Discover millions of ebooks, audiobooks, and so much more with a free trial

Only $11.99/month after trial. Cancel anytime.

একজন স্বার্থক সেনাপতি
একজন স্বার্থক সেনাপতি
একজন স্বার্থক সেনাপতি
Ebook846 pages5 hours

একজন স্বার্থক সেনাপতি

Rating: 5 out of 5 stars

5/5

()

Read preview

About this ebook

আপনি কি জানেন এই A1:D23 জীবন ধারণ করার অর্থ যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়া? এই যুদ্ধে আমাদেরকে না চাইলেও সামিল হতেই হবে। বাইবেল বলে আপনার জীবনটাই হচ্ছে আপনার যুদ্ধক্ষেত্র। আপনাকে অবশ্যই প্রচণ্ডভাবে লড়াই করে এই যুদ্ধে জয়লাভ করতে হবে। আত্মিক যুদ্ধ নিয়ে রচিত এই বইটি প্রত্যেক নেতার জন্য অবশ্যপাঠ্য।

LanguageBengali
Release dateJun 7, 2018
ISBN9781641355711
একজন স্বার্থক সেনাপতি
Author

Dag Heward-Mills

Bishop Dag Heward-Mills is a medical doctor by profession and the founder of the United Denominations Originating from the Lighthouse Group of Churches (UD-OLGC). The UD-OLGC comprises over three thousand churches pastored by seasoned ministers, groomed and trained in-house. Bishop Dag Heward-Mills oversees this charismatic group of denominations, which operates in over 90 different countries in Africa, Asia, Europe, the Caribbean, Australia, and North and South America. With a ministry spanning over thirty years, Dag Heward-Mills has authored several books with bestsellers including ‘The Art of Leadership’, ‘Loyalty and Disloyalty’, and ‘The Mega Church’. He is considered to be the largest publishing author in Africa, having had his books translated into over 52 languages with more than 40 million copies in print.

Reviews for একজন স্বার্থক সেনাপতি

Rating: 5 out of 5 stars
5/5

1 rating1 review

What did you think?

Tap to rate

Review must be at least 10 words

  • Rating: 5 out of 5 stars
    5/5
    I am Speechless. Nothing to add from me. There is many individual information.

Book preview

একজন স্বার্থক সেনাপতি - Dag Heward-Mills

বিষয়ে শিক্ষা গ্রহণ করেন

"... তিনি ধর্মশীলতায় বিচার ও যুদ্ধ করেন।"

প্রকাশিত বাক্য ১৯:১১

যুদ্ধ মানে অনেক হত্যাকাণ্ড, দুঃখ, বিষণ্ণতা এবং মৃত্যু। মানব সমাজে ঘটা সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ঘটনাবলীর একটি হলো দুঃখ। তাই যুদ্ধ খুব কমই ঈশ্বরের সাথে যুক্ত হয়। কিভাবে একটি যুদ্ধের সঙ্গে ঈশ্বর কখনও জড়িত হতে পারেন? কেমন করে ঈশ্বর চাইতে পারেন যে মানুষ ধ্বংস হোক? ঈশ্বর কি মানুষ হত্যা করতে চান? ঈশ্বর কি মানুষের অমঙ্গল ঘটাতে চান? অবশ্যই না!

ঈশ্বরের কোন ধরনের খারাপ পরিকল্পনা নেই। কোন এক শত্রুর যার ধ্বংস হওয়া প্রয়োজন, তার বাড়াবাড়ির কারণেই যুদ্ধ বাঁধে। ঈশ্বর ন্যায়নিষ্ঠভাবে যুদ্ধ করেন এবং তাঁর শত্রুদেরকে ধ্বংস করেন। খ্রীষ্টান হিসাবে, আমাদের এমন একজন শত্রু আছে যাকে পরাজিত এবং ধ্বংস করা প্রয়োজন। সুসমাচারের পরিচর্যাকারী হিসেবে, আমাদের বিপক্ষকে জয়, বিনাশ ও সম্পূর্ণ ধ্বংস করতে হবে। শাস্ত্র বলে, তিনি ধার্ম্মিকতায় বিচার এবং যুদ্ধ করেন। যুদ্ধ করতে ঈশ্বরের নিরুপিত এক উপায় আছে। ঈশ্বর চান আপনি যেন তাঁর পথে এবং তাঁর জ্ঞানের সাথে যুদ্ধে সংগ্রাম করেন।

এই বইটি হলো কিভাবে ঈশ্বর নিরুপিত, আধ্যাত্মিক এবং জ্ঞানী উপায়ে যুদ্ধ করতে হবে তার বিষয়ে। যে কেউ মনে করে যে আমরা যুদ্ধে নেই তার জ্ঞানের অভাব আছে। শয়তান চায় যেন আমাদের এই রকম ধারণাই থাকে যে আমরা শান্তিরাজের রাজত্বে শান্তির মধ্যেই বসবাস করছি। শয়তান চায় যেন আমরা ভাবি যে দুঃশ্চিন্তা করার কিছুই নেই। কিন্তু ঈশ্বরের বাক্য খুব স্পষ্ট যে আমরা যুদ্ধ করছি। ঈশ্বরের বাক্য খুব স্পষ্ট যে আমাদেরকে একটি ভাল যুদ্ধে লিপ্ত থাকতে হবে এবং সে যুদ্ধ উত্তমভাবেই করতে হবে!

যুদ্ধের বিষয়ে জানার দশটি কারণ

১. যীশু খ্রীষ্ট স্বর্গের বাহিনীকে নেতৃত্ব দেন এবং ন্যায়পরায়ণতার যুদ্ধ করেন

অনেক লোক পরিচর্যায় কিছু করে না কারণ তারা যুদ্ধ করতে চায় না। আপনি যদি যীশুকে অনুসরণ করতে চান, তাহলে আপনাকে তাঁর সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে হবে এবং আপনাকে যুদ্ধ করতে হবে।

পরে আমি দেখিলাম, স্বর্গ খুলিয়া গেল, আর দেখ, শ্বেতবর্ণ একটি অশ্ব; যিনি তাহার উপরে বসিয়া আছেন, তিনি বিশ্বাস্য ও সত্যময় নামে আখ্যাত, এবং তিনি ধর্মশীলতায় বিচার ও যুদ্ধ করেন

তাঁহার চক্ষু অগ্নিশিখা, এবং তাঁহার মস্তকে অনেক কিরীট; এবং তাঁহার একটি লিখিত নাম আছে, যাহা তিনি ব্যতীত অন্য কেহ জানে না

আর তিনি রক্তে ডুবান বস্ত্র পরিহিত; এবং ‘‘ঈশ্বরের বাক্য" - এই নামে আখ্যাত

আর স্বর্গস্থ সৈন্যগণ তাঁহার অনুগমন করে, তাহারা শুক্লবর্ণ অশ্বে আরোহী, এবং শ্বেত শুচি মসীনা-বস্ত্র পরিহিত

আর তাঁহার মুখ হইতে এক তীক্ষ্ণ তরবারি নির্গত হয়, যেন তদ্দ্বারা তিনি জাতিগণকে আঘাত করেন; আর তিনি লৌহদণ্ড দ্বারা তাহাদিগকে শাসন করিবেন; এবং তিনি সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের প্রচণ্ড ক্রোধরূপ মদিরাকুণ্ড দলন করেন

প্রকাশিত বাক্য ১৯: ১১-১৫

২. যীশু খ্রীষ্ট একজন মেষশাবক, যিনি যুদ্ধ করেন

মেষশাবক দশ রাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন এবং তাদের পরাজিত করেছিল, এরা সেই রাজাগণ যারা তাঁর বিরুদ্ধে নিজেরা একত্রিত হয়েছিল। যীশু খ্রীষ্ট একজন মেষশাবক, যিনি যুদ্ধ করেন। আপনি কি যীশুর মতো হতে চান না? যদি আপনি যীশুর মতো হতে চান তবে আপনাকে অবশ্যই একটি যুদ্ধ করতে শিখতে হবে!

