অভিষিক্ত হওয়ার মিষ্ট প্রভাব দ্বিতীয় সংস্করণ
()
About this ebook
একজন খ্রীষ্টিয়ান হিসেবে আপনার জীবনে সবচেয়ে বড় ও সুমিষ্ট প্রভাব যিনি সৃষ্টি করেন, তিনি পবিত্র আত্মা। এই বইটি আপনাকে বুঝতে সাহায্য করবে যে, আপনার চরিত্র, আপনার অবচেতন মন, আপনার সৃষ্টিশীলতা, এমনকি আপনার পবিত্র হওয়ার সক্ষমতাও পবিত্র আত্মা দ্বারা কীভাবে প্রভাবিত হতে পারে। ড্যাগ হিউয়ার্ড-মিলস এর এই যুগান্তকারী বইটির মধ্য দিয়ে আপনি অবশ্যই আপনার জীবনকে পবিত্র আত্মা দ্বারা প্রভাবিত, অনুপ্রাণিত, আপ্লুত এবং পরিবর্তিত করার জন্য নিজেকে উন্মোচন করে দেবেন।
Dag Heward-Mills
Bishop Dag Heward-Mills is a medical doctor by profession and the founder of the United Denominations Originating from the Lighthouse Group of Churches (UD-OLGC). The UD-OLGC comprises over three thousand churches pastored by seasoned ministers, groomed and trained in-house. Bishop Dag Heward-Mills oversees this charismatic group of denominations, which operates in over 90 different countries in Africa, Asia, Europe, the Caribbean, Australia, and North and South America. With a ministry spanning over thirty years, Dag Heward-Mills has authored several books with bestsellers including ‘The Art of Leadership’, ‘Loyalty and Disloyalty’, and ‘The Mega Church’. He is considered to be the largest publishing author in Africa, having had his books translated into over 52 languages with more than 40 million copies in print.
Reviews for অভিষিক্ত হওয়ার মিষ্ট প্রভাব দ্বিতীয় সংস্করণ
0 ratings0 reviews
Book preview
অভিষিক্ত হওয়ার মিষ্ট প্রভাব দ্বিতীয় সংস্করণ - Dag Heward-Mills
"তিনি তাহাদিগকে আর এক দৃষ্টান্ত কহিলেন, স্বর্গ-রাজ্য এমন এক তাড়ীর তুল্য, যাহা কোন স্ত্রীলোক লইয়া তিন মাণ ময়দার মধ্যে ঢাকিয়া রাখিল, শেষে সমস্তই তাড়ীময় হইয়া উঠিল।" মথি ১৩:৩৩
খামি হচ্ছে একটি অদৃশ্য, গোপন ক্ষমতা যা ময়দাটিকে আকারে বৃদ্ধি পেতে, ফুলে উঠতে এবং হালকা হতে আন্দোলিত করে। যীশু খ্রীষ্ট আমাদের এই শিক্ষা দেন যে স্বর্গরাজ্য হল এমনই এক অদৃশ্য ক্ষমতা বা প্রভাব যা সবকিছুকে প্রভাবিত করে।
মাখা ময়দার তালের মধ্যে খামির প্রভাব অকৃত্রিম এবং বিস্ময়কর। যেখানে খামি অদৃশ্য অবস্থায় শক্তিশালীভাবে কাজ করছে। চোখে না দেখা বা অদৃশ্য প্রভাব সমূহ বাস্তব। অদৃশ্য প্রভাব সমূহ মন্দ এবং ভাল উভয়ই হতে পারে।
খ্রীষ্টীয়ান জীবনে সবথেকে উত্তম এবং অদৃশ্য প্রভাব হল পবিত্র আত্না এবং এই বইটি হল সেই অদৃশ্য কিন্তু বাস্তব প্রভাব সর্ম্পকে। পবিত্র আত্নার মিষ্ট প্রভাব!
