Audiobook5 hours
Dharma
Written by Amish Tripathi
Narrated by Ramswaroop Ganguly
Rating: 0 out of 5 stars
()
About this audiobook
এই কর্ম ব্যাপারটা আসলে ঠিক কী?
নচিকেত এক হাত দিয়েই চাবিটা ম্যান্টলপিস থেকে নামিয়ে আনল, কারণ তার অন্য হাত তখন অমলেট স্যান্ডুইচের বাকি টুকরোটাকে নিজের মুখের মধ্যে ঠেসে পোরার চেষ্টা করছিল। সদর দরজার কোণার কাছে সুদৃশ্য তেপায়ার উপর একটা ফুলদানি রাখা ছিল। তার অফিসের ব্যাগ সেটাকে আরেকটু হলেই ধাক্কা মেরে ফেলে দিচ্ছিল। গার্গী আর্তনাদ করে উঠল। ফুলদানিটাকে সাবধানে আবার খাড়া করে রেখে নচিকেত এক হ্যাঁচকা টানে দরজাটা খুলে ফেলল।
'ফেরার সময় বাবার সঙ্গে দেখা করে এসো। আজ পাঁচদিন হল তুমি ও'মুখো হওনি', গার্গী মনে করিয়ে দিল।
'আচ্ছা। চলি।'
ঘড়ির দিকে একবার তাকিয়েই সে সিঁড়ি দিয়ে দুদ্দাড়িয়ে নামতে লাগল। ন'টা বাজতে দশ। আজ মনে হয় আর পারলাম না। হে ভোলানাথ, রক্ষা করো!
সে লাফ দিয়ে তার বাইকে চড়ে বসে ইঞ্জিন চালু করল। একটা আলগা টালিতে প্রায় পিছলে যেতে যেতে বাইকটা সামলে নিয়ে চাকা ঘুরিয়ে সে রাস্তায় নামল। আজ কপালে দুঃখ আছে।
নচিকেত অনন্ত সাবন্ত পেশায় ছিল একজন স্যু-শেফ। শিবাজি নগরের হোটেল ইগো বলে একটা অদ্ভুত নামের সরাইখানার কর্মী ছিল সে। তার বাড়ি ছিল বানেরে, হোটেল থেকে খুব বেশি দূরে নয়। তবে পুনের ট্র্যাফিকের হালত সাধারণত জঘন্য থাকে।
আশ্চর্যের কথা, সেদিন রাস্তা একদম শুনশান ছিল। একটু দম নিয়ে নিজেকে ঠাণ্ডা করে সে মোটামুটি ধীরেসুস্থেই চলতে শুরু করল। মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই সে হোটেলে পৌঁছে গেল। বাইকটাকে কম্পাউন্ডের পিছনদিকে পার্ক করল যখন, তখন বাজে সকাল ন'টা দশ। যাক বাবা!
ভালো কর্ম!
শুনুন অমীশ ত্রিপাঠীর "ধৰ্ম" এবারে বাংলায়, শুধুমাত্র স্টোরিটেল-এ!
নচিকেত এক হাত দিয়েই চাবিটা ম্যান্টলপিস থেকে নামিয়ে আনল, কারণ তার অন্য হাত তখন অমলেট স্যান্ডুইচের বাকি টুকরোটাকে নিজের মুখের মধ্যে ঠেসে পোরার চেষ্টা করছিল। সদর দরজার কোণার কাছে সুদৃশ্য তেপায়ার উপর একটা ফুলদানি রাখা ছিল। তার অফিসের ব্যাগ সেটাকে আরেকটু হলেই ধাক্কা মেরে ফেলে দিচ্ছিল। গার্গী আর্তনাদ করে উঠল। ফুলদানিটাকে সাবধানে আবার খাড়া করে রেখে নচিকেত এক হ্যাঁচকা টানে দরজাটা খুলে ফেলল।
'ফেরার সময় বাবার সঙ্গে দেখা করে এসো। আজ পাঁচদিন হল তুমি ও'মুখো হওনি', গার্গী মনে করিয়ে দিল।
'আচ্ছা। চলি।'
ঘড়ির দিকে একবার তাকিয়েই সে সিঁড়ি দিয়ে দুদ্দাড়িয়ে নামতে লাগল। ন'টা বাজতে দশ। আজ মনে হয় আর পারলাম না। হে ভোলানাথ, রক্ষা করো!
সে লাফ দিয়ে তার বাইকে চড়ে বসে ইঞ্জিন চালু করল। একটা আলগা টালিতে প্রায় পিছলে যেতে যেতে বাইকটা সামলে নিয়ে চাকা ঘুরিয়ে সে রাস্তায় নামল। আজ কপালে দুঃখ আছে।
নচিকেত অনন্ত সাবন্ত পেশায় ছিল একজন স্যু-শেফ। শিবাজি নগরের হোটেল ইগো বলে একটা অদ্ভুত নামের সরাইখানার কর্মী ছিল সে। তার বাড়ি ছিল বানেরে, হোটেল থেকে খুব বেশি দূরে নয়। তবে পুনের ট্র্যাফিকের হালত সাধারণত জঘন্য থাকে।
আশ্চর্যের কথা, সেদিন রাস্তা একদম শুনশান ছিল। একটু দম নিয়ে নিজেকে ঠাণ্ডা করে সে মোটামুটি ধীরেসুস্থেই চলতে শুরু করল। মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই সে হোটেলে পৌঁছে গেল। বাইকটাকে কম্পাউন্ডের পিছনদিকে পার্ক করল যখন, তখন বাজে সকাল ন'টা দশ। যাক বাবা!
ভালো কর্ম!
শুনুন অমীশ ত্রিপাঠীর "ধৰ্ম" এবারে বাংলায়, শুধুমাত্র স্টোরিটেল-এ!
Reviews for Dharma
Rating: 0 out of 5 stars
0 ratings
0 ratings0 reviews