আর তুমি যে দশটি শৃঙ্গ দেখিলে, সে দশ জন রাজা; তাহারা এই পর্যন্ত রাজ্য প্রাপ্ত হয় নাই, কিন্তু এক ঘণ্টার নিমিত্তে সেই পশুর সহিত রাজাদের ন্যায় কর্তৃত্ব পাইবে

তাহারা একমনা, এবং আপনাদের পরাক্রম ও কর্তৃত্ব সেই পশুকে দেয়

তাহারা মেষশাবকের সহিত যুদ্ধ করিবে, আর মেষশাবক তাহাদিগকে জয় করিবেন, কারণ ‘‘তিনি প্রভুদের প্রভু ও রাজাদের রাজা;" এবং যাহারা তাঁহার সহবর্তী, আহূত ও মনোনীত ও বিশ্বস্ত, তাঁহারাও জয় করিবেন

প্রকাশিত বাক্য ১৭: ১২-১৪

৩. ঈশ্বর আমাদের হাতকে যুদ্ধ করতে শিক্ষা দেন

কেমন করে যুদ্ধ করবেন, ঈশ্বর তা আপনাকে শিখাতে চান। আপনি যদি বিশ্বাস করেন, তাহলে আপনি অলৌকীকভাবে শক্তি লাভ কবেন এবং পরিচালনা লাভ করবেন।

তিনি আমার হস্তকে যুদ্ধ করিতে শিক্ষা দেন, তাই আমার বাহু তাম্রময় ধনুকে চাড়া দেয়

গীতসংহিতা ১৮:৩৪

৪. আমাদেরকে একটি উত্তম যুদ্ধ করার জন্য শিক্ষা দেওয়া হয়

বাইবেল মধ্যে একটি স্পষ্ট বলা আছে যে আপনাকে যুদ্ধ করতে হবে। ঈশ্বর আপনাকে যুদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন! একটি উত্তম যুদ্ধ উত্তম কারণ আপনি জয় লাভ করবেন। একটি উত্তম যুদ্ধ একটি উত্তম লক্ষ্যের জন্য করা হয়।

বিশ্বাসের উত্তম যুদ্ধে প্রাণপণ কর; অনন্ত জীবন ধরিয়া রাখ; তাহারই নিমিত্ত তুমি আহূত হইয়াছ, এবং অনেক সাক্ষীর সাক্ষাতে সেই উত্তম প্রতিজ্ঞা স্বীকার করিয়াছ

১ তীমথিয় ৬:১২

৫. আমাদেরকে একটি উত্তম যুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য শিক্ষা দেওয়া হয়

আমাদের আসলেই উত্তমরূপে যুদ্ধ করার জন্য শিক্ষা দেওয়া হয়। এটি সুসমাচারের প্রত্যেক পরিচর্যাকারীর জন্য একটি নির্দেশ। মণ্ডলীর ইতিহাসে তীমথিয় প্রথম পালকদের মধ্যে একজন ছিলেন। এবং তাঁকে উত্তম যোদ্ধা হতে শিক্ষা দেওয়া হয়েছিল।

বৎস তীমথিয়, তোমার বিষয়ে পূর্বকার সকল ভাববাণী অনুসারে আমি তোমার নিকটে এই আদেশ সমর্পণ করিলাম, যেন তুমি সেই সকলের গুণে উত্তম যুদ্ধ করিতে পার

১ তীমথিয় ১:১৮

৬. প্রভু যীশুর পরিচর্যার কাজকে যুদ্ধের মত করে বর্ণনা করা হয়েছে

প্রেরতি পৌল তাঁর পরিচর্যাকে যুদ্ধরূপে বিবেচনা করেছেন এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন রেখেছেন – কে কখন আপনি ধন ব্যয় করিয়া যুদ্ধে যায়?

কে কখন আপনি ধন ব্যয় করিয়া যুদ্ধে যায়? কে দ্রাক্ষাক্ষেত্র প্রস্তুত করে, আর তাহার ফল না খায়? অথবা কে পাল চরায়, আর পালের দুগ্ধ না খায়?

১ করিন্থীয় ৯:

৭. পৌল তাঁর জীবন এবং পরিচর্যাকে একটি যুদ্ধ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

পৌল ক্রমাগত যুদ্ধ করেছেন। আপনি যদি পরিচর্যায় থাকেন, তাহলে আপনি যুদ্ধ করছেন! আপনি যদি ঈশ্বরের জন্য কাজ করেন, আপনি একজন যোদ্ধা! আপনি এটা পছন্দ করেন বা না করেন, আপনি আপনার জীবনের জন্য একটি যুদ্ধ করছেন। আমি সবসময় অনুভব করেছি যে আমি আমার জীবনের জন্য যুদ্ধ করছি।

অতএব আমি এইরূপে দৌড়াইতেছি যে বিনালক্ষ্যে নয়; এইরূপে মুষ্টিযুদ্ধ করিতেছি যে শূন্যে আঘাত করিতেছি না

১ করিন্থীয় ৯:২৬

আমি উত্তম যুদ্ধে প্রাণপণ করিয়াছি, নিরূপিত পথের শেষ পর্যন্ত দৌড়াইয়াছি, বিশ্বাস রক্ষা করিয়াছি:

২ তীমথিয় ৪:

৮. আমাদেরকে শিক্ষা দেওয়া হয়েছে যুদ্ধসজ্জা পার জন্য

পৌল, ঈশ্বরের একজন পরিচর্যাকারী ছিলেন, উত্তম যুদ্ধের জন্য তাঁকে যুদ্ধসজ্জা পরতে হয়েছিল। যদি পৌলের যুদ্ধের জন্য অস্ত্রের প্রয়োজন হয়, তাহলে আপনাকেও নিতে হবে।

আমরা মাংসে চলিতেছি বটে, কিন্তু মাংসের বশে যুদ্ধযাত্রা করিতেছি না; কারণ আমাদের যুদ্ধের অস্ত্রশস্ত্র মাংসিক নহে, কিন্তু দুর্গসমূহ ভাঙ্গিয়া ফেলিবার জন্য ঈশ্বরের সাক্ষাতে পরাক্রমী

২ করিন্থীয় ১০: -৪

৯. আমাদেরকে শিক্ষা দেয়া হয়েছে শক্তিশালী হতে এবং নিজেদের যুদ্ধাস্ত্র হাতে নেয়ার জন্য

আমরা যদি যুদ্ধ না করি তাহলে কেন আমাদের সশস্ত্র হতে হবে? আমাদের আধিপত্য, ক্ষমতা, বিশ্বের অন্ধকারের শাসকদের সঙ্গে যুদ্ধ হয়। আপনার কোমর বাঁধুন এবং একটি ভাল, দীর্ঘ এবং কঠিন যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হোন!