এই বইটি পুরোপুরি ভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্র সমূহের একটি তালিকা যে ক্ষেত্র সমূহে আমরা পবিত্র আত্নার প্রভাব প্রত্যাশা করতে পারি। আমাদের অবশ্যই এর খোঁজ করা দরকার এবং এর জন্য প্রার্থনা করা দরকার। পবিত্র আত্নার প্রভাব জীবনসম্পৃক্ত। আমাদের বেঁচে থাকার জন্য এটি অতি গুরুত্বপূর্ণ।
কি আপনাকে প্রভাবিত করছে? একজন পরিচর্যাকারী হিসাবে, কি আপনাকে প্রভাবিত করছে? কি আপনাকে পরিচালনা দিচ্ছে এবং আপনি যা করছেন তা করতে আপনাকে বাধ্য করছে? আপনি কি একটি উত্তম প্রভাবের বশে আছেন নাকি মন্দ প্রভাবের?
তিনটি অদৃশ্য মন্দ প্রভাব আছে যা সর্বতোভাবে অপরিচিত এবং খ্রীষ্টিয়ানদের দ্বারা ভুল ধারণা করা হয়ে থাকে। খ্রীষ্টিয়ানদের প্রথম অদৃশ্য মন্দ প্রভাব হল শয়তান। খ্রীষ্টিয়ানদের দ্বিতীয় অদৃশ্য মন্দ প্রভাব হল পৃথিবী বা এই জগৎ। তৃতীয় অদৃশ্য মন্দ প্রভাব হল আমাদের ইন্দ্রিয়। যখন লোকেরা পবিত্র আত্নার বশে না থাকে তখন তারা এই তিনটির যে কোন একটি প্রভাবের বশে থাকে। এইভাবে যা হয়ত জাগতিক, প্রাণিক বা পৈশাচিক হতে পারে ।
গালাতীয়দের নিকট লেখার সময়, প্রেরিত পৌল তাদেরকে সাবধান করেছিলেন অদৃশ্য এবং পরিব্যাপক প্রভাব সর্ম্পকে যা সেই সময় মন্ডলীকে প্রভাবিত করছিল। তিনি এই প্রভাব সমূহকে খামির বলেছিলেন। পৌল খামিরের প্রভাব ব্যাখ্য করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন খামির এক প্রকারের প্ররোচনা। এই অদৃশ্য প্রভাব এত ক্ষমাতাশালী যে এটি একজন খ্রীষ্টিয়ান কে ব্যাহত করতে পারে তার পরিচর্যা কাজের ক্ষেত্রে। লক্ষ্য করুন এই বাক্য, "তোমরা সুন্দররূপে দৌড়াইতেছিলে; কে তোমাদিগকে বাধা দিল যে, তোমরা সত্যের দ্বারা প্রবর্তিত হও না? যিনি তোমাদিগকে আহ্বান করিয়াছেন, এই প্রবর্তনা তাঁহা হইতে হয় নাই। অল্প তাড়ি সূজির সমস্ত তাল তাড়িময় করে।(গালাতীয় ৫: ৭-৯)
এই বইটি হল পবিত্র আত্নার মিষ্ট প্রভাব বিষয়ক। এটি আপনার কাছে প্রকাশ করবে আপনার জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্র সমূহ সর্ম্পকে যা পবিত্র আত্নার দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে। যখন ঈশ্বর এই বইটির দ্বারা আপনার কাছে কথা বলছেন আপনি আপনার নিজেকে খুলে দিবেন পবিত্র আত্নার কাছে। আপনি আপনার জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্র সমূহে প্রভাবিত করার জন্য একই সাথে পবিত্র আত্নার প্রত্যাশ্যা করবেন এবং সুযোগ দিবেন ।
অধ্যায়- ২
তিনটি মন্দ প্রভাব
সেই জ্ঞান এমন নয়, যাহা উপর হইতে নামিয়া আইসে এবং তাহা পার্থিব, প্রাণিক, পৈশাচিক।
(যাকোব ৩:১৫)
