের জন্য, শক্তি থাকা উচিত নয়। আমি গর্বিত হওয়ার চেষ্টা করি না, কিন্তু আমি তা রোধ করতে পারছি না।"

এই সংক্ষিপ্ত গল্পটি সুইডিশ চলচিত্র প্রযোজক এরিকা লাস্টের সহযোগিতায় প্রকাশিত হয়। তার উদ্দেশ্য হল শক্তিশালী কাহিনী এবং এরোটিকা (কামুকতা) এর সংমিশ্রণে আবেগ, অন্তরঙ্গতা, কামবাসনা এবং প্রেমের গল্পের মাধ্যমে মানব প্রকৃতি এবং বৈচিত্র্যকে চিত্রিত করা।

• Language: Bengali
• Publisher: LUST
• Release date: Sep 19, 2019
• ISBN: 9788726267969

Book preview

purchaser.

এট মাই মাস্টার'স মারচি 

একটি কামোদ্দীপক ছোট গল্প

আমি আমার প্রভুর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি। আমি এই দিনটার জন্যে অপেক্ষায় ছিলাম। তিন দিন আগেই আমার ফোন সাক্ষাৎকারের কথাটা মনে করিয়ে দিয়েছিলো। এটা আমার শরীরের মধ্যে বিদ্যুৎ তরঙ্গের সঞ্চার করে। আমি সবসময়ে যেটা কামনা করেছি অবশেষে আমি তা পেয়েছি। এটা এখন একটা আকস্মিক ঘটনা হতে পারে না। আমি নিশ্চিত জানি যে এটা হতে পারে না। গত তিন বছর সময়টা সম্পূর্ণ আমাকে ঘিরেই অতিবাহিত হয়েছে। শুধু আমি আর যা আমি সৃষ্টি করবো বলে ভেবেছি-আর কিছু ছিলো না। আমি বাড়ি ছেড়ে দূরে চলে এসেছি। আমার অন্য আরেকজন প্রেমিক থেকেও দূরে সরে গেছি। কারোর অংশ হওয়ার চেষ্টা থেকে দূরে। এই চেষ্টা আমার জীবনের যথেষ্ট পরিমাণ সময়কে গ্রাস করেছে। এখন শুধু আমি নিজে, আর আমার দক্ষতাগুলো। এর থেকে বেশিও নয়। এরথেকেকিছুকমওনয়!

আমি শহরে এসেছিলাম আমার শিক্ষানবিশি সম্পূর্ণ করার সার্টিফিকেট আর অন্যান্য কিছু সামান্য জিনিস সঙ্গে নিয়ে। আমার কাছে একটা ছবি রয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে আমি আমার ইয়ুথ হোস্টেলের বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছি। আমার এক কাঁধে ব্যাকপ্যাক রয়েছে। নতুন এক শহরে নতুন একজন মেয়ে। তৎক্ষণাৎ এবং সেখানেই, আমি ভাগ্য পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি। আমি চার মাস একটা হোস্টেলে ছিলাম। আমার আশেপাশে কম মজুরী পাওয়া রোমানীয় শ্রমিক, উৎফুল্ল পর্যটকের দল, আর বিভিন্ন আশ্রয়ার্থীরা থাকতো। শুধুমাত্র কর্মচারী  আর মালিককেই নিয়মিত দেখা যেতো। শহরটা সম্পর্কে জানতে এবং এর প্রাণের সন্ধান পেতে আমি কয়েক দিন সময় নিই।

তারপরে, সবকিছু দ্রুত ঘটতে শুরু করে। আমি হোস্টেলের মালিকের সঙ্গে কথা বলি। আমি জিজ্ঞাসা করে জেনে নিই যে রুটি সেঁকার জন্যে তাদের একটা ওভেন ব্যবহার করতে পারি কিনা। রান্নাঘরে দুটো ওভেন ছিল। আমি অনুমতি পেলাম কিন্তু বিনিময়ে আমাকে প্রতিশ্রুতি দিতে হলো যে আমি সকাল ৭.০০টার মধ্যে শেষ করবো, তার পরেই তারা সকালের জলখাবার দিতে শুরু করবে। ব্রেকফাস্টে সাধারণত টোস্ট আর সিরিয়াল থাকতো। প্রথম কয়েক দিন, আমি ব্রেকফাস্ট টেবিলে আমার তৈরী করা রুটি রাখতাম। সকাল ৭.৩০টা নাগাদ সেগুলো সব উধাও হয়ে যেতো। রোজানা নামে মধ্য-ত্রিশের মালকিন মহিলাকে  তার কর্মীরাই কথাটা জানিয়ে দেয়। সাধারণত দুপুরের আগে পর্যন্ত তাঁর দেখা মিলতো না। কয়েকদিন পরে দেখলাম রোজানা সকাল ৬.৩০টা নাগাদ রান্নাঘরে দাঁড়িয়ে আছে। ও রুটির স্বাদ পরীক্ষা করতে চেয়েছিলো। কয়েকটা কামড় দেওয়ার পর, তাঁদের জন্যে রুটি তৈরি করে দেওয়ার বিনিময়ে রোজানা আমাকে হোস্টেলে বিনামূল্যে থাকার একটা প্রস্তাব দেয়। আমরা কথাবার্তা বলতে আরম্ভ করি। সেই সপ্তাহে রোজানা প্রতিদিন সকালের দিকে আসতো। আসলে সঠিক