শেষ কথা এই, তোমরা প্রভুতে ও তাঁহার শক্তির পরাক্রমে বলবান হওঈশ্বরের সমগ্র যুদ্ধসজ্জা পরিধান কর, যেন দিয়াবলের নানাবিধ চাতুরীর সম্মুখে দাঁড়াইতে পার

কেননা রক্তমাংসের সহিত নয়, কিন্তু আধিপত্য সকলের সহিত, কর্তৃত্ব সকলের সহিত, এই অন্ধকারের জগৎপতিদের সহিত, স্বর্গীয় স্থানে দুষ্টতার আত্মাগণের সহিত আমাদের মল্লযুদ্ধ হইতেছে

ইফিষীয় ৬: ১০-১২

১০. সেই নাগের সঙ্গে একটি যুদ্ধ চলছে এবং আমরা এর একটি অংশ হিসেবে রয়েছি

যারা ঈশ্বরের আদেশ পালন করে ঐ নাগ তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। আপনি কি ঈশ্বরের আদেশ পালন করেন? যদি আপনি করেন, তাহলে একটি নাগ আপনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে এবং করবে।

আর সেই স্ত্রীলোকটির প্রতি নাগ ক্রোধান্বিত হইল, আর তাহার বংশের সেই অবশিষ্ট লোকদের সহিত, যাহারা ঈশ্বরের আজ্ঞা পালন ও যীশুর সাক্ষ্য ধারণ করে, তাহাদের সহিত যুদ্ধ করিতে গেল

প্রকাশিত বাক্য ১২:১৭

অধ্যায় ২

একজন স্বার্থক সেনাপতি

নিরর্থক যুদ্ধ এড়িয়ে যান

বিশ্বাসের উত্তম যুদ্ধে প্রাণপণ কর

১ তীমথিয় ৬:১২

একজন স্বার্থক সেনাপতি একজন প্রশিক্ষিত যোদ্ধা কিন্তু তিনি একটি অনর্থক যুদ্ধ করবে না। বাইবেল আমাদেরকে ভাল যুদ্ধে লড়াই করার জন্য শিক্ষা দেয়। বিশ্বাসের ভাল লড়াই করা একটি ভাল বিষয়। যুদ্ধ করা মানে হচ্ছে কোনকিছুর জন্য সংগ্রাম করা। যাইহোক, অনেক নিরর্থক যুদ্ধ রয়েছে যার সাথে একজন ব্যক্তি যুক্ত হতে পারে। আপনি কি একটি নিরর্থক যুদ্ধ করছেন বা আপনি একটি ভাল যুদ্ধ করছেন?

সেনাপতি পলাস এবং মূঢ় যুদ্ধ

১৯৪২ সালে জার্মানির নেতা অ্যাডল্ফ হিটলার দ্বিতীয়বার সোভিয়েত ইউনিয়ন আক্রমণ করেন এবং স্টালিনগ্রান্ড নামে একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর দখল করার চেষ্টা করেন। অ্যাডল্ফ হিটলার এবং স্ট্যালিন (রাশিয়ার নেতা) উভয়ই শক্তিশালী কমান্ডার ছিলেন এবং মনে হয়েছিল তারা স্টালিনগ্রাদে তাদের যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটবে। জার্মান বাহিনী সেনাপতি পলাসের কমান্ডের অধীনে ছিল।

স্টালিন তার সৈন্যদের প্রতি একটি আদেশ জারি করেছিল, যা ছিল: এক পাও পিছনে হটা যাবে না! সবাই তার মৃত্যু পর্যন্ত যুদ্ধ করবে। এই কমান্ডটি নির্দেশিত ছিল সেই কমান্ডারদেরপ্রতি যারা তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই প্রত্যাহারের অনুমতি দেয়, তারা সামরিক আদতালতের বিচারের অধীনে পড়বে। শাস্তিমূলক ব্যাটালিয়ন হচ্ছে জোরপূর্বক দোষী সাব্যস্ত সৈন্যদের জন্য বলা আদেশ। এর মানে হল যে তাদেরকে সামনের লাইনের সবচেয়ে বিপজ্জনক অংশে পাঠানো হয়েছিল। আদেশটির আরো অর্থ হলো এই যে, যদি রাশিয়ান সৈন্যরা ভয়ে পিছন দিকে পালিয়ে আসতে চায় তাহলে তাদেরকে গুলো করে মারা হবে। আদেশের প্রথম দু'মাসে, ১০০০ এরও বেশি সৈন্যদেরকে অবরোধ করে গুলো করে এবং ১৩০,০০০ সৈন্যদেরকে শাস্তিমূলক ব্যাটালিয়নে পাঠানো হয়।

কিন্তু হিটলার তার সৈন্যদলকে যেকোনো পরিস্থিতিতে পিছু হটতে নিষেধ করেছিলেন। এই কারণে, শহরটি একটি ভূতুরে শহরে রূপান্তরিত না হওয়া পর্যন্ত রাস্তায় রাস্তায় এবং মহল্লায় মহল্লায় ভয়াবহ যুদ্ধ সংঘটিত হয়। জার্মানরা একবারে ১,০০০ টি জঙ্গী বিমান নিয়ে বার বার আক্রমণ করে। দুই পক্ষের সৈন্যরা বোমা বিস্ফোরণে আচ্ছাদিত হয়ে পড়ে এবং রাশিয়ান ও জার্মান স্নাইপাররা ধ্বংসাবশেষে শত্রু সৈন্যদের খুঁজে বের করার জন্য লুকিয়ে থাকে।

২৪ জানুয়ারি সেনাপতি পলাস আত্মসমর্পণ করার অনুরোধ জানান। তিনি অ্যাডল্ফ হিটলারকে একটি বার্তা পাঠিয়েছিলেন, সৈন্যবাহিনীর গোলাবারুদ ও খাবার শেষ কার্যকরী যুদ্ধ চালিয়ে যেতে বলা আর সম্ভব নয়। ১৮,০০০ আহত সৈন্য কোন সরবরাহ বা পোষাক বা ওষুধ ছাড়াই রয়েছে। আত্মরক্ষার আর চেষ্টার মানে নেই। বিপর্যয় অবশ্যম্ভাবি। যেসব সৈন্যরা বেঁচে আছে তাদের প্রাণ রক্ষা করার জন্য আত্মসমর্পণ করার জন্য অবিলম্বে অনুমতি চাইছি।"

জার্মানিদের কাছে আত্মসমর্পণের বিষয়ে হিটলার অনুমতি দিতে অস্বীকার করল এই বলে যে শেষ সৈনিক বেঁচে থাকা পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে। সেনাপতি পলাসের আত্মসমর্পণকে অস্বীকৃতি জানিয়ে অ্যাডল্ফ হিটলারের এই যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার আদেশ করা ছিল মূলত একটি অনর্থক লড়াইয়ের নির্দেশ দেওয়া।

কিন্তু সেনাপতি পলাস ঐ দুটোর কোনটিই করতে চান নি। হিটলার তাকে ফিল্ড মার্শাল হিসেবে পদোন্নতি করা সত্ত্বেও তিনি অযৌক্তিকভাবে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে অস্বীকার করেন। ৩১ শে জানুয়ারী ১৯৪৩ তারিখে, সেনাপতি পলাস হিটলারের নিরর্থক যুদ্ধ চালিয়ে যাবার নির্দেশের বিরুদ্ধাচরণ করে আত্মসমর্পণ করেন। তাকে বোকা বোকা বানানোর জন্য। একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত দোকানের নিচে থাকা একটি মদ্যভান্ডারে অবস্থিত জার্মান সদর দপ্তরের অভিমুখে এগিয়ে আসা রশি বাহিনীর কাছে ফিল্ড মার্শাল পলাস এবং তার জীবিত অফিসাররা সেখান থেকে বের হয়ে এসে শান্তভাবে আত্মসমর্পণ করল। তারা শেষ সৈন্যটি বেঁচে থাকা পর্যন্ত একটি নিরর্থক যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার হিটলারের আদেশ সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করল।