পবিত্র আত্নার মিষ্ট প্রভাবের চূড়ান্ত ফল হল আপনাকে একজন আত্নিক লোক হিসাবে তৈরী করা। নূতন নিয়ম আত্নিক লোকদের বিষয়ে অনেক কথা বলে। আত্নিক লোকেরা মন্ডলীর সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ লোক। কিন্তু প্রত্যেকটি মানুষের কাছে বেছে নেবার চারটি সুযোগ থাকে। সে হয়ত বেছে নিতে পারে পার্থিবতা, প্রাণিকতা, পৈশাচিকতা অথবা আত্নিকতা ।
ব্যবসায়ীরা এই ব্যবসার জগতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্য জগতে ডাক্তারদের অনেক গুরুত্ব কিন্তু মন্ডলীতে আত্নিক লোকেরা গুরুত্বপূর্ণ। প্রেরিত পৌল তার লেখাতে আত্নিক লোকদের উদ্দেশ্যে লিখেছেন কারণ তিনি জানতেন যে কেবল মাত্র আত্নিক লোকেরাই তার কথা ঈশ্বর হইতে কিনা তা বোঝার ক্ষমতা রাখে।
"কেহ যদি আপনাকে ভাববাদী কিম্বা আত্নিক বলিয়া মনে করে, তবে সে বুঝুক, আমি তোমাদের কাছে যাহা যাহা লিখিলাম, সেই সকল প্রভুর আজ্ঞা।"
(১ করি ১৪: ৩৭)
আপনার লক্ষ্য হওয়া উচিত একজন আত্নিক লোক হবার যে কিনা পবিত্র আত্নার প্রভাব দ্বারা জীবন যাপন করে। পবিত্র আত্নার মিষ্ট প্রভাব আপনাকে একজন আত্নিক লোক রূপে রূপান্তরিত করবে। অন্য দিকে আপনি যদি পবিত্র আত্নার প্রভাবের আওতায় জীবন যাপন না করেন তাহলে অবশ্যই অন্য কোন কিছুর প্রভাবে আপনাকে জীবন যাপন করতে হবে।
পার্থিবতা, প্রাণিকতা, পৈশাচিকতা !
আপনি হয় পার্থিব প্রভাব, প্রাণিক প্রভাব বা পৈশাচিক প্রভাবের বশে থাকবেন। পার্থিব, প্রাণিক, পৈশাচিক লোকেদের খুঁজে বেরা করা কঠিন বিষয় নয়। আমরা এইসব লোকেদের আমাদের চারপাশে সবসময় দেখতে পাই। অনেক খ্রীষ্টিয়ানরা আত্নিক না হয়ে পার্থিব, প্রাণিক, পৈশাচিক হয়ে থাকে।
একজন প্রাণিক ব্যক্তি কেমন হতে পারে?
একজন প্রাণিক ব্যক্তি, সে তার নিজস্ব ইন্দ্রিয় ও অনুভুতি দ্বারা পরিচালিত হয়ে থাকে। সে তার জৈবিক আকাঙ্খার অনুসরণ করে এবং যা দেখে বা ভাল লাগে সেটার পেছনে তাড়া করে। একজন প্রাণিক লোক অনেক বেশী খায়, অনেক বেশী ঘুমায়, অনেক বেশী যৌনসহবাস করে এবং যে কোন প্রকারের সুখ লাভ সম্ভব সে তা পাবার জন্য ব্যস্ত থাকে। অনেক কমবয়সী মানুষ তাঁদের জীবন শুরু করে তাঁদের ইন্দ্রিয় অনুসরণ করে। ডিস্কো, নাইটক্লাব, পার্টিতে মানুষ নেঁচে তাদের জীবন উপভোগ করছে এবং তাদের যৌনক্ষুদা চরিতার্থকরণ কে নিয়ে যাচ্ছে এক চূড়ান্ত সমাপ্তিতে। নেশা দ্রব্য বিক্রেতা এবং নেশা ব্যবহারকারীরা হচ্ছে তারা যারা তাদের ইন্দ্রিয়সুখ অনুসরণ করে নিজেদের ধ্বংস ডেকে আনে।
একজন প্রাণিক ব্যক্তির পক্ষে ঈশ্বরকে জানা কঠিন বিষয় কারণ যাকে দেখা যায় না তাকে জানা সহজ নয়।
একজন প্রাণিক ব্যক্তির পক্ষে ঈশ্বরকে জানা কঠিন বিষয় কারণ ঈশ্বরের কোন শারীরিক রূপ নেই। ঈশ্বর হলেন আত্না!