সেনাপতি পলাসের কোন নিরর্থক যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে অস্বীকৃতি জানানোতে এইভাবে স্টালিনগ্রান্ডের যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটেছিল। স্টালিনগ্রান্ডের পরাজয়ের পর, সেনাপতি পলাস হিটলারের বিরুদ্ধে অভিশংসিত হন। তিনি রাশিয়ানদের সাথে সহযোগিতা করেন, জার্মানিদের মুক্ত করার জন্য একটি জাতীয় কমিটি গঠন করেন এবং মস্কো থেকে রেডিও সম্প্রচারের মাধ্যমে জার্মান সেনাবাহিনীকে হিটলারকে জন্য যুদ্ধ করা বন্ধ করার আহ্বান জানান।

আমার নিরর্থক যুদ্ধ

কয়েক বছর আগে যখন আমি স্কুলে ছিলাম তখন আমার স্কুলে ভয়াবহ সহিংসতার সাথে লড়াই হয়েছিল। যুদ্ধের পরে দুটি বিষয় ঘটেছে। প্রথমত আমি ভাবলাম আমি যুদ্ধ জয় করেছি বা আমার প্রতিদ্বন্দ্বীর সাথে মিলে গেছি। কিন্তু সবাই আমার সম্পর্কে হাসি ঠাট্টা করেছিল এবং বলেছিল যে আমি পিটানি খেয়েছি।

দ্বিতীয়ত, আমার সব প্রচেষ্টার জন্য আমি একটি কালো চোখ পেয়েছি। আমার চোখের চারপাশের পুরো অঞ্চল কালো হয়ে ওঠে এবং প্রায় এক সপ্তাহের জন্য এইভাবে রইল। এই যুদ্ধের পর আমি এই উপসংহারে এসে পৌঁছালাম যে বোকা মানুষদের এবং একটি অযাচিত শ্রোতাদের সাথে এইরকম বেহুদা যুদ্ধে লড়াই করার কোন অর্থ নেই, যারা আমার বক্সিং এবং যুদ্ধ দক্ষতার প্রশংসা করেনি!

তারপর থেকে, আমি শুধুমাত্র ভাল এবং অর্থপূর্ণ যুদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমি শুধুমাত্র ভাল কারণের জন্য লড়াই করবো এবং আমি কেবল এমন বিষয়সগুলোর জন্য লড়াই করব যার একটি ভাল ফলাফল থাকবে। এ কারণে আজ আমি রাজনীতির লড়াইয়ে বা এমনকি অর্থের জন্য যুদ্ধে অংশ নেব না। আমি অনেক বছর আগে স্কুলে বোকাদের কাছ থেকে শিখেছি। আজ, আমি যুদ্ধ করার জন্য অনেক ভাল কারণ আবিষ্কার করেছি। ঈশ্বরের বাক্য আমাকে অনেক ভালো বিষয় দেখিয়েছে যা যুদ্ধ করার উপযুক্ত। এই বিষয়গুলোস সংগ্রামের জন্য এবং প্রচেষ্টার জন্য যথোপযুক্ত। আপনি কিছু ভাল বিষয়ের জন্য বা নিরর্থক কিছুর জন্য যুদ্ধ করতে পারেন। অনেক মানুষ নিরর্থক যুদ্ধের মধ্যে নিযুক্ত রয়েছে।

অধ্যায় ৩

একজন স্বার্থক সেনাপতি

অর্থপূর্ণ যুদ্ধ করেন

বিশ্বাসের উত্তম যুদ্ধে প্রাণপণ কর

১ তীমথিয় ৬:১২

ভাল যুদ্ধ চিহ্নিত করা গুরুত্বপূর্ণ যাতে আপনি তাদের থেকে পশ্চাদপসরণ না হন যখন আপনার জন্য যুদ্ধ করার সময় আসে। নীচে যুদ্ধগুলোর একটি তালিকা রয়েছে যার সাথে আপনি যুক্ত হওয়ার জন্য প্রস্তুত হবেন। আপনি নিজেকে খ্রীষ্টান হবার জন্য প্রস্তুত করুন। আরো যুদ্ধ করতে নিজেকে প্রস্তুত করুন, কারণ আপনি সুসমাচারের একজন পরিচর্যাকারী।

আঠারটি স্বার্থক যুদ্ধ

১. একজন শক্তিশালী খ্রীষ্টান হতে লড়াই করুন

বেশিরভাগ খ্রীষ্টান প্রভুতে দৃঢ় নয়। একজন দৃঢ় বিশ্বাসী হয়ে উঠতে মহান প্রচেষ্টা লাগে।

শেষ কথা এই, তোমরা প্রভুতে ও তাঁহার শক্তির পরাক্রমে বলবান হও

ইফিষীয় ৬:১০

২. পবিত্র আত্মা দ্বারা পরিচালিত হতে এবং ঈশ্বরের ইচ্ছার মধ্যে চলার জন্য যুদ্ধ করতে হবে

আমাদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করে এমন বিভিন্ন রবগুলোর মধ্যে পার্থক্য করা একটি সংগ্রাম। এটি মনের কণ্ঠস্বর থেকে মাংস এবং আত্মার কণ্ঠস্বর পৃথক করার বিষয়টি একটি যুদ্ধ। বাস করার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থান হলো ঈশ্বরের ইচ্ছায় বাস করা। অনেক কণ্ঠস্বর আপনার মনোযোগের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। অনেক ভূত আপনাকে অন্য পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা কবে। ঈশ্বরের ইচ্ছা মধ্যে থাকতে পারা একটি বাস্তব যুদ্ধ। কখনও কখনও, আপনার সঙ্গী বা আপনার মাংসের কণ্ঠস্বর এত শক্তিশালী হতে পারে যে আপনাকে এটিকে তিরস্কার করতে হবে। আপনি আপনার নিকটতম বন্ধুর সঙ্গে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত হন যাতে আপনি ঈশ্বরের ইচ্ছার মধ্যে থাকতে পারেন?