একজন প্রাণিক ব্যক্তির পক্ষে ঈশ্বরকে জানা কঠিন বিষয় কারণ এমন কাউকে জানা কঠিন বিষয় যে কথা বলে না বা উত্তর দেই না।
একজন প্রাণিক ব্যক্তির পক্ষে ঈশ্বরকে জানা কঠিন বিষয় কারণ প্রতিরূপস্বরূপ এর মধ্য দিয়ে কাউকে জানা সহজ নয়।
একজন প্রাণিক ব্যক্তির পক্ষে ঈশ্বরকে জানা কঠিন বিষয় কারণ কাউকে কল্পনাতে ভাবা সহজ নয় যখন সে নিজের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।
একজন প্রাণিক ব্যক্তির পক্ষে ঈশ্বরকে জানা কঠিন বিষয় কারণ যাকে অনুভব করা যায় না তাকে জানা সহজ বিষয় নয়।
একজন প্রাণিক ব্যক্তির পক্ষে ঈশ্বরকে জানা কঠিন বিষয় কারণ যার কন্ঠস্বর তুমি শুনতে পারো না তাকে জানা সহজ বিষয় নয়।
একজন প্রাণিক ব্যক্তির পক্ষে ঈশ্বরকে জানা কঠিন বিষয় কারণ যার সাথে তোমার কখনও দেখা হয় নাই তাকে জানা সহজ বিষয় নয়।
একজন প্রাণিক ব্যক্তির পক্ষে ঈশ্বরকে জানা কঠিন বিষয় কারণ রহস্যময় কাউকে জানা সহজ বিষয় নয়।
একজন পার্থিব ব্যক্তি কেমন হতে পারে?
একজন পার্থিব ব্যক্তি তার দৃষ্টি পৃথিবীর দিক স্থাপন করে থাকে। অনেক প্রাণিক ব্যক্তি মনে করে যে, তারা যা চিন্তা করে তা মানব সত্তার অপেক্ষাকৃত ভাল সংস্করণ। এই প্রাণিকচেতা মানুষ সহজেই পার্থিবচেতা সত্তায় পরিবর্তীত হতে পারে। একজন পার্থিবচেতা মানুষের কাছে স্বর্গ বা নরক সর্ম্পকে কোন ভাবনাই থাকে না। সে এই পৃথিবীর জীবনের বাইরে আর কোন জীবন দেখে না। তার সমস্ত পরিকল্পনা এবং সাধনা প্রকাশ করে অনন্তকালীন বিষয় সমূহের প্রতি তার দৃষ্টিশক্তি কতটা সল্প এবং অন্ধ । এই প্রকার লোকদের বিচার সর্ম্পকে কোন ধারণা নেই; ধারণা নেই যে তাদের সমস্ত কৃতকর্ম আলোতে নিয়ে আসা হবে এবং তাদেরকে তাদের এই পাপের মূল্য পরিশোধ করতে হবে।
দেখতে ভদ্র এমন অনেক রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান মন্ত্রি আছেন যারা অক্সফোর্ড, কেমব্রিজ, হার্ভাড ইত্যাদি নাম করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা গ্রহন করেছেন; কমবয়সে বেপরোয়া জীবন যাপন করেছেন, নেশা করা, মদ্যপান করা, ধূমপানকরা। তারা প্রাণিক মানুষ থেকে পার্থিব মানুষে পরিবর্তীত হয়েছে। তাদের দেখতে সম্মানিত এবং পুরাতন প্রাণিক জীবন থেকে দূরে থাকতে দেখা যায়। কিন্তু আমি আপনাদের বলছি, তারা প্রাণিকচেতা থেকে আরো অধিক পার্থিব; আর তাদের কোন অনন্তকালীন মূল্যবোধ নাই। একজন খ্রীষ্টিয়ান হিসাবে আপনার লক্ষ্য হওয়া উচিত একজন আত্নিক লোক হওয়ার। আপনি অবশ্যই প্রাণিক, পার্থিব এবং পৈশাচিক হবেন না।
একজন পৈশাচিক ব্যক্তি কেমন হতে পারে?
একজন পৈশাচিক ব্যক্তি হল সেই ব্যক্তি যে সবসময় মন্দ আত্নাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে থাকে। সকল অবিশ্বাসীরা মন্দ আত্নার প্রভাবে প্রভাবিত। এমনকি, কিছু অবিশ্বাসিরা মন্দ আত্নার প্রভাবের দ্বারা কথা বলে ও কাজও করে থাকে। অনেক মানুষ পার্থিব ও প্রাণিক জীবনের পাট চুকিয়ে জীবনের অন্য মানে খুঁজতে শুরু করে। র্দুভাগ্যবশত তারা ভুল আত্নাদের সন্ধান লাভ করে।
যে খ্রীষ্টিয়ানরা আত্নিক