হয় ত জগতে এত প্রকার রব আছে, আর রববিহীন কিছুই নাই

১ করিন্থীয় ১৪:১০

৩. আধ্যাত্মিক হওয়া এবং শারীরিক না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ করুনএটি একজন আধ্যাত্মিক ব্যক্ত হওয়া জন্য একটি যুদ্ধ

আপনার মাংসের প্রবণতা অনুসরণ করা আরও স্বাভাবিক। এই বিষয়গুলো থেকে বিরত হওয়া তুলনায় খাওয়া, ঘুমানো, বিশ্রাম নেওয়া এবং যৌন সম্পর্ক করা আরো বেশি স্বাভাবিক। আপনার জীবনের সর্বত্র আপনাকে একজন আধ্যাত্মিক ব্যক্তি হতে যুদ্ধ করতে হবে। প্রার্থনামূলক হতে পারাও একটি বড় যুদ্ধ। ভোরের দিকে উঠা এবং ঈশ্বরের জন্য অপেক্ষা করা স্বাভাবিক বিষয় নয়। ঈশ্বরের করুণা ও ঈশ্বরের শক্তির সাহায্যে আধ্যাত্মিকতার রাজত্বে প্রবেশ করা যায়।

কারণ মাংসের ভাব মৃত্যু, কিন্তু আত্মার ভাব জীবন ও শান্তি

রোমীয় ৮:

৪. আত্মার ফলের জন্য যুদ্ধ করুনপ্রেমের পথে চলতে যুদ্ধ করুন

ভালবাসা, আনন্দ এবং শান্তির ফল বহন করা একটি সংগ্রাম। রাগ করা, তিক্ত হওয়া এবং অসন্তুষ্ট হওয়া আরও স্বাভাবিক। প্রেম, আনন্দের এবং শান্তির ফল বহন করতে আপনার নিজের প্রকৃতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।

কিন্তু আত্মার ফল প্রেম, আনন্দ, শান্তি, দীর্ঘসহিষ্ণুতা, মাধুর্য, মঙ্গলভাব, বিশ্বস্ততা, মৃদুতা, ইন্দ্রিয়দমন; এই প্রকার গুণের বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নাই

গালাতীয় ৫: ২২-২৩

৫. পরিচর্যায় প্রবেশের জন্য যুদ্ধ করুন

সর্বোত্তম যুদ্ধের মধ্যে একটি হলো পরিচর্যায় প্রবেশ করার জন্য যুদ্ধ। এটি আপনার সর্বোত্তম যুদ্ধগুলোর মধ্যে একটি হবে। পালকীয় কাজের জন্য একটি ভাল ধর্মনিরপেক্ষ পেশা ছেড়ে দেয়া খুব অস্বভাবিক বিষয়। আপনি যদি ঈশ্বরকে অনুসরণ করতে প্রস্তুত হন এবং যদি আপনি একটি ভাল যুদ্ধ করতে চান, তাহলে প্রভু যীশু খ্রীষ্টের পরিচর্যায় প্রবেশের জন্য যুদ্ধ করার চেষ্টা করুন।

আর একজনকে তিনি বলিলেন, আমার পশ্চাৎ আইসকিন্তু সে কহিল, প্রভু, অগ্রে আমার পিতার কবর দিয়া আসিতে অনুমতি করুনতিনি তাহাকে বলিলেন, মৃতেরাই আপন আপন মৃতদের কবর দিউক; কিন্তু তুমি গিয়া ঈশ্বরের রাজ্য ঘোষণা কর

লূক ৯: ৫৯-৬০

৬. আপনার আহ্বানে স্থির থাকার জন্য যুদ্ধ করুন

একবার যদি আপনি পরিচর্যায় প্রবেশ করেন, তাহলে পরিচর্যায় সঠিক পথে টিকে থাকতে পারাটা একটি সংগ্রাম। কিছু তরুণ মিশনারিকে চাকরি নিতে হয় এবং তাদেরকে লে পালক হয়ে যেতে হয় যাতে তারা মিশন ক্ষেত্রে নিজেদেরকে সমর্থন করতে পারে। অল্প সময়ের মধ্যে, তাদের হৃদয় বাস্তব পরিচর্যা থেকে ধর্মনিরপেক্ষ ব্যবসার প্রতি স্থানান্তরিত হয়। আপনি যখন পরিচর্যায় রয়েছেন, তখন আপনার প্রকৃত আহ্বান থেকে ফসকে যাওয়া এবং সরে যাওয়া সহজ। ঈশ্বর যখন আপনার পরিচর্যাকে আশীর্বাদ করেন এবং আপনার একটি বৃহৎ মন্ডলী হয়, তখন অর্থহীন একজন প্রচারক হয়ে ওঠা সহজ হয়। যখন আপনার একটি বড় মন্ডলী আছে, তখন আপনি প্রচার করার জন্য খুব মৌলিক বিষয়কে ঈশ্বরের বাক্যের মৌলিক সত্য হিসেবে বিবেচনা করতে পারেন। একজন প্রেরণাদায়ী বক্তা হওয়া থেকে এড়াতে আপনাকে একাটি ভাল যুদ্ধ ভালভাবে করতে হবে।

কেননা দীমা এই বর্তমান যুগ ভালবাসাতে আমাকে ত্যাগ করিয়াছে, এবং থিষলনীকীতে গিয়াছে; ক্রীষ্কেন্ত গালাতিয়াতে, তীত দাল্মাতিয়াতে গিয়াছেন;

২ তীমথিয় ৪:১০

৭. ঈশ্বরের মহান মানুষের সঙ্গে সহযোগী হিসেবে কাজ করার জন্য যুদ্ধ করুন

ঈশ্বরের পুরুষদের কাছাকাছি যাওয়া সহজ নয়ভ আমি বেশ কয়েকজন লোকের কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করেছি কিন্তু আমি সবসময় সফল হই নি। অভিষিক্ত ব্যক্তিদের নিকটবর্তী হওয়ার জন্য লড়াই করা, সম্পর্কযুক্ত হওয়া, প্রবাহিত হওয়া এবং বিনয়ী হয়ে যুদ্ধ করেও কয়েক বছর সময় লাগে। অধিকাংশ লোক এই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত নয়। অধিকাংশ মানুষ ঈশ্বরের পুরুষদের সাথে সংযুক্ত হওয়ার চেষ্টায় ব্যর্থ হয় যখন তারা উপলব্ধি করে যে তাদের নিকট ঘনিষ্ঠ হতে এবং ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য যুদ্ধ করতে হয়। সহযোগী হওয়া সহজ নয়। ইলীশায় এলিয়ের কাছাকাছি থাকার জন্য লড়াই করতে চেয়েছিলেন। এটি এমন একটি যুদ্ধ ছিল যেখানে তিনি জয়ী হয়েছিলেন। আপনি অভিষেকের জন্য যুদ্ধ করতে প্রস্তুত হতে হবে?

পরে যখন সদাপ্রভু এলিয়কে ঘূর্ণবায়ুতে স্বর্গে তুলিয়া লইতে উদ্যত হইলেন, তখন এলিয় ও ইলীশায় গিল্গল হইতে যাত্রা করিলেন

২ রাজাবলি ২:

আর এলিয় ইলীশায়কে কহিলেন, বিনয় করি, তুমি এই স্থানে থাক, কেননা সদাপ্রভু আমাকে বৈথেল পর্যন্ত পাঠাইলেনইলীশায় কহিলেন, জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্য, এবং আপনার জীবিত প্রাণের দিব্য, আমি আপনাকে ছাড়িব নাপরে তাঁহারা বৈথেলে নামিয়া গেলেন

২ রাজাবলি ২:

পরে এলিয় তাঁহাকে কহিলেন, হে ইলীশায়, বিনয় করি, তুমি এই স্থানে থাক; কেননা সদাপ্রভু আমাকে যিরীহোতে পাঠাইলেনতিনি কহিলেন, জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্য, এবং আপনার জীবিত প্রাণের দিব্য, আমি আপনাকে ছাড়িব নাপরে তাঁহারা যিরীহোতে আসিলেন

২ রাজাবলি ২:

পরে এলিয় তাঁহাকে কহিলেন, বিনয় করি, তুমি এই স্থানে থাক, কেননা সদাপ্রভু আমাকে যর্দনে পাঠাইলেনতিনি কহিলেন, জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্য, এবং আপনার জীবিত প্রাণের দিব্য, আমি আপনাকে ছাড়িব নাপরে তাঁহারা দুই জন চলিলেন

২ রাজাবলি ২:

৮. অভিষেক অর্জন করার জন্য যুদ্ধ করুন

অভিষেক অর্জন করার জন্য এটি একটি যুদ্ধ। এইজন্যই এলিয় ইলীশায়কে বললেন, তুমি একটা কঠিন বিষয় চেয়েছ। অভিষেক অর্জন করা এবং অভিষিক্ত হওয়া সত্যিই কঠিন বিষয়। যদি আপনি একটি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত না হন, আপনি অভিষিক্ত হতে পারবেন না। যারা অভিষেক অর্জন করার জন্য যুদ্ধ করতে প্রস্তুত, তারা অভিষিক্ত হয়!

পার হইলে পর এলিয় ইলিশায়কে কহিলেন, তোমার নিমিত্ত আমি কি করিব? তাহা তোমার নিকট হইতে আমার নীত হইবার পূর্বে যাচ্ঞা করইলিশায় কহিলেন, বিনয় করি, আপনার আত্মার দুই অংশ আমাতে বর্তুক

তিনি কহিলেন, কঠিন বর যাচ্ঞা করিলে; যদি তোমার নিকট হইতে নীত হইবার সময়ে আমাকে দেখিতে পাও, তবে তোমার প্রতি তাহা বর্তিবে; কিন্তু না দেখিলে বর্তিবে না

২ রাজাবলি ২: -১০

৯. আপনার জীবনের জন্য একজন ভাল অংশীদারকে খুঁজে পেতে যুদ্ধ করুন

একজন ভাল স্ত্রী খুঁজে পাওয়া একটি যুদ্ধ। বোয়াসের মনোযোগ পাওয়ার জন্য রূতের লড়াই কঠিন ছিল। এটি বিবাহিত থাকার লড়াইও। অধিকাংশ প্রাণীর একজন অংশীদার নেই। আমাদের পশু প্রবৃত্তি আমাদের একাধিক অংশীদারদের দিকে ধাবিত করে। আপনাকে একজন ব্যক্তি হিসেবে একাধিক অংশীদার গ্রহণ করা থেকে নিজেকে প্রতিরোধ করতে যুদ্ধ করতে হবে।

পরে সে ঐ খামারে নামিয়া গিয়া তাহার শাশুড়ী যাহা যাহা আজ্ঞা করিয়াছিল, সমস্তই করিলফলতঃ বোয়স ভোজন পান করিলেন, ও তাঁহার অন্তঃকরণ প্রফুল্ল হইলে তিনি শস্যরাশির প্রান্তে শয়ন করিতে গেলেন; আর রূৎ ধীরে ধীরে আসিয়া তাঁহার চরণ অনাবৃত করিয়া শয়ন করিল

রূত ৩: -

১০. সমৃদ্ধির জন্য যুদ্ধ করুনসমৃদ্ধি সহজে আসে না

আপনাকে সমৃদ্ধির জন্য লড়াই করতে হবে। সম্পদ গোপন জায়গায় লুকানো আছে। মহাজাগতিক অন্ধকারের মধ্যে লুকানো আছে সম্পদ। একটি যুদ্ধ ছাড়া, আপনি এই বিশ্বের সর্বত্র যে সম্পদ রয়েছে তা আবিষ্কার করতে পারবেন না। ধীরে ধীরে, ধীরগতিসম্পন্ন এবং অলস মানুষ সহজেই ধনী হন না। কারণ একটি শক্তিশালী যুদ্ধ প্রয়োজন যাতে পৃথিবী তার ফল উৎপন্ন করতে পারে। স্কুলে যাওয়ার জন্য আপনাকে যুদ্ধই করতে হবে। আপনার পরীক্ষায় পাস করার জন্য আপনাকে যুদ্ধ করতে হবে। আপনাকে একটি ভাল কাজ পেতে যুদ্ধ করতে হবে। তারপর আপনাকে প্রচার করতে যুদ্ধ করতে হবে। আবার আপনাকে আপনার অর্থ ব্যবহারে বিজ্ঞতার বিষয়ে যুদ্ধ করতে হবে।

কারণ যাহার আছে, তাহাকে আরও দেওয়া যাইবে; আর যাহার নাই, তাহার যাহা আছে, তাহাও তাহার নিকট হইতে লওয়া যাইবে

মার্ক ৪:২৫

১১. একটি ঘর নির্মাণ করতে যুদ্ধ করুনআপনাকে একটি ঘর নির্মাণ করতে যুদ্ধ করতে হবে

অধিকাংশ মানুষ একটি বাড়ির মালিক হয় না এবং কখনও একটি ঘরের মালিক হবে না। একটি বাড়ি মালিক হয়ে ওঠা একটি যুদ্ধ কিন্তু একটি বাড়ির মালিক হয়ে ওঠা জন্য যুদ্ধ করা সঠিক বিষয়।

প্রজ্ঞা দ্বারা গৃহ নির্মিত হয়, আর বুদ্ধি দ্বারা তাহা স্থিরীকৃত হয়:

হিতোপদেশ ২৪:

১২. দীর্ঘ সময় বেঁচে থাকার জন্য যুদ্ধ করুন এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য প্রভুর সেবা করুন

ভাল স্বাস্থ্য হওয়া, জীবিত থাকা এবং অনেক বছর ধরে প্রভুর সেবা করতে পারা একটি ভাল যুদ্ধ।

তাঁহারা তাঁহাকে কহিলেন, যদি আপনি অদ্য ঐ লোকদের সেবক হইয়া উহাদের সেবা করেন, এবং উহাদিগকে উত্তর দেন, ও প্রিয় বাক্য বলেন, তবে উহারা সর্বদা আপনার সেবক থাকিবে

১ রাজাবলি ১২:

১৩. আপনার মেজাজের নেতিবাচক দিকগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করুন

আপনার স্ফুলিঙ্গ মেজাজ, আপনার ক্ষতিকারক মেজাজ, আপনার উল্লাসধ্বনিময় প্রকৃতি এবং আপনার আশাব্যঞ্জক মেজাজে সমস্ত নেতিবাচক দিক রয়েছে।

মন্থরতা এবং একটি স্ফীতী মেজাজের নিমজ্জিততা পরিচর্যায় কিছু অর্জন করার জন্য আপনার ক্ষমতার সঙ্গে যুদ্ধ করবে। আপনার মনের ধীরতা এবং নিমজ্জিত আপনাকে অগ্রসর হতে বা যুদ্ধ করতে দিতে চাইবে না। এটা দারিদ্র্যের প্রতি ধাবিত করবে।

একটি আশাবাদী অন্যায় স্বাধীনতা আপনাকে বিশৃঙ্খলা, বিভ্রান্তি এবং দৈহিক পাপের মধ্যে পরিচালিত করবে।

একটি মেজাজ এবং বিষণ্নতার দুঃখ সম্পর্ক ধ্বংস করবে এবং পরিবেশকে অসাড় করে তুলবে। দুঃখ আপনাকে বিচারের সম্মুখীন করবে এবং সামান্য ভুল করে এমন মানুষের কাছ থেকে পরিত্রাণ পেতে হবে।

দুষ্টতা, তীব্রতা এবং কুৎসিত রাগ আপনার সম্পর্ক ধ্বংস করবে। একটি রাগের দ্রুতগতির সিদ্ধান্ত তাকে বিদ্রোহী করে তুলতে পারে। রাগের ব্যস্ততা এবং কার্যকলাপ ঈশ্বরের জন্য অপেক্ষা করা থেকে তাকে প্রতিরোধ করবে।

এটা স্বাভাবিকভাবেই আপনি যা করতে চান সেই ক্ষেত্রে আপনার নিজেকে অস্বীকার করার একটি যুদ্ধ! আমি দেখেছি যে এটা অনেক মানুষের জন্য সবচেয়ে কঠিন যুদ্ধ: নিজেকে অস্বীকার করার যুদ্ধ। আপনার মানবিক উত্তরাধিকার প্রকৃতি দুরে সরাইয়া রাখার জন্য ভাল যুদ্ধ করুন।

পরে তিনি আপন শিষ্যগণের সহিত লোকসমূহকেও ডাকিয়া কহিলেন, কেহ যদি আমার পশ্চাৎ আসিতে ইচ্ছা করে, সে আপনাকে অস্বীকার করুক, আপন ক্রুশ তুলিয়া লউক, এবং আমার পশ্চাদ্গামী হউক

মার্ক ৮:৩৪

১৪. আপনার পুরুষত্ব বা নারীত্বের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করুন

আর বিশ্বাস হেতু ঈশ্বর পরজাতিদিগকে ধার্মিক গণনা করেন, শাস্ত্র ইহা অগ্রে দেখিয়া অব্রাহামের কাছে আগেই সুসমাচার প্রচার করিয়াছিল, যথা, ‘‘তোমাতে সমস্ত জাতি আশীর্বাদ প্রাপ্ত হইবে" ।

গালাতীয় ৩:২৮

আপনি যদি একজন পুরুষ হন, তাহলে আপনার পক্ষে একজন সঙ্গীর সাথে থাকতে কষ্ট হবে। কিন্তু আপনাকে এই পুরুষ প্রবণতার সাথে যুদ্ধ করতে হবে এবং এক ব্যক্তির সঙ্গে থাকার বিষয়ে পথ খুঁজে বের করতে হবে। এটি একজন পুরুষের বিশ্বস্ত হওয়ার জন্য একটি যুদ্ধ। কিন্তু এই যুদ্ধে জিততে হবে! যৌনতার আকাঙ্খার মাধ্যমে একজন ব্যক্তির মর্যাদাও প্রকাশ পায়। যৌনতার জন্য এই বর্ধিত বাসনা আপনাকে পর্নোগ্রাফি, হস্তমৈথুন, ব্যভিচার ও পরকীয়ায় নিয়ে যেতে পারে। যদি আপনি নিজেকে অস্বীকার করার জন্য যুদ্ধ না করেন, তাহলে আপনি পরিচর্যায় বড় বিপদে পড়বেন।

নারীরা সমানভাবে ভীত, হিংসুটে ও অভিযোগকারী হিসেবে নিজেদের অবস্থান খুঁজে পাবে। আপনার নারীত্ব অবশ্যই মানিয়ে চলতে হবে, যাতে আপনার পরিচর্যা বাতিল না হয়ে যায়। আপনার পুরুষত্ব বা নারীত্বকে ততক্ষণ নিয়ন্ত্রণ করা দরকারী যতক্ষণ না এমন কোন পার্থক্য হয়, যেখানে আপনি একজন পুরুষ বা একজন মহিলা হলে কোনকিছু আসে যায় না।

১৫. উপজাতীয় ও জাতীয় ধাঁচের বিরুদ্ধে যুদ্ধ

তাহাদের একজন, তাহাদের এক স্বদেশীয় ভাববাদী বলিয়াছেন, ‘ক্রীতীয়েরা নিয়ত মিথ্যাবাদী, হিংস্র জন্তু, অলস পেটুক’।

এই সাক্ষ্য সত্য; এই জন্য তুমি তাহাদিগকে তীক্ষ্ণভাবে অনুযোগ কর; যেন তাহারা বিশ্বাসে নিরাময় হয়

তীত ১: ১২-১৩

প্রত্যেক গোত্র, পরিবার বা জাতির নিজস্ব প্রবণতা আছে। ঘানা, অসন্তিরা কিছু বিষয়ের জন্য ভাল পরিচিত এবং ইওয়েসরাও সমানভাবে অন্য কিছু বিষয়ের জন্য পরিচিত। যখন আপনি পরিচর্যায় যান, তখন আপনাকে অবশ্যই যুদ্ধ করতে হবে যাতে আপনি আপনার উপস্থাপনার মধ্যে খুব ইওয়ে বা অত্যধিক অসন্তি নন। যদি আপনি এটা বা অন্যটা হতে এসে থাকেন তবে এটি অন্য দিক দিয়ে ফল বহন করার ক্ষেত্রে আপনার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করবে। কিছু পালক এত জাতীয়তাবাদী যে তারা তাদের দেশের বাইরে পৌঁছাতে পারে না। অনেক আমেরিকানরা এত বেশি আমেরিকান যে তারা আমেরিকাতে সীমাবদ্ধ এবং বিশ্বের বাকি অংশে পরিচর্যা করতে অক্ষম। পৃথিবীর মাত্র পাঁচ শতাংশ উত্তর আমেরিকা থেকে আসে এবং সুসমাচারের অনেক আমেরিকান পরিচর্যাকারীরা এখন বিশ্বের পাঁচ শতাংশের পরিচর্যায় সীমাবদ্ধ। অদ্ভুতভাবে, এই পাঁচ শতাংশ পরিচর্যাকারীদের নব্বই শতাংশ সুসমাচারের পরিচর্যাকারী রয়েছে।

নাইজেরিয়ানরা অনেক মহান মন্ডলীর জন্ম দিয়েছে। নাইজেরিয়ানদের কিছু কিছু বিষয়ে খ্যাতি আছে। আপনি যদি নাইজেরিয়ান পরিচর্যাকারী হন, তবে আপনাকে অবশ্যই কোনও নেতিবাচক ধূর্ততার থেকে নিজেকে দূরে রাখার চেষ্টা করতে হবে। এটা অন্য কোনকিছুর চেয়ে আরো বেশী খ্রীষ্টানহওয়ার জন্য যুদ্ধ।

ফ্রাংকফোন দেশগুলোকে নির্দিষ্ট অনুশীলনের জন্য উল্লেখ করা হয়েছে। এখানেও কোনও নেতিবাচক সীমাবদ্ধতার থেকে নিজেকে দূরে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। আপনাকে একজন ফ্রাংকফোন হওয়ার চেয়ে একজন খ্রীষ্টান হওয়ার জন্য আরো বেশি যুদ্ধ করতে হবে!

১৬. বর্ণভেদীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে

আর তিনি কহিলেন, কনান অভিশপ্ত হউক, সে আপন ভ্রাতাদের দাসদের দাস হইবে। ॥

তিনি আরও কহিলেন, শেমের ঈশ্বর সদাপ্রভু ধন্য; কনান তাহার দাস হউক

ঈশ্বর যেফৎকে বিস্তীর্ণ করুন; সে শেমের তাম্বুতে বাস করুক, আর কনান তাহার দাস হউক

আদিপুস্তক ৯: ২৫-২৭

কালো মানুষদের কম উন্নয়ন, দারিদ্র্য, শোষণ, কলুষতা, বিভ্রান্তি, বিভেদ এবং সমৃদ্ধির অযোগ্যতার অভাবের কারণে পরিলক্ষিত করা হয়! সাদা লোকেরা অর্থের প্রতি ভালবাসা, সম্পর্কের অভাব, সমকামীতা, বিবাহবিচ্ছেদ, গে বিয়ে, নাস্তিকতা, ধূমপান, মদ্যাশক্তি এবং উচ্চ আত্মহত্যার হারের জন্য সুপরিচিত!

দুর্ভাগ্যবশত, এই ধরনের চরিত্রগুলোই বাস্তব বিষয় যার সাথে আমাদের যুদ্ধ করতে হবে। যদি আপনি একজন সাদা মানুষ বা একজন কালো মানুষ হয়ে থাকেন, তাহলে এই চরিত্রগুলো থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করার যুদ্ধ করুন। এই চরিত্রগুলোর যে কোনটি থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। একজন কালো মানুষ বা একজন সাদা মানুষের বৈশিষ্ট্য বরং একজন খ্রীষ্টানের বৈশিষ্ট্য গ্রহণ করা উচিৎ। এটা একটি ভাল যুদ্ধ যে বিষয়ে যুদ্ধ করা উপযুক্ত!

১৭. কামনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করুন

কিন্তু তুমি যৌবনকালের অভিলাষ হইতে পলায়ন কর; এবং যাহারা শুচি হৃদয়ে প্রভুকে ডাকে, তাহাদের সহিত ধার্মিকতা, বিশ্বাস, প্রেম ও শান্তির অনুধাবন কর

২ তীমথিয় ২:২২

কামনা এমন একটি আগুন যা আপনার পবিত্রতাকে জ্বালিয়ে দেয়। এটা আধ্যাত্মিকতা থেকে আপনাকে দূরে নিয়ে যায়। এই কারণে পৌল বলেছেন যে জ্বলে পুড়ে মরার চেয়ে বিয়ে করা ভাল। আপনি যদি জ্বলতে থাকেন তবে আপনি এমন কিছু উপভোগ করছেন যা ভাল নয়। আপনার যৌন ইচ্ছা আপনার আধ্যাত্মিকতার সাথে যুক্ত। যৌনতা অতিপ্রাকৃত কারণ এটি প্রায় মানুষের মধ্যে একটি অতি দারূণ প্রভাব। যৌন ইচ্ছা জাগ্রত হওয়া একটি নেতিবাচক বিষয় এবং এটি আপনার কাছ থেকে আধ্যাত্মিকতাকে দূরে নিয়ে যায়। আপনাকে আপনার সমস্ত হৃদয় এবং আপনার সমস্ত শক্তি দিয়ে কামনার সাথ যুদ্ধ করতে হবে।

কামনার বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রথম উপায় হল নিজেকে নির্দিষ্ট স্বাদ গ্রহণ করা থেকে রক্ষা করা। একবার যদি আপনি নির্দিষ্ট যৌন বিষয়গুলোর জন্য স্বাদ গ্রহণ করেন, তবে তাদের নিয়ন্ত্রণ করা আরও কঠিন হয়ে পড়ে।

দ্বিতীয়ত, যদি আপনি পর্নোগ্রাফি, হস্তমৈথুন এবং সমকামীতার মত নির্দিষ্ট যৌন বিষয়ের জন্য স্বাদ অর্জিত করে থাকেন, তাহলে আপনাকে আপনার জীবনের বাকিটুকু সময় এর বিরুদ্ধে প্রার্থনা করতে হবে।

কামনার সাথে যুদ্ধ করতে তৃতীয় বিষয় হলো আপনার যৌনতার একটি নির্গমন পথ দিতে হবে। এই নির্গমন পথ বিবাহের মাধ্যমে আসতে পারে, যেখানে আপনি নিয়মিত যৌন সংসর্গ করতে সক্ষম হবেন। দুর্ভাগ্যবশত, এমনকি বিয়েতেও, যদি আপনার একজন খারাপ স্ত্রী থাকে তবে আপনার যৌনতা একটি নির্গমন পথের নিশ্চয়তা দেয় না। ঘটনা যাই হোক না কেন, আপনার জীবনের বাকি অংশে আপনার কামনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।

১৮. ফলপ্রসূ হওয়ার জন্য যুদ্ধ করুন

কেননা এই সমস্ত যদি তোমাদের মধ্যে থাকে ও উপচিয়া পড়ে, তবে আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের তত্ত্বজ্ঞান সম্বন্ধে তোমাদিগকে অলস কি ফলহীন থাকিতে দিবে না

২ পিতর ১:

আধ্যাত্মিক বাঁধার বিরুদ্ধে যুদ্ধ একটি দীর্ঘ এবং কঠিন বিষয়। যখন আপনি প্রভুর সেবা করেন, তখন আপনি অনেক লুকানো গুণাবলীকে ঝালাই করা এবং আপনার জীবনকে সোজা করার বিষয় জড়িত থাকে। আপনি লক্ষ্য করবেন যে ফলপ্রসূতা অধ্যবসায়, বিশ্বাস, ধার্মিকতা, সমন্বয়, জ্ঞান, গুণ এবং ধৈর্যের সাথে সংযুক্ত। এই সব আধ্যামনে নাও হতে পারে। কিন্তু এগুলো সম্পর্কযুক্ত! তারা আপনার ফলপ্রসূতার বাস্তব ছক। আপনার জীবনের সর্বত্র, আপনি অধ্যবসায়, সমন্বয়, বিশ্বাস, জ্ঞান, ভ্রাতৃপ্রতিম এবং দাতব্যের জন্য আপনাকে যুদ্ধ করতে হবে।

এটি একটি ভাল এবং উপযুক্ত যুদ্ধ কারণ এটি ফলপ্রসূতার জন্য একটি যুদ্ধ।

অধ্যায় ৪

যুদ্ধাবস্থা এবং তার পরিবেশের সঙ্গে

নিজেকে মানিয়ে নেওয়া

বস্তুতঃ তুমুল যুদ্ধে সজ্জিত ব্যক্তির সমস্ত সজ্জা ও রক্তে লুন্ঠিত বস্ত্র সকল জ্বলনীয় দ্রব্য হইবে, অগ্নির ভক্ষ্যস্বরূপ হইবে

যিশাইয় ৯:

মানুষদের আত্মাগুলোর জন্য আমরা শেষ যুদ্ধে আছি। যদি আমরা যুদ্ধের পরিবেশে অভ্যস্ত না হই, আমরা সঠিকভাবে কাজ করতে পারব না। বাইবেল যা বলেতা শুনুন: বস্তুতঃ তুমুল যুদ্ধে সজ্জিত ব্যক্তির সমস্ত সজ্জা ও রক্তে লুন্ঠিত বস্ত্র সকল জ্বলনীয় দ্রব্য হইবে, অগ্নির ভক্ষ্যস্বরূপ হইবে। (যিশাইয় ৯:৫) এটি শান্তি, সাদৃশ্য এবং আনন্দের পরিবেশ নয়।

এটা বিপদ, ঝুঁকি, বিভ্রান্তি, বিদ্বেষ, বিচ্যুতি, চাপ, উত্তেজনা, অসুখ, হতাশা এবং কষ্টের যুদ্ধময় পরিবেশ। ঈশ্বর আমাদের ব্যবহার করছেন তাঁর বাক্য ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য এবং প্রতারণা এবং বিভেদগুলো যা লোকদেরকে নরকে নেতৃত্ব দিচ্ছে তার সাথে যুদ্ধ করতে। আমাদের একজন শত্রু রয়েছে ঈশ্বরের

Enjoying the preview?
Page 1 